থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
রাইতে বালা শো আছে একখান। যৌবনের খেলা বলে দেখাইবো। হেরায় কইতাসে, বিশ্বকাপের জন্য এই আয়োজন। বালা কথা!
যদি বিশ্বকাপের জন্য এই আয়োজন হয়েই থাকে, তা হলে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, কেনিয়া, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, অয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের শিল্পী কেন রাখা হলো না?
তাই বুদ্ধি করে নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ট্রাইনেশন শো’।
কিন্তু, দেখে মনে হচ্ছে, আজকের অনুষ্ঠানটি 'ট্রাইনেশন' নয়, 'ওয়ান নেশন' শো। এখানে হিন্দি সংস্কৃতির আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবে না। এখানে শুধু মুম্বাইয়ের (বলিউড) সুপারস্টার শিল্পীদেরই আনা হচ্ছে। আসাম, পশ্চিমবঙ্গ বা অন্য কোনো অঞ্চলের শিল্পীদের আনা হচ্ছে না। আর ঐ যে বললেন না শ্রীলঙ্কা, ঐট থাকছে নামে মাত্র।
রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক দখলদারিত্বের পর বাংলাদেশে ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে অনেক আগেই, এর ধারাবাহিকতায় আরও একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সংযোজিত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ঘাড়ের ওপর দিয়ে।
এমনিতেই বাংলাদেশ ভারতীয় শিল্পীদের রমরমা বাজার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকশ’ ভারতীয় শিল্পী এদেশে কনসার্ট করেছেন। কনসার্টের নামে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে চলে গেছে কোটি কোটি টাকা। ভারতীয় শিল্পীদের এনে অনুষ্ঠান করে ‘জাতে ওঠার’ এক ধরনের হীনমন্যতার ফলে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় ঘটছে।
বিপরীতে দেশের প্রতিভাবান শিল্পীরা অবজ্ঞা, উপেক্ষার শিকার হচ্ছেন।
সম্প্রতি দিল্লি বিমানবন্দরে পাকিস্তানি শিল্পী ওস্তাদ ফতেহ আলী খান কিছু ডলারসহ আটক হন; যা ছিল তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বিলের টাকা। তাকে কয়েকদিন আটকে রেখে বিশাল অংকের জরিমানা করে ছাড়া হয়েছে। অথচ শাহরুখ খানসহ অন্য ভারতীয় শিল্পীরা বাংলাদেশ থেকে কত টাকা নিয়েছেন তার কোনো হিসাবই পাওয়া যায়নি।
তবে এই সব নিয়ে আমরা ভাবি না।
আমাদের শিলার যৌবন দেখানোর ব্যবস্থা করা হইসে, আমরা এতেই খুসি। শিলা বেগম নাচবো, আমাগো নাচাইবো ... খামুখা দেশ দেশ কইরা পইড়া থাকলে কি আর বিশ্ব নাগরিক হওয়ন যায়?
দিন কি আর আগের মতন আছে, 'দিন বদল' হইসে না?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।