ধরায়ে দেবানি...
বাংলাদেশ ২৮৩ রান করলো। লোভী বাঙালী এইটা দেইখা চিল্লানি শুরু করলো কি বইলা? তারা বলা শুরু করলো এইটা বইলা যে আমরা আগে ব্যাট করতে নামলে ইন্ডিয়ারে ধরায়ে দিতে পারতাম। শুইন্না আমার লাগে হাসি। আরো অভিযোগ আছে। তামিম কেন স্লো খেলল, রকিবুল কেন বল ঠেকাইলো,রিয়াদ কেন পিডাইলো না, জুনায়েদ কেন বল নষ্ট করলো।
সবচাইতে বড় অভিযোগের কথা তো শুরুতেই বললাম। যা হইলো, বাংলাদেশ টসে জিতা ফিল্ডিং নিলো ক্যান?
বাঙালীরে কি আর কইতাম? ২৮৩ রান কইরা যদি বাংলাদেশ ইন্ডিয়ারে চ্যালেঞ্জ ছুইড়া দিত এবং ইন্ডিয়া যদি সেই রান টপকাইয়া যাইত ৪-৫ উইকেটে তাইলে প্রশ্ন উঠত সাকিব টসে জিতা কিল্লাইগা ব্যাটিং লইলো? আজকে যদি তামিম পিডাইতে গিয়া ১০ বলে ৪০ কইরা আউট হইত, সবাই কইত তামিম কিল্লাইগা বিপদের সময় উইকেট দিয়া আইলো?
আমাগো যখন সেদিন এই খেলা চলতেসিলো এন্ড রকিবুল যখন বলে বলে রান নিতেসিলো তখন সে মনে হয় দুইটা বল ঠেকাইসিলো একটা বা দুইটা ভালো বলে। দর্শক্রা রকিবুলের বাপ মা তুইলা গালি দেয়া শুরু করলো। কিল্লাইগা??? কারন রকিবুল শেষ পর্যন্ত ফাইট দিতে চাইসিলো। সে চাইসিলো যাতে অল আউট না হই।
এইটাই তার দোষ। অথচ তার কিন্তু বলে বলে রান ছিলো।
বাঙালী তার মৃত্যূর আহ মুহুর্ত পর্যন্ত খুশি হইবো না। যেমন খুশি করন যায় না আমাদের আলুর সাম্বাদিক উৎপল শুভ্রকে। সে যে কোনো উপায়ে সাকিবের মুখ দিয়া বাইর করবই যে টসে জিতা ফিল্ডিং নেওন ভুল আসিলো।
পুরা আলু পত্রিকা জুইড়াই আনে বানে সাকিবের এই সিদ্ধানেত্র বিরুদ্ধাচারন কইরা লেখা লিখি। পাকি আমির সোহেল থেইকা শুরু কইরা পুব পাড়ার মোকসেদ আলী সহ সবাইরে ভাড়া কইরা আন্সে আলু পত্রিকা।
আসলে বাঙালী জাত তা বড় অদ্ভুত!!! এই খুশি তো এই কান্দন। কিসে যে এরা খুশি হয় বা হইব তার কোনো ঠিক ঠিকানা নাই। ভালো করলেও দোষ, খারাপ করলেও দোষ।
এক্কেবারে যেন আমাগো উৎপল শুভ্রের মত। মাথা ছাড়া পাগল।
এরকম দর্শকের দেশে আমাদের ক্রিকেট আগামী ৫০ বছরেও কোনো মানে যাইতে পারব কিনা আমার সন্দ আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।