আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙালীর পেটে সব সয়



কথাটা নতুন কিছু না। ভেজালের দুনিয়ায় থাকি, কোন খাবারটা ভেজাল না সেটাই খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এখন তো চিন্তা করাও বাদ দিয়ে দিয়েছি। কোন গুঁড়ো দুধে মেলামাইন নেই, কোন তেলে মবিল নেই, কোন মুড়িতে ইউরিয়া নেই অত কিছু ভাবার সময় কই। চোখ বন্ধ করে খেয়ে নিই সব।

বাজার থেকে কিছু সবজী আনিয়েছিলাম। গাজরগুলো দেখতে দারুন। কি সুন্দর কমলা রঙ, কচ কচ করে কেটে ঝুরি ঝুরি করলাম। তেলে পেঁয়াজ ভেজে গাজরগুলো ছেড়ে দিতেই কমলা রঙ হালকা হয়ে গেল, মশলা দিইনি একটু অ্যাসিডিটি হচ্ছে ইদানিং, কিন্তু তেলের রং দেখে মনে হল বাসায় যত মশলা ছিল সবই বুঝি ঢেলে দিয়েছি। গাজর থেকে কমলা রং উঠে তেলকে রঙে রঙীন করে তুলেছে।

বাহ, তাহলে গাজরের সাথে মশলা ফ্রি!!! বাসায় একদিন ভাগ্নিকে নিয়ে পেয়ারা খাচ্ছিলাম। কাজের মেয়েটাকে বললাম একটু লবণ আর শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে যেতে। সে সুন্দর মত একটা পিরিচে দিয়ে গেল। পেয়ারায় লবণ-মরিচ মাখিয়ে মুখে দিলাম, কী যে খেলাম কে জানে, ঝালের ঝ-ও নেই। সরাসরি মরিচের গুড়া নিয়ে মুখে দিলাম।

ইটের গুড়া খেলেও মনে হয় এর চেয়ে বেশী ঝাল হত। কি জানি, মনে হয় আমার জিহ্বাতেই কোন সমস্যা হয়েছে, যে কিনা একটু ঝাল খাবার খেলেই হু হু করতে করতে পানি খাওয়ার জন্য দৌড়াই, আজ সরাসরি মরিচের গুড়া খেয়েও কোন ঝাল লাগছে না। বাঙালীইতো, পেটে সব না সয়ে উপায় আছে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.