বিদ্রোহী কবিতা পড়ুন...। its all about me....!!!
বর্তমানকালীন সময়ে স্ট্রোক এর প্রবণতা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে । আমার এক আত্বীয় কয়েকদিন আগে স্ট্রোক করেছেন । স্ট্রোক খুব মেজর না হলেও শুধুমাত্র সঠিক সময়ে সঠিক ব্যাবস্থা না নিতে পারায় তার ডান দিকের পুরোটাই প্যারালাইজড হয়ে যায়, হারিয়েছেন বাক শক্তি । অথচ অল্প একটু সচেতনতা থাকলেই এতবড় বিপদ এড়ানো যেত ।
এজন্য আমাদের অজ্ঞতা অনেকাংশেই দায়ী । তাছাড়া বর্তমান সময়ে ৩০-৩২ বছর বয়সেই প্রচুর স্ট্রোক হচ্ছে যা এই অল্প বয়সেই ডেকে আনছে মৃত্যু বা স্থায়ী বিকলাঙ্গতা । তাই এ সংক্রান্ত কিছু মৌলিক বিষয় জানা থাকা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ।
অধিকাংশ স্ট্রোকই সংঘটিত হওয়ার আগে একটা পূর্ব সংকেত দিয়ে থাকে । তবে অধিকাংশ মানুষই এটি বুঝতে পারে না অথচ এটি বুঝতে পারলে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব ।
প্রতিটি স্ট্রোক হওয়ার আগে সাধারনত একটা মিনি স্ট্রোক হয়ে থাকে । একে টিআইএ বলে । টিআইএ-র লক্ষন কিছুটা স্ট্রোক এর মতই তবে এতে রোগী অল্প কিছুক্ষনের (সর্র্বোচ্চ ২৪ ঘন্টা ) মধ্যেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যা্য, তাই যাদের আগে কখনওই স্ট্রোক হয় নি তারা একে গুরুত্ব দেন না বা ভাবেন সুস্থই তো হয়ে গেছেন ! কখনও টিআইএ-র লক্ষন দেখা দিলে সাথে সাথেই ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে তবেই পূনরায় স্ট্রোক হওয়ার ঝুকি অনেকাংশেই কমে যাবে ।
টিআইএ-র লক্ষণ সমূহ হঠাৎ দেখা দেয় যা নিম্নরূপ হতে পারে :
১। হাত, পা, বা মুখের মাংশপেশীতে অথবা শরীরের ডান বা বাম অংশে আকস্মিক দূর্বলতা বা অবশ হয়ে যাওয়া ।
( most important )
২। হঠাৎ জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পাওয়া বা কিছু বুঝতে না পারা তথা জ্ঞানশূন্য হয়ে যাওয়া ।
৩। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ও খিচুনি ।
৪।
কথা বলতে না পারা, জড়তা বা আটকে আসা বা ভুলে যাওয়া।
৫। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা, বমি বা মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি ।
৬। হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলা বা ঝাপসা দেখা ।
তবে এ সকল উপসর্গ অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই উপশম হয়ে যেতে পারে ।
অনেকেই ঘুমের মধ্যে টিআইএ- র শিকার হন এবং কিছুক্ষন পরই সুস্থ হয়ে যাওয়ায় সকালে ভাবেন হয়ত দুঃস্বপ্ন দেখেছিলেন বলে এমন হয়েছিল কিংবা গ্রাম এলাকায় অনেকেই ভাবেন স্বপ্নে "বোবা-য় ধরেছিল" । কিন্ত এটিই যে পরবর্তিতে মেজর স্ট্রোক সংঘটিত হওয়ার গুরুত্বপুর্ণ সিগন্যাল তা বুঝতে পারেন না । অনেক ক্ষেত্রেই টিআইএ হওয়ার কিছুদিন পরই মেজর স্ট্রোক সংঘটিত হয় (অনেক ক্ষেত্রে ৭দিনের মধ্যেই ) তাই টিআইএ হলে সাথেসাথেই চিকিৎসা শুরু করে দিতে হয় ।
তাই কখনও উপরের লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অতি শীঘ্রই নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন কোনো অবহেলা না করেই ।
আর কোনো রোগী স্ট্রোক করেছে কিনা তা বুঝতে FAST নামক একটা সংকেত ব্যাবহার করা হয় । FAST মানে হল :
F = Facial weakness (মুখের মাংশপেশীর দূর্বলতা )
A = Arm weakness (হাত দূর্বলতা তথা নীচ থেকে উপরে তুলতে না পারা )
S = Speaking or smiling problem (কথা বলতে বা হাসতে সমস্যা )
T = Time save (সময় বাচানো তথা FAST বা দ্রুত ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হওয়া )
এক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের কাছে গেলে স্ট্রোক এর অত্যাবশ্যক ক্ষতি হওয়ার হাত থেকে বাচা সম্ভব । মনে রাখতে হবে এ সময় প্রতিটা মিনিট এর মূল্য হয়তবা একেকটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমান হয়ে দাড়াতে পারে । তাই স্ট্টোক হয়ে গেলে অযথা এক সেকেন্ড সময়ও নষ্ট না করবেন না, দ্রুত হসপিটালে নিয়ে যান । একটু সচেতনতাই পারে একটা মানুষকে সমূহ স্ট্রোক এর মারাত্বক ঝুকি থেকে বাচাতে ।
অতএব, টিআইএ কে অবহেলা করবেন না কখনই । নিয়মিত ব্লাড প্রেশার ও ডায়বেটিস কন্ট্রোল করুন এবং আজই ধুমপান ছেড়ে দিন, অধিক তেল যুক্ত খাবার বর্জন করুন ও সুস্থ থাকুন ।
সবার জন্য শুভকামনা রইল .....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।