সফল ব্লগার নয়, সত্যবাদী ব্লগার হওয়াই হোক আমাদের লক্ষ্য। এতদিন আমরা যারা শাহবাগে রাজাকারদের ফাঁসির জন্য আন্দোলন করছি তাদেরকে গাঁজাখোর বলে অপবাদ দিয়ে আসছিলো জামায়াত-শিবির। কিন্তু এখন তো দেখছি কাহিনী পুরাই উল্টা! কয় পুরিয়া গাঞ্জিকা সেবন করিলে মানুষ চান্দে সাঈদী দেখে বলতে পারেন?
কোন ছাগু কি জাতের ক্যামেরা দিয়া কোন রকেটে চইড়া সাঈদী হুজুরের ছবি তুলসে এইটা কি কেও জানেন?
আমার পরিচিত এক ছোট ভাই যে রাজশাহী ইউনিভার্সিটির নামকরা একটা ডিপার্টমেন্টের ছাত্র (নাম+ঠিকানা বলে পাগলের পরিচয় প্রকাশ করলাম না) তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে দিসে যে সে নাকি কাল আবছা ভাবে সাঈদী হুজুরকে চাঁদে দেকসে! তো আমি কমেন্টে বললাম যে বাসায় আসিস একদিন, কানের উপর এমন থাপ্পড় দিবো যে চাঁদের সাথে সাথে তারার মধ্যেও সাঈদীকে দেখা শুরু করবি।
খুব অবাক হই যখন দেখি এই ধরণের শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে এধরণের কথা বলছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মানে অবশ্যই সে ১২ ক্লাস পড়াশোনা করে কঠোর প্রতিযোগীতার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে চান্স পেয়েছে।
এরাই একদিন দেশের হাল ধরবে। বড় বড় চাকরী করবে, আমলা হবে। কিন্তু এদেরই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে গ্রামের সাধারণ সহজ সরল মানুষ গুলো কি করবে? আফসোস....বড়ই আফসোস! মওদুদী ব্রেইন ওয়াশ যে কত শক্তিশালী সেটা ইদানিং ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে সত্যিই গেছিলো কিনা সেটা নিয়েই এখনো বিতর্ক শেষ হয়নি আর এরা সাঈদীকে চাঁদে পাঠিয়ে দিলো! অবশ্য এ ঘটনা এটাই প্রথম না। ২০০৮ সালে দেওয়ানবাগী হুজুরকেও চাঁদে দেখা গেছিলো!
আল্লাহ মানুষকে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে পাঠিয়েছে।
অথচ মানুষ কত সহজেই ভন্ড ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছে! সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের এইরকম অধ:পতন দেখে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করা যায়?
ধর্মান্ধ আর ধর্ম পরায়ণ মানুষের মধ্যে আমি যে পার্থক্য টুকু দেখেত পাই,
ধর্মান্ধরা ধর্মকে বিশ্বাস করে বলে মনে করে এবং একসময় নিজের উদ্ভট কর্মকান্ডকেই ধর্ম বলে বিশ্বাস করতে থাকে।
আর ধর্ম পরায়ণরা ধর্মকে বিশ্বাস করে এবং ধর্মের নিয়ম কানুনকে বিশ্বাস করে সে অনুযায়ী জীবন-যাপন করতে থাকে।
এখানেই জামাত শিবির এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্য। আশা করি কারো বুঝতে অসুবিধা হবে না?
সামনে আরো যা যা শুনতে পারি গাঁজাখোর ছাগুদের থেকে:
ভূমিকম্প হইলে - ভূমিকম্প হয়নি সাঈদীর প্রতি অবিচারে আল্লাহর আরশ কেঁপেছিল !
বৃষ্টি হইলে - বৃষ্টি না, মেঘেরা কানতেছে আজ , সাইদীর মুক্তি চেয়ে !
ভেজাল মাল দিয়ে বানানো কোন বিল্ডিং হেলে পরলে - কিয়ামতের আলামত , সাইদীর মুক্তিতেই কেবল কিয়ামত এর হাত থেকে বাচা যাবে
আল্লাহ না করুক কোন বিচারক মারা গেলে - হা হা বলসিলাম না গজব , সাইদীর কিছু হলে এমনি গজব পরবে !
আকাশে বিজলি চমকালে - আল্লাহ টর্চ মেরে নাস্তিকদের চিনে রাখলো যারা সাঈদী হুজুরের বিরুদ্ধে কথা বলছে!
আকাশ কালো করে মেঘ জমলে - আকাশ মুখ কালো করে বসে আছে সাঈদী হুজুরের ফাঁসির রায় শুনে!
বন্যা হইলে - সাঈদীর চোখের জল বন্যার পানি হয়ে নাস্তিকদের ঘরবাড়ি ডুবিয়ে দিচ্ছে!
পাহাড় ধসে পড়লে - পাহাড়ও মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকছে না সাঈদীর রায় শুনে!
খরা হলে - সাঈদীর রায় শুনে আবহাওয়া কাঁদতে কাঁদতে শুষ্ক হয়ে গেছে!
আপনাদের মাথায় আর কিছু আসলে বইলেন, যোগ করে দিব। তবে প্লিজ আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব অথবা পরিচিত জনদের মাঝে কোন ছাগু থাকলে অতিদ্রুত মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
এরা সিজফ্রেনিয়া এবং হ্যালুসিনেশনে ভুগছে। আর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে না পারলে অন্তত শক্ত দড়ি দিয়ে গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখুন, সাথে কয়েক গুচ্ছ কাঁঠাল পাতা দিতে ভুলবেন না।
সকল ছাগুর দ্রুত মানসিক আরোগ্য কামনা করছি। ডাক্তার ভাইরা প্লিজ এগিয়ে আসুন, দরকার পড়লে আমরা ব্লগে স্টিকি পোস্ট দিয়ে ছাগুদের চিকিৎসার জন্য তহবিল গঠন করবো।
এতদিন আমরা যারা শাহবাগে রাজাকারদের ফাঁসির জন্য আন্দোলন করছি তাদেরকে গাঁজাখোর বলে অপবাদ দিয়ে আসছিলো জামায়াত-শিবির।
কিন্তু এখন তো দেখছি কাহিনী পুরাই উল্টা! কয় পুরিয়া গাঞ্জিকা সেবন করিলে মানুষ চান্দে সাঈদী দেখে বলতে পারেন?
কোন ছাগু কি জাতের ক্যামেরা দিয়া কোন রকেটে চইড়া সাঈদী হুজুরের ছবি তুলসে এইটা কি কেও জানেন?
আমার পরিচিত এক ছোট ভাই যে রাজশাহী ইউনিভার্সিটির নামকরা একটা ডিপার্টমেন্টের ছাত্র (নাম+ঠিকানা বলে পাগলের পরিচয় প্রকাশ করলাম না) তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে দিসে যে সে নাকি কাল আবছা ভাবে সাঈদী হুজুরকে চাঁদে দেকসে! তো আমি কমেন্টে বললাম যে বাসায় আসিস একদিন, কানের উপর এমন থাপ্পড় দিবো যে চাঁদের সাথে সাথে তারার মধ্যেও সাঈদীকে দেখা শুরু করবি।
খুব অবাক হই যখন দেখি এই ধরণের শিক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে এধরণের কথা বলছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মানে অবশ্যই সে ১২ ক্লাস পড়াশোনা করে কঠোর প্রতিযোগীতার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে চান্স পেয়েছে। এরাই একদিন দেশের হাল ধরবে। বড় বড় চাকরী করবে, আমলা হবে।
কিন্তু এদেরই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে গ্রামের সাধারণ সহজ সরল মানুষ গুলো কি করবে? আফসোস....বড়ই আফসোস! মওদুদী ব্রেইন ওয়াশ যে কত শক্তিশালী সেটা ইদানিং ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে সত্যিই গেছিলো কিনা সেটা নিয়েই এখনো বিতর্ক শেষ হয়নি আর এরা সাঈদীকে চাঁদে পাঠিয়ে দিলো! অবশ্য এ ঘটনা এটাই প্রথম না। ২০০৮ সালে দেওয়ানবাগী হুজুরকেও চাঁদে দেখা গেছিলো!
ছবি: ২০০৮ এ দেওয়ানবাগী হুজুরকে চাঁদে দেখা গেছে দাবী করে অফিসিয়াল প্যাডে প্রচার। ক্যামেরা এবং রকেট সঙ্কটের কারণে মনে হয় তারা ছবি তুলতে পারেনি!
ছবি: চাঁদে সাঈদী হুজুর
ছবি: গতরাতেও সাঈদী হুজুরকে চাঁদে দেখা গেছে!
আল্লাহ মানুষকে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে পাঠিয়েছে। অথচ মানুষ কত সহজেই ভন্ড ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছে! সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের এইরকম অধ:পতন দেখে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করা যায়?
ধর্মান্ধ আর ধর্ম পরায়ণ মানুষের মধ্যে আমি যে পার্থক্য টুকু দেখেত পাই,
ধর্মান্ধরা ধর্মকে বিশ্বাস করে বলে মনে করে এবং একসময় নিজের উদ্ভট কর্মকান্ডকেই ধর্ম বলে বিশ্বাস করতে থাকে।
আর ধর্ম পরায়ণরা ধর্মকে বিশ্বাস করে এবং ধর্মের নিয়ম কানুনকে বিশ্বাস করে সে অনুযায়ী জীবন-যাপন করতে থাকে।
এখানেই জামাত শিবির এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে পার্থক্য। আশা করি কারো বুঝতে অসুবিধা হবে না?
সামনে আরো যা যা শুনতে পারি গাঁজাখোর ছাগুদের থেকে:
ভূমিকম্প হইলে - ভূমিকম্প হয়নি সাঈদীর প্রতি অবিচারে আল্লাহর আরশ কেঁপেছিল !
বৃষ্টি হইলে - বৃষ্টি না, মেঘেরা কানতেছে আজ , সাইদীর মুক্তি চেয়ে !
ভেজাল মাল দিয়ে বানানো কোন বিল্ডিং হেলে পরলে - কিয়ামতের আলামত , সাইদীর মুক্তিতেই কেবল কিয়ামত এর হাত থেকে বাচা যাবে
আল্লাহ না করুক কোন বিচারক মারা গেলে - হা হা বলসিলাম না গজব , সাইদীর কিছু হলে এমনি গজব পরবে !
আকাশে বিজলি চমকালে - আল্লাহ টর্চ মেরে নাস্তিকদের চিনে রাখলো যারা সাঈদী হুজুরের বিরুদ্ধে কথা বলছে!
আকাশ কালো করে মেঘ জমলে - আকাশ মুখ কালো করে বসে আছে সাঈদী হুজুরের ফাঁসির রায় শুনে!
বন্যা হইলে - সাঈদীর চোখের জল বন্যার পানি হয়ে নাস্তিকদের ঘরবাড়ি ডুবিয়ে দিচ্ছে!
পাহাড় ধসে পড়লে - পাহাড়ও মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকছে না সাঈদীর রায় শুনে!
খরা হলে - সাঈদীর রায় শুনে আবহাওয়া কাঁদতে কাঁদতে শুষ্ক হয়ে গেছে!
আপনাদের মাথায় আর কিছু আসলে বইলেন, যোগ করে দিব। তবে প্লিজ আপনার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব অথবা পরিচিত জনদের মাঝে কোন ছাগু থাকলে অতিদ্রুত মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। এরা সিজফ্রেনিয়া এবং হ্যালুসিনেশনে ভুগছে।
আর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে না পারলে অন্তত শক্ত দড়ি দিয়ে গোয়াল ঘরে বেঁধে রাখুন, সাথে কয়েক গুচ্ছ কাঁঠাল পাতা দিতে ভুলবেন না।
সকল ছাগুর দ্রুত মানসিক আরোগ্য কামনা করছি। ডাক্তার ভাইরা প্লিজ এগিয়ে আসুন, দরকার পড়লে আমরা ব্লগে স্টিকি পোস্ট দিয়ে ছাগুদের চিকিৎসার জন্য তহবিল গঠন করবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।