আলোচিত মডেল ও অভিনয়শিল্পী তিন্নির ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ছবি ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে ব্যথিত হয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও কাছের মানুষরা। তাঁরা কেউই তাঁদের এই প্রিয় মানুষটির বর্তমান অবস্থাটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। সবার একটাই চাওয়া—ফিরে আসুন তিন্নি। সবকিছু ছাপিয়ে আবারও অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠুন। তাঁর যে অসাধারণ অভিনয় ক্ষমতা, তা দিয়ে যেন আবারও সবার মন জয় করে নেন তিনি।
ঘনিষ্ঠজনেরা আকুতি জানিয়ে বলেছেন, ফিরে এসো তিন্নি।
নাট্যনির্মাতা দীপঙ্কর দীপন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিন্নিকে নিয়ে লিখেছেন, ‘দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ এলাকায় ‘‘রুপার মুদ্রা’’ টেলিছবির শুটিং করছিলাম। টেলিছবিটিতে মানসিক ভারসাম্যহীন রেবু চরিত্রে অভিনয় করেন তিন্নি। টেলিছবিটির একটি দৃশ্য ছিল এমন—প্রচণ্ড ঠান্ডার এক রাতে স্টেশনের পাথরের বেঞ্চে এসে শুয়ে আছে তিন্নি। ভোরের ট্রেনে শহরে চলে যাবে।
শুটিংয়ের সময় খুব ঠান্ডাও ছিল। সেই ঠান্ডায় পাথরের বেঞ্চে শুয়ে অনেকক্ষণ শট দেওয়ার পরে তিন্নি আমাকে বলেছিল, রেবু চরিত্রটি থেকে সে বের হতে পারছে না। রেবুর কষ্ট তিন্নিকেও খুব কষ্ট দিচ্ছিল। ’
দীপন আরও লিখেছেন, ‘কাজটির জন্য তিন্নিসহ সবাই কষ্ট করেছে। যাতায়াতের ব্যবস্থা ভালো না থাকায় যাতায়াতেও কষ্ট হয়েছিল।
তবুও মজা করতে করতে কাজ করে ফিরেছি। বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়ে গিয়েছিল। নাটকটি সম্পাদনা শেষ করার পর মিউজিক করতে দিয়েছিলাম আমার বন্ধু টিপুকে (ইবরার টিপু)। টিপু টেলিছবিটি দেখে বলেছিল, এই নাটক শুধু কি-বোর্ড দিয়ে হবে না, সারেঙ্গি, বেহালা, বাঁশি লাগবে। বাজেট তো ছিলই না, আমার হাতে টাকাও ছিল না।
ডাবিং করতে এসে তিন্নি শুনেছিল সেসব। তিন্নি তখন তার নাটকের সম্মানী থেকে কিছু টাকা আমাকে দিয়ে অনুরোধ করেছিল আমি যেন কোনো কারণেই এই কাজে আপস না করি। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।