আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাপ্পা ও চাঁদনীর

চলো এগিয়ে যাই

একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। আরেকজন জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী। দু'জনে ভালোবাসার টানে ঘর বেঁধেছেন একসাথে। বাপ্পা মজুমদার ও চাঁদনীর দাম্পত্য জীবনও কাটছে আনন্দে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আনন্দ বিনোদন-এর আয়োজনে তাদের ভালোবাসার রসায়ন নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

লিখেছেন রকিব হোসেন ও ছবি তুলেছেন দীপঙ্কর দীপু অনেককেই বলতে শুনি বিয়ের আগের চেয়ে বিয়ের পরের ভালোবাসাটাই আসল ভালোবাসা। বিয়ের পরই আসলে প্রকৃত ভালোবাসার পাখিটা ডানা মেলে_এ বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে চাই কথা শুনে দু'জনেই একে অপরের দিকে চেয়ে মৃদু হাসলেন। দেখে মনে হলো_চোখে চোখে তাদের কথাও হলো। প্রথমে মুখ খুললেন বাপ্পা মজুমদার। তিনি বললেন, 'চাঁদনী আমাকে খুব পছন্দ করে বা ভালোবাসে, বিষয়টি সে রকম ছিল না।

আসলে প্রেম বলতে যে বিষয়টা বোঝায়, তা হয়নি। অনেক দিন প্রেম করেছি, তারপর তা পরিণয় পর্যন্ত গড়িয়েছে, তা কিন্তু নয়। বিয়েটা হুট করেই হয়েছে। আমরা প্রেম করছি বিয়ের পরেই। এটাই আমাদের দুজনের সম্পর্কের একটি মজার দিক।

' এবার চাঁদনীর পালা। তিনি বললেন, 'আমাদের পরিচয় খুব একটা বেশি দিনের ছিল না। এক থেকে দুই মাসের পরিচয় ছিল। এই অল্প সময়ে প্রেম কখন হবে, তা বুঝতে পারিনি। ভালো লাগার একটা বিষয় ছিল।

আগে থেকেই আমি ওর গান পছন্দ করতাম। ওর আচরণ, কথাবার্তা ভালো লাগতো। আসলে ভালো লাগার জায়গা থেকে এই পরিণতিটা হয়েছে। প্রেম ভালোবাসার পর বিয়ে করেছি, এটা হয়নি। বিয়ের পরই আসলে প্রেম হয়েছে।

' কিছু গল্প বলতে সবসময়ই ভালো লাগে। কেউ যখন আপনাদের ভালোবাসার গল্প শুনতে চায় তখনকার অনুভূতি কী রকম হয়? অবশ্যই ভালো, বললেন বাপ্পা। এখনো ভালোবাসার গল্প বলতে গেলে আমরা বেশি নস্টালজিক হয়ে যাই। যদিও সময়টা খুব বেশি দিনের নয়। আমাদের বিয়ের বয়স এখনো তিন বছর হয়নি।

আমার ওই মুহূর্তগুলো খুব মনে পড়ে, যখন মাঝে মধ্যে আমরা লং ড্রাইভে বের হতাম। ও আমাকে প্রায়ই ড্রাইভিং টিপস দিতো। তখন ও আমাকে আপনি করে বলতো। ব্রেক করে, এটা করেন ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো আমি খুব মনে করি।

এই ছোটখাট বিষয়গুলো আমার খুব ভালো লাগতো। তার কথার সাথে চাঁদনীও যোগ দিয়ে বললেন, হঁ্যা আমারো এই বিষয়গুলো ভালো লাগতো ও মনে পড়তো। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ও যেদিন আমাকে বলে যে, তুমি আমাকে বিয়ে করবা। রাত দুইটার সময় ও যখন ফোন করে এই কথা বলে, তখন আমার আনন্দের সীমা ছিল না। আরেকটি দিনের কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে, তা হলো_প্রথম যে দিন তার সাথে বাইরে বের হই।

ওই দিন আমরা পিজা হাটে বসে মজার জন্য দুজন একে অপরের কান মেপেছিলাম। এবার জানতে চাই, কখন আপনারা বুঝতে পেরেছিলেন যে একজনকে ছাড়া অন্যজনের চলবেনা। আপনাদের দাম্পত্য জীবনের এখনকার মুহূর্তগুলো কিভাবে কাটে? 'ওর তখন বিয়ের কথা চলছিল। ওই মুহূর্তটা যখন আমি অনুধাবন করতে পারলাম তখন বুঝলাম আমি বড় কিছু হারাচ্ছি। আমার ওকেই প্রয়োজন।

তখন অনুভূতিতে ছিল ওকে ছাড়া আমার জীবন চলবে না। ওকে হারালে আমি অচল হয়ে যাব। ' কথাগুলো এক নিশ্বাসে বললেন বাপ্পা মজুমদার। বাপ্পার কথা শুনে চাঁদনী মুচকি হাসলেন। বাপ্পা আরো বলেন, 'চাঁদনী অনেক ভালো মনের একটি মেয়ে।

ও অনেক বোঝে, সবকিছুকে কম্প্রমাইজ করতে পারে, তার এই দু'টো গুণ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ও আমাকে বুঝতে পারে। একটা মানুষের ছোট্ট সময়ের মধ্যে তার ভেতরের বিষয়গুলোকে বোঝা অনেক বড় ব্যাপার। এই গুণটি তার রয়েছে। ' এবার চাঁদনীর পালা।

তিনি বললেন, 'বাসা থেকে আমার বিয়ে ঠিকঠাক হয়েছিল আরেকটি ছেলের সাথে। মা চেয়েছিলেন আমি মাস্টার্স শেষ করে যেন বিয়ে করি। ওভাবেই দিন এগুচ্ছিল। মাঝে মধ্যে বাপ্পা দা'র সাথে দেখা হতো হঠাৎ করেই। আমরা মজা করে গল্প করতাম।

বাসায় ঘটক আসার কথা শুনে একদিন বাপ্পা দা ফোন করে বলেন, কী ব্যাপার তোমার বাসায় ঘটক কেন? উত্তরে আমি বলেছিলাম, মাঝে মধ্যেই তো আসে। কথাটা শুনে তার মাঝে রিয়েকশন হয়, পরে একদিন রাতে ফোন করে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি আগে থেকেই তার গান খুব পছন্দ করতাম। আমি ফোনে তার বিয়ের প্রস্তাবটা ্ওইভাবে আশা করিনি। আমার চিন্তার মধ্যেও ছিল না তার সাথে আমার বিয়ে হবে।

আমিও তাকে ওইভাবে দেখতাম না। আমি চাইতাম সবসময় ওনি ভালো থাকুক এটুকুই। তার প্রতি সবসময়ই আমার শ্রদ্ধাটা ছিল। তার আরেকটি গুণ আমার ভালো লাগতো_ওনি মা, ভাই ও পরিবারের প্রতি অনেক কেয়ারিং ছিলেন। তার বিনয়ী স্বভাবটাও আমার ভালো লাগতো।

সব মিলিয়ে ভাবতাম বাপ্পা দা একজন ভালো মানুষ। তার বিয়ের প্রস্তাবটা শুনে আমি তাকে বলেছিলাম আমার কোনো সমস্যা নেই। তারপর বিয়ে হয়ে গেল। দাম্পত্য জীবনের মুহূর্তগুলো কেমন কাটে? মান-অভিমান, খুনসুটি, একজনের প্রতি অন্যজনের কেয়ারিং কেমন? বাপ্পা বলেন, 'বিয়ের পর থেকে আমাদের দাম্পত্য জীবন অনেক সুন্দরভাবে কাটছে। প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের কাছে আনন্দময়।

তবে, মাঝেমধ্যে মান অভিমান ও খুনসুটি হয়। সেইসাথে একজনের প্রতি অন্যজনের কেয়ারিং সবকিছুই বিদ্যমান আমাদের জীবনে। এবার মুখ খুললেন চাঁদনী। তিনি বলেন, আমরা দু'জনেই একে অপরের প্রতি যথেষ্ট কেয়ারিং। বিয়ের প্রায় তিন বছরে ঝগড়া খুব একটা হয়নি।

তবে তিন মাস কিংবা ছয় মাসে একবার ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। কিছুক্ষণ পর আবার সেগুলো ভুলে গিয়ে আমরা একপথে চলেছি। ভালোবাসা দিবস নিয়ে আপনাদের কোনো পস্ন্যান থাকে কিনা। আপনাদের কাছে ভালোবাসা দিবসের গুরুত্ব কেমন? এবার প্রথমেই মুখ খুললেন চাঁদনী। তিনি বলেন, 'ভালোবাসা দিবসের দিনটি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

কেননা, এই দিনে আমার শ্বশুড়ের জন্মদিন। তাই বিয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই দিনে কোনো কাজ রাখি না। পুরোদিনটা পরিবারকে সময় দিই। সন্ধ্যার পর বাবার অর্থাৎ শ্বশুড়ের পরিচিতিজনরা বাসায় আসে। সবাই মিলে সন্ধ্যাটা আমরা গেটটুগেদার করি।

বাপ্পা বলেন, 'ছোট থেকেই দেখে আসছি বাবার জন্মদিন বলে এই দিনটি ঘটা করে পালন করা হয়। বাসায় আত্মীয়স্বজনরা আসেন। সবাই একসাথে আনন্দ করি। বাবার মৃতু্যর পরও আমরা এই দিনটি ছোটবেলার মতোই পালন করে থাকি। আমি মনে করি, এটা আমার ফ্যামিলির একটি ট্র্যাডিশন।

আর যেহেতু আমি গান করি, সেহেতু এই দিনে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নেই। এরপরও এই দিনে কিছুটা সময় আলাদা করে রাখি শুধুমাত্র চাঁদনীর জন্য। ওই সময়টায় আমরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাই। একজন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। আরেকজন জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী।

দু'জনে ভালোবাসার টানে ঘর বেঁধেছেন একসাথে। বাপ্পা মজুমদার ও চাঁদনীর দাম্পত্য জীবনও কাটছে আনন্দে। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আনন্দ বিনোদন-এর আয়োজনে তাদের ভালোবাসার রসায়ন নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। লিখেছেন রকিব হোসেন ও ছবি তুলেছেন দীপঙ্কর দীপু অনেককেই বলতে শুনি বিয়ের আগের চেয়ে বিয়ের পরের ভালোবাসাটাই আসল ভালোবাসা। বিয়ের পরই আসলে প্রকৃত ভালোবাসার পাখিটা ডানা মেলে_এ বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে চাই।

কথা শুনে দু'জনেই একে অপরের দিকে চেয়ে মৃদু হাসলেন। দেখে মনে হলো_চোখে চোখে তাদের কথাও হলো। প্রথমে মুখ খুললেন বাপ্পা মজুমদার। তিনি বললেন, 'চাঁদনী আমাকে খুব পছন্দ করে বা ভালোবাসে, বিষয়টি সে রকম ছিল না। আসলে প্রেম বলতে যে বিষয়টা বোঝায়, তা হয়নি।

অনেক দিন প্রেম করেছি, তারপর তা পরিণয় পর্যন্ত গড়িয়েছে, তা কিন্তু নয়। বিয়েটা হুট করেই হয়েছে। আমরা প্রেম করছি বিয়ের পরেই। এটাই আমাদের দুজনের সম্পর্কের একটি মজার দিক। ' এবার চাঁদনীর পালা।

তিনি বললেন, 'আমাদের পরিচয় খুব একটা বেশি দিনের ছিল না। এক থেকে দুই মাসের পরিচয় ছিল। এই অল্প সময়ে প্রেম কখন হবে, তা বুঝতে পারিনি। ভালো লাগার একটা বিষয় ছিল। আগে থেকেই আমি ওর গান পছন্দ করতাম।

ওর আচরণ, কথাবার্তা ভালো লাগতো। আসলে ভালো লাগার জায়গা থেকে এই পরিণতিটা হয়েছে। প্রেম ভালোবাসার পর বিয়ে করেছি, এটা হয়নি। বিয়ের পরই আসলে প্রেম হয়েছে। ' কিছু গল্প বলতে সবসময়ই ভালো লাগে।

কেউ যখন আপনাদের ভালোবাসার গল্প শুনতে চায় তখনকার অনুভূতি কী রকম হয়? অবশ্যই ভালো, বললেন বাপ্পা। এখনো ভালোবাসার গল্প বলতে গেলে আমরা বেশি নস্টালজিক হয়ে যাই। যদিও সময়টা খুব বেশি দিনের নয়। আমাদের বিয়ের বয়স এখনো তিন বছর হয়নি। আমার ওই মুহূর্তগুলো খুব মনে পড়ে, যখন মাঝে মধ্যে আমরা লং ড্রাইভে বের হতাম।

ও আমাকে প্রায়ই ড্রাইভিং টিপস দিতো। তখন ও আমাকে আপনি করে বলতো। ব্রেক করে, এটা করেন ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো আমি খুব মনে করি। এই ছোটখাট বিষয়গুলো আমার খুব ভালো লাগতো।

তার কথার সাথে চাঁদনীও যোগ দিয়ে বললেন, হঁ্যা আমারো এই বিষয়গুলো ভালো লাগতো ও মনে পড়তো। সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে ও যেদিন আমাকে বলে যে, তুমি আমাকে বিয়ে করবা। রাত দুইটার সময় ও যখন ফোন করে এই কথা বলে, তখন আমার আনন্দের সীমা ছিল না। আরেকটি দিনের কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে, তা হলো_প্রথম যে দিন তার সাথে বাইরে বের হই। ওই দিন আমরা পিজা হাটে বসে মজার জন্য দুজন একে অপরের কান মেপেছিলাম।

এবার জানতে চাই, কখন আপনারা বুঝতে পেরেছিলেন যে একজনকে ছাড়া অন্যজনের চলবেনা। আপনাদের দাম্পত্য জীবনের এখনকার মুহূর্তগুলো কিভাবে কাটে? 'ওর তখন বিয়ের কথা চলছিল। ওই মুহূর্তটা যখন আমি অনুধাবন করতে পারলাম তখন বুঝলাম আমি বড় কিছু হারাচ্ছি। আমার ওকেই প্রয়োজন। তখন অনুভূতিতে ছিল ওকে ছাড়া আমার জীবন চলবে না।

ওকে হারালে আমি অচল হয়ে যাব। ' কথাগুলো এক নিশ্বাসে বললেন বাপ্পা মজুমদার। বাপ্পার কথা শুনে চাঁদনী মুচকি হাসলেন। বাপ্পা আরো বলেন, 'চাঁদনী অনেক ভালো মনের একটি মেয়ে। ও অনেক বোঝে, সবকিছুকে কম্প্রমাইজ করতে পারে, তার এই দু'টো গুণ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ও আমাকে বুঝতে পারে। একটা মানুষের ছোট্ট সময়ের মধ্যে তার ভেতরের বিষয়গুলোকে বোঝা অনেক বড় ব্যাপার। এই গুণটি তার রয়েছে। ' এবার চাঁদনীর পালা। তিনি বললেন, 'বাসা থেকে আমার বিয়ে ঠিকঠাক হয়েছিল আরেকটি ছেলের সাথে।

মা চেয়েছিলেন আমি মাস্টার্স শেষ করে যেন বিয়ে করি। ওভাবেই দিন এগুচ্ছিল। মাঝে মধ্যে বাপ্পা দা'র সাথে দেখা হতো হঠাৎ করেই। আমরা মজা করে গল্প করতাম। বাসায় ঘটক আসার কথা শুনে একদিন বাপ্পা দা ফোন করে বলেন, কী ব্যাপার তোমার বাসায় ঘটক কেন? উত্তরে আমি বলেছিলাম, মাঝে মধ্যেই তো আসে।

কথাটা শুনে তার মাঝে রিয়েকশন হয়, পরে একদিন রাতে ফোন করে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি আগে থেকেই তার গান খুব পছন্দ করতাম। আমি ফোনে তার বিয়ের প্রস্তাবটা ্ওইভাবে আশা করিনি। আমার চিন্তার মধ্যেও ছিল না তার সাথে আমার বিয়ে হবে। আমিও তাকে ওইভাবে দেখতাম না।

আমি চাইতাম সবসময় ওনি ভালো থাকুক এটুকুই। তার প্রতি সবসময়ই আমার শ্রদ্ধাটা ছিল। তার আরেকটি গুণ আমার ভালো লাগতো_ওনি মা, ভাই ও পরিবারের প্রতি অনেক কেয়ারিং ছিলেন। তার বিনয়ী স্বভাবটাও আমার ভালো লাগতো। সব মিলিয়ে ভাবতাম বাপ্পা দা একজন ভালো মানুষ।

তার বিয়ের প্রস্তাবটা শুনে আমি তাকে বলেছিলাম আমার কোনো সমস্যা নেই। তারপর বিয়ে হয়ে গেল। দাম্পত্য জীবনের মুহূর্তগুলো কেমন কাটে? মান-অভিমান, খুনসুটি, একজনের প্রতি অন্যজনের কেয়ারিং কেমন? বাপ্পা বলেন, 'বিয়ের পর থেকে আমাদের দাম্পত্য জীবন অনেক সুন্দরভাবে কাটছে। প্রতিটি মুহূর্ত আমাদের কাছে আনন্দময়। তবে, মাঝেমধ্যে মান অভিমান ও খুনসুটি হয়।

সেইসাথে একজনের প্রতি অন্যজনের কেয়ারিং সবকিছুই বিদ্যমান আমাদের জীবনে। এবার মুখ খুললেন চাঁদনী। তিনি বলেন, আমরা দু'জনেই একে অপরের প্রতি যথেষ্ট কেয়ারিং। বিয়ের প্রায় তিন বছরে ঝগড়া খুব একটা হয়নি। তবে তিন মাস কিংবা ছয় মাসে একবার ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে।

কিছুক্ষণ পর আবার সেগুলো ভুলে গিয়ে আমরা একপথে চলেছি। ভালোবাসা দিবস নিয়ে আপনাদের কোনো পস্ন্যান থাকে কিনা। আপনাদের কাছে ভালোবাসা দিবসের গুরুত্ব কেমন? এবার প্রথমেই মুখ খুললেন চাঁদনী। তিনি বলেন, 'ভালোবাসা দিবসের দিনটি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, এই দিনে আমার শ্বশুড়ের জন্মদিন।

তাই বিয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই দিনে কোনো কাজ রাখি না। পুরোদিনটা পরিবারকে সময় দিই। সন্ধ্যার পর বাবার অর্থাৎ শ্বশুড়ের পরিচিতিজনরা বাসায় আসে। সবাই মিলে সন্ধ্যাটা আমরা গেটটুগেদার করি। বাপ্পা বলেন, 'ছোট থেকেই দেখে আসছি বাবার জন্মদিন বলে এই দিনটি ঘটা করে পালন করা হয়।

বাসায় আত্মীয়স্বজনরা আসেন। সবাই একসাথে আনন্দ করি। বাবার মৃতু্যর পরও আমরা এই দিনটি ছোটবেলার মতোই পালন করে থাকি। আমি মনে করি, এটা আমার ফ্যামিলির একটি ট্র্যাডিশন। আর যেহেতু আমি গান করি, সেহেতু এই দিনে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নেই।

এরপরও এই দিনে কিছুটা সময় আলাদা করে রাখি শুধুমাত্র চাঁদনীর জন্য। ওই সময়টায় আমরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাই।  আহা ! কি প্রেম (সংগ্রহ)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.