অলস ছেলে
যুদ্ধাপরাধ আদালতের অন্যতম ও বহুল আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালিকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে নয়া দিল্লির সুপ্রিম কোর্ট। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় পাওয়া জামায়াতের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষের সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি। জামায়াতের দাবি, তিনি সাঈদীর মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হওয়ার সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা তাকে তুলে নেয়। তারপর দীর্ঘদিন সুখরঞ্জন ছিলেন নিখোঁজ। সম্প্রতি খবর বের হয় যে, তিনি কলকাতার দমদমে একটি জেলে বন্দি আছেন।
এ খবর দিয়েছে কলকাতার অনলাইন টেলিগ্রাফ। এতে বলা হয়, তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, তাকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা আদালতের গেট থেকে তুলে নিয়ে বেশ কিছুদিন পরে সীমান্ত দিয়ে জোর করে ভারতে পাঠিয়ে দেয়। তিনি অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশের কারণে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। তারপর থেকে তিনি জেলে বন্দি। তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হলে তাকে মেরে ফেলবে সরকার।
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। সেখানে আদালত তার আবেদন সাময়িক সময়ের জন্য গ্রহণ করেন। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ইন্দিরা জয়সিং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আদালতকে একটি নিশ্চয়তা দেন যে, সরকার সুখরঞ্জনের বিরুদ্ধে দু’সপ্তাহের জন্য কোন ব্যবস্থা নেবে না। এর প্রেক্ষিতে আদালত ওই রায় দেন। বলা হয়, তবে কলকাতা হাই কোর্ট চাইলে সুখরঞ্জনের ভারতে অবস্থানের মেয়াদ বাড়াতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি. এস চৌহারন ও এস. এ বোবড়ে গতকাল এ রায় দেন। সুখরঞ্জনকে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর আবেদন আগামী ৭ই আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টে হওয়ার কথা রয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট সুখরঞ্জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আবেদন ৭ই আগস্ট পর্যন্ত মূলতবি করার পর তিনি দ্রুততার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি এক ভাইপোর মাধ্যমে ওই আবেদন করেন।
উৎস
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।