একটু ভাবতে হবে.......... এটা আমার জন্য আজন্ম পাপ আর লজ্জার বিষয় যে আমি চট্রগ্রামের সাতকানিয়া নামক এক পাকিস্তানী অধ্যাষুত এলাকার সন্তান। যে অঞ্চলটি সেই একাত্তর থেকে এখনো পাকিস্তানী কীট বেজন্মা জামাতিদের নিয়ন্ত্রণে । শুনলে খুব অবাক হবেন যে সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ততকালীন আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২টি আসনের মধ্যে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ১৬০ টি আসনে জয় লাভ করে । আর যে দুটি আসনে জয় লাভ করতে পারে নাই তার মধ্যে একটি হল জামাতের আঁখড়া সাতকানিয়া-বাঁশখালী । এই আসনটি তখনো পশ্চিম পাকিস্তানী ভুট্রোর পিপলস পার্টি জিতে নেয়।
সেই থেকে এখন অব্দি এই সাতকানিয়া হল জামাতি ছানা উৎপাদনের মাদারল্যান্ড । পুরো বাংলাদেশের মধ্যে এটি শুধু জামাতের ঘাঁটি না বলতে হয় সামরিক ক্যান্টনমেন্ট । জামাতের সব ধরনের অপকর্মের নীল নকশা করা হয় এখান থেকেই। দেইল্যা রাজাকারের রায় ঘোষনার পর থেকে এই সাতকানিয়া এখন কুরুক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে । জামাতি সশস্ত্র ক্যাডাররা রাস্তাই প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে ।
রাস্তা ঘাটে অসংখ্য জ্যান্ত গাছ কেটে ফেলে রেখে পুরো যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে । সেই সুযোগে জামাতি সসস্ত্র ক্যাডাররা ভিন্নধর্মালম্বী ও প্রগতিশীল লোকদের বাড়িতে ডাকাতি, লুটপাত ও অগ্নি সংযোগ করতেছে । এই কুত্তা গুলো ভিবিন্ন মন্দিরে অগ্নি সংযোগ ও প্রতিমা ভাংচুর করেছে । তাছাড়া এই হায়েনারা কালভার্ট ভেঙ্গে প্রধান সড়কে ইট দিয়ে দেয়াল তুলে দিয়েছে যাতে প্রশাসন ও সাংবাদিকরা ভেতরের অবস্তা জানতে না পারে । এই সন্ত্রাসদের হামলায় সাতকানিয়ায় গত কয়েকদিনে ১৫ জনের অধিক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ।
আজকে ৪-৫ দিন ধরে কার্যত মানুষ গৃহবন্ধী হয়ে দিন কাটাচ্ছে ।
অবস্থা কতটা ভয়াবহ হলে এই সন্ত্রাসরা নাকি প্রশাসনকে থানা ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছে । এমন কি জানতে পারলাম বেশ কিছু মাদ্রাসায় পাকিস্তানি পতাকাও উড়ানো হচ্ছে । মোট কথা সাতকানিয়া যেন এখন বাংলাদেশের মধ্যে একখণ্ড পাকিস্তান । আজ সকালে জামাতি সশস্ত্র ক্যাডাররা আমার বন্ধু তানভীর রিয়াজ কে তার বাসার পাশেই নির্মম ভাবে পিটিয়ে জখম করেছে।
এই যাত্রাই সে ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচেছে । তাঁরা আমার বাড়িতে গিয়ে আমার খোঁজ নিয়েছে এবং মৃত্যু হুমকিও দিয়ে আসছে । যখন থেকে না চট্রগ্রাম জামাল খান গণজাগরণ মঞ্চের গণ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়েছি এই নিয়ে বেশ কয়েকবার আমাকে মৃত্যু হুমকি দেয়া হয়েছে । আর আজ এই আন্দোলনের একজন কর্মী আমার বন্ধুকে এই কুলাঙ্গার হায়েনারা নির্মম ভাবে জখম করেছে । তবে আমি ভীত নই ।
রাজপথে যখন নেমেছি এই বেজন্মাদের সমূলে উৎকাত না করে ঘরে ফিরতেছি না । কিন্তু সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়াটা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব । সেই সাথে দেশবাসীকে আহবান জানাচ্ছি একাত্তরের এই পরাজিত শক্তিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই । সবাইকে নিজ নিজ জায়গায় এই বেজন্মা জামাত-শিবিরের বিরোদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে । সেই সাথে আমি সাতকানিয়ার সাধারণ জনগণকে এই সন্ত্রাসদের ভয়াল থাবা থেকে উদ্দার করার জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি উদার আহবান জানাচ্ছি।
একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে স্বাধীনতা বিরোধীদের এই ত্রাসের রাজত্ব আমাদের শহীদ বেদীকে কলঙ্কিত করে যে!!!
## লেখাটি সবাই শেয়ার করবেন প্লিস ।
আমরা লড়ব । জিতব। জয় বাঙলা । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।