মানুষের আসল পরিচয় পাওয়া যায় বিপদের মুহুর্তে
গত শনিবার একটি কাজে কলেজগেট থেকে মোহাম্মদপুর যাচ্ছিলাম। ভাড়া ঠিক করে রিক্সায় উঠলাম। রিক্সাওয়ালা ছিলেন মোটামুটি বয়স্ক লোক। একটা ব্যাপার দেখে চোখ আটকে গেল। লোকটির পিঠে একটি লেমিনেটিং করা কাগজ পিন দিয়ে আটকানো।
তাতে লেখা
“SSC-2008 GPA-5 (A+)
HSC-2010 GPA-5 (A+)
আমার মেয়েটি ডাক্তারি পরতে সরকারী
মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে।
বই কেনার জন্য সাহায্য করুন
আমি বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালা। ”
তাঁকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম তার মেয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছে এবং ঢাকার কল্যাণপুর এলাকার কোন এক স্কুল ও কলেজ থেকে পাস করেছে।
আমরা পথের ধারে এমন অনেক দেখি বিভিন্ন কারণে সাহায্যের জন্য হাত পাততে। এর সামান্য কয়েকটি ছাড়া প্রায় সবগুলিই প্রতারণার আশ্রয় নেয়া।
ফলে আমরা বুঝতে পারিনা কোনটি আসল আর কোনটি নকল। এতে যেমন প্রতারকেরা লাভবান হচ্ছে তেমনি প্রকৃত সাহায্য প্রর্থীরা হারিয়ে যাচ্ছে প্রতারকদের ভিড়ে। আমাদেরকে ব্যাপারটা শুধু বিশ্বাসের উপরই ছেড়ে দিতে হয়। তবে লোকটিকে দেখে প্রতারক বা এ জাতীয় কোন কিছুই মনে হয় নি। তিনি আমার কাছে কোন বাড়তি টাকাও দাবি করেন নি।
লোকটিকে আমার নির্ভেজালই মনে হয়েছে।
এমন অনেক আছে যাদের পর্যাপ্ত আর্থিক ও অন্যান্য সঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও তাদের সন্তানেরা মানুষের মত মানুষ হয় না। বরং সন্তানের কর্মকাণ্ডের কারণে পিতামাতাকে নাজেহাল হতে হয়। অপরদিকে প্রকট দৈন্যদশা সত্ত্বেও, শত প্রতিকূলতার মাঝেও যারা সংগ্রাম করে টিকে থাকার চেষ্টা করে আমরা কি পারি না তাদের দিকে একটু হাত বাড়িয়ে দিতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।