আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা খুবই খারাপ নজির। রাজনৈতিকভাবে একটা আইন করে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা যেত। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব দিতে পারতেন। সংগঠনটির গঠনতন্ত্রে ফাঁকফোকর থাকলে নির্বাচন কমিশনই এটা করতে পারত। এখন তো নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হলো।
নির্বাচন কমিশনকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হলো। শুক্রবার চ্যানেল আইয়ের টক-শো 'আজকের সংবাদপত্র'-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান এ কথা বলেন। মতিউর রহমান চৌধুরীর উপস্থাপনায় তিনি বলেন, দেশের রাজনীতিতে ঘটনাগুলো দ্রুত পট পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। এক মাত্রা আরেক মাত্রাকে অতিক্রম করছে। সংকটের পর সংকট।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এটাকে বলা হয় 'ফ্রম ক্রাইসিস টু ক্রাইসিস'। পঞ্চদশ সংশোধনী একটা মাত্রা যোগ করেছে। এর মধ্যে আবার মানবতাবিরোধীদের বিচার চলছে। সর্বশেষ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করায় ২০ বছর পর রাজনীতিতে নতুন সংকট যোগ হলো। এসব সংকটের মধ্য দিয়ে উত্তরণ করতে পারলে বুঝব রাজনৈতিকভাবে সফল।
কিন্তু নির্বাচনের আর ৬ মাস সময় আছে। অথচ পঞ্চদশ সংশোধনীর পর এ নির্বাচন নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছে তা সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে সরকার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপক বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞায় নিবন্ধন বাতিল হলে তা আর রাজনৈতিক দল থাকে না। একে বলা হয় গোষ্ঠী। সে হিসেবে জামায়াতকে আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না।
আমরা দেশে একটা রাজনৈতিক পদ্ধতি চাই, যেখানে সব ধরনের স্বার্থ বা গোষ্ঠী রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। তাতে গণতন্ত্র বিকাশ হয়। আমরা সবাই যদি একভাবে কথা বলি তাহলে তো গণতন্ত্র থাকল না। এটা ফ্যাসিজম বা একদলীয় ব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে। এটা দেশের উত্তপ্ত রাজনীতিকে আরও সহিংস করে তুলবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।