আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশ সমূহ কি এর সদস্য ভূক্ত দেশ সমূহ বৃটেনে তাদের জন্য আতংকের নাম United Kingdom Border Agency(UKBA)। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ইউর সুবিধার কারণে ব্যাপক হারে বৃটেনে প্রবেশ করা পোলিশ, চেক ও হাঙ্গেরিয়ানদের কারণে বহু বৃটিশদের চাকুরী পাওয়াটা কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তার উপর নন-ইউরোপীয় দেশ গুলোর অবৈধ অভিবাসীরাতো আছেই। তবুও আমি মনে করে প্রত্যেকে যার যার দেশ হতে প্রচুর সমস্যা, র্দূভোগের কারণে জীবনের ঝুকি নিয়ে এদেশে আসে কম পারিশ্রমিকে কামলা দেওয়ার জন্য। কমবেশী নিজের জন্য রেখে বাকিটা দেশে পরিবার-পরিজনের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
এই দেশে আইন এত কঠিন যে দেখা যায় ইংরেজরা অনেক সময় পোলিশ, চেকদের সাথে ইচ্ছে করেই ঝামেলা বাধিয়ে দেয়। এক বার দুইবার হয়ত এই পোলিশরা সহ্য করে নেয় কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় ধৈহ্য হারিয়ে ফেলে এবং তারাও ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়। পরিণামে এই পোলিশদের পাঠানো হয় ডিটেনশনে। তারপর অপরাধের মাত্রা বুঝে বৃটেন হতে বহিস্কার করে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় নির্দিষ্ট সময়ের অথবা চিরস্থায়ী। যারা ব্যাবসা, টুরিষ্ট, ষ্টুডেন্ট ইত্যাদি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিসা নিয়ে আসে তারা যদি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও রয়ে যায় কিংবা অবৈধ ভাবে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে তো তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যেই ডিটেনশন সেন্টার হতে যার যার দেশে ফিরত পাঠানো হয়।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখনই যে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অথবা অবৈধ ভাবে বিনা পাসপোর্টে বৃটেনে প্রবেশ করছে তাদেরকে নিয়ে। তারপরেও মজার কথা হচ্ছে বেশীর ভাগ বাংলাদেশীরাই বিগত বছর গুলোতে ধরা পড়ছে কি অবৈধ অভিবাসী কি ছাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও ২০ ঘন্টার বেশী কাজ করেছে তারা ধরা খাওয়া মাত্র ১ সপ্তাহের মধ্যে পাঠিয়ে দেয়। ২/৩ মাস পূর্বেও লন্ডনস্থ বাংলাদেশী হাইকমিশন হতে মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা হারিয়ে যাওয়া পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কোন বাংলাদেশী সই না করলেও তার ট্রাভেল ডকুমেন্টস তৈরি করে তাকে ফেরত পাঠানো হত। ট্রাভেল ডকুমেন্টস তৈরি হতে ন্যূনতম ৩ মাস লাগত। আর বর্তমানে এই ট্রাভেল ডকুমেন্টেসের জন্য UKBA অপেক্ষা করে না।
কারণ প্রতিদিন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দী প্রতি খরচ ১২০-১৫০ পাউনন্ড। এখন এই অবৈধ বাংলাদেশীদেরকে ধরে UKBAএর ৩ জন লোক প্লেনে শাহজালাল এয়ারপোর্টে পৌছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের কাছে বলে এই নও ধর তোমাদের লোক। তারপর বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন কোন আপত্তি ছাড়াই তাদেরকে গ্রহণ করে। এই ক্ষেত্রে চীন, ভারত ও পাকিস্তান হলেতো কথাই নেই শ্রীলংকাও তাদের কোন লোক বিনা ট্রাভেল ডকুমেন্টসে নিজ দেশেতো নিবেই না বরং তাদের কোন নাগরিক হাজার অবৈধ হলেও সই না করলে তারা ট্রাভেল ডকুমেন্টস ইস্যু করবে না। চীন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকায় UKBA এভাবে অবৈধ অভিবাসীদের ধরে নিয়ে গেলে স্রেফ ঐ সব দেশের ইমিগ্রেশনের কাছে লাত্থি উষ্টা খাবে এবং কোনমতেই তাদের লোকদের দেশে প্রবেশ করতে দিবে না।
UKBA তাদেরকে বাঘের মত ভয় পায়। তাই তারা ধরা পড়লে ৫/৬ দিন পরেই ছেড়ে দেয় এবং UKBA সাধারণত তাদের খরচের ভয়ে ধরেই না। এমনকি শত দরিদ্র হওয়া আফ্রিকান দেশ গুলোও তাদের নাগরিকদের বিনা সইয়ে ট্রাভেল ডকুমেন্টস তৈরি করে না। সব র্দূভাগ্য যেন বাংলাদেশীদের! আমাদের বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিপু মণি এতটাই নতজানু যে স্রেফ বিদেশীদের ভক্ত কুকুরের মত আচরণ করে। ১৬ কোটি লোকের দেশে যেখানে মিলিয়ন সমস্যা সেখানে প্রবাসীরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠায় তারাই কিনা এ রকম নির্দয় আচরণের স্বীকার হয়।
আমাদের ইমিগ্রেশন পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হুকুমেই চলে। তারাও অসহায় আমাদের দেশের নীতি নির্ধারকদের কাছে। আমরা কি এতটাই দূর্বল যে বৃটেনের এই ধরণের আচরণ মেনে নিব? মহাজোট সরকার বিদেশে কর্মসংস্থানতো সৃষ্টি করতে পারছেই না বরং বিদেশে যারা আছে তাদেরকে বিনা বাধায় নিজ দেশে নিয়ে নিচ্ছে। কিছু দিন পূর্বে স্পেনে থাকা ১০ হাজার বাংলাদেশীদের ট্রাভেল ডকুমেন্টস সেখানকার দুতাবাস ইস্যু করে। অথচ বন্দী থাকা ভারতীয়, পাকিস্তানী ও শ্রীলংকানদের বৈধতা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
এরা কেউ ৫ হতে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করে সেখানে যায়। আর আমাদের অথর্ব্য ছাগী ক্রীতদাসী হেসে হেসে বিদেশীদের সব দাবী মেনে নেয়। এ ব্যাপারে হাসিনার জবাব দেওয়া উচিত, যে বাংলাদেশের এভাবে সর্বনাশ করা হচ্ছে কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।