রিপোষ্ট সকালে হয়তো অনেকে মিস করেছেন।
অনেক দিন পর লিখতে বসলাম। দেশের অবশ্তা অনেক আশাংকা জনক আমাদের তথা কথিত রাজনৈতিক দলের লোকজন যে ভাবে আমার বাংলাদেশ আমাদের বাংলাদেশ কে নিয়ে খেলছে তাতে আমি একজন সাধারণ লোক হিসেবে আমার ভাবনার কথা গুলো বলার চেষ্টা করছি মাত্র। আমি ভাল লিখতে জানি না কারন আমি লেখক নই। মনের মধ্যে অনেক ভাবনা কাজ করে কিন্তু সেটা লিখতে গেলে আর লিখতে পারি না এই জন্যই সাধারণত লিখি না।
শাহাবাগ আন্দলন আমি সমর্থন করি আমি চাই রাজাকার নিপাত যাক তাদের এই দেশে বাস করার কোন অধিকার নাই। কেই থাকলে তাকে নেংটি ইদুর এর মত থাকতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহাবাগ আন্দলন নিয়ে যে কি হচ্ছে ঠিক বুজতে পারছি না!! কারন এই আন্দলন যদি হয় রাজাকার এর ফাঁসির জন্য তাহলে তো আর দেশে আইন এর দরকার নাই সব রাজাকারকে ধরে ধরে ফাঁসী দাও। আমার অনলাইন ব্লগার এক্টিভিটিস ভাইদের কাছে প্রশ্ন আপনারা কি এমন চাচ্ছেন যে কোন আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই রাজাকার দের ধরে ধরে ফাঁসী?? তাহলে কেন সেটা ক্লিয়ার করছেন না। এত মিডিয়া ওখানে আছে কেন একটা ন্যাশনাল এনাউন্সমেন্ট দিচ্ছেন না যাতে আপনাদের এই আন্দলন নিয়ে যারা কথা বলছে তাদের মুখ বন্ধ হয়ে যায় এই আন্দলন নিয়ে যেন কথা বলতে না পারে।
আর আপনারা কেন সেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মেনে নিচ্ছেন। এটা কোন রাজনৈতিক দলের আন্দলন না এটা সাধারন জনগণের আন্দলন, বাংলার আপামর জনগণের আন্দলন। তাই আমার মতে রাজাকার দের ফাঁসী অবশ্যই হবে এবং এই দাবী সব সময়ের দাবী কিন্তু তার সঙ্গে যে ট্রাইবুনাল আছে সেটাকে সচ্ছ করে সঠিক আইন মেন যেন সব রাজাকারদের বিচার হয় তা না হলে আমার বাংলার কলঙ্কিত ইতিহাসের সঙ্গে আর একটা কলঙ্কিত ইতিহাস যোগ হবে।
বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ এই দুই বড় দলের খুব বেশি মিল কারন তারা দুর্নীতিবাজ এবং ক্ষমতার রাজনীতি করে এরা কেউ বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের মানুষের ভাল চায় না। আজ আওয়ামীলীগ এই শাহাবাগ আন্দলনে নিয়ে কেন চাল চালতেছে সেটা না বুঝার মত পাবলিক মনে হয় কম আছে।
এখানে গেম অনেক ক্লিয়ার আওয়ামীলীগ তার পুরানো সব ইস্যু এবং দুর্নীতি ঢাকতে এই আন্দলন কে সমর্থন দিচ্ছে আমার তো মনে হয় এই আন্দলন হয়ে আওমিলিগের জন্য সাপে বর হয়েছে। কারন অন্তত একটা ঘটনাকে চাপা দেয়ার জন্য আওয়ামীলীগ কে তেমন বেগ পেতে হয় নাই। এখন মনে হচ্ছে আওমিলিগার রা দাঁত চেপে হাসতেছে। কারন প্রথম থেকে এরা একটা করে দুর্নীতি করেছে আর সেটা কে ঢাকতে আর একটা ইস্যু নিয়ে এসেছে যাতে লোকজন আগের টা ভুলে যায়। আওয়ামীলীগ আসলেই একটা চতুর দল এদের মধ্যে একটু পড়াশুনা ওয়ালা লোক কম কিন্তু চতুর লোকের অভাব নেই।
কারন আওয়ামীলীগের এত এত দুর্নীতির কারনে যখন সাধারন জনগণ নেগেটিভ এ চলে যাচ্ছিল ঠিক তখনি এমন একটা আন্দলন আওমিলিগের জন্য সাপে বর ছাড়া আর কিছুই বলব না আমি। কিন্তু এই সময়ে বিনপি তে যদি একটু বুঝার মত পাবলিক থাকত তা হলে হয়ত আওয়ামীলীগ কে অনেক বেগ পেতে হত। কি বলব ঐ যে বললাম বিএনপি মাথামোটা গুলো এই ব্যাপার টা ধরতে না পেরে বিপদেই পরে গেলে। এখন বিএনপি না পারছে ধরতে না পারছে ছাড়তে আর এই না ছাড়ার কারনে এদের কে অনেক বড় মাসুল দিতে হবে। এরা জামাত কে সাপোর্ট দিয়ে নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারছে।
কারন বিএনপি এই আন্দলন কে সাপোর্ট করলে এবং জামাত থেকে হাত উঠায়ে নিলে যে অনুপাতে জন সমর্থন পেত এখন ঠিক সেই অনুপাতে জন সমর্থন চলে যাচ্ছে। আর গাধা বিএনপি এই ব্যাপার গুলো এনালাইসি না করে জামাতের হয়ে আবার হরতাল আন্দলন করছে যেটা কিনা বিএনপির শেষ গন সমর্থন কে শেষ করতে রেজিন হিসাবে কাজ করবে।
জামাত মানক্য চিপায় কেন পড়ছে বললাম কারন এমন একটা দলের সঙ্গে এরা জোট বেধেছে যারা কিনা আন্দলনে তেমন পটেনশিয়াল না আর এখন জামাত যেটা চাচ্ছে কোন ভাবেই যেন বি এন পি তাদের কে না ছাড়ে কারন জামাত ভাল করে যানে যে দিন বিএনপি ডিক্লিয়ার দিবে যে তাদের সঙ্গে বি এন পি নাই সেই দিন থেকে আর জামাত কে কেউ খুজে পাবে না কারন এদের ব্যাক ডোর দিয়ে পালানো ছাড়া আর কোন গতি থাকবে না। আর যত দিন বিএনপি এদের সঙ্গে থাকবে তত দিন জামাত কিছু না হোক সবার সঙ্গে মুখে মুখে কথা বলার মত সাহস এরা দেখাবে এবং দেখাতে পারবে।
গাধা বিএনপি এটাই বুঝতে পারছে না আর চতুর আওয়ামীলীগ এই ফায়দা টা ভাল ভাবেই তুলে নিচ্ছে আর জামাত মানক্য চিপায় পরে ক্যা ক্যা করছে।
শেষ পর্যন্ত দেখা যাক কি হয় এই রাজনৈতিক খেলার। তবে সাধারন জনগণের একটা জিনিস খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে বুঝা দরকার যে এখন এই রাজনীতি তে যে দল গুলো আছে এরা আমাদের কে স্রবচ্চ ব্যাবহার করে নিজেদের ফায়দা লুঠে নিচ্ছে ওরা কোন দিন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না কারন সব রাজনীতি বিদ আমলারা অনেক আগেই তাদের একটা করে পোস্ট দেশের বাহিরে রেডি করে রেখেছে বাংলাদেশে বড় ধরনের কিছু হলে একটুও দেরি করবে না দেশ ছেড়ে চলে যেত। যা হবে আমরা যারা সাধারন মানুষ আছি আমরা পরব বিপদে আমাদের ছেলে, মেয়ে, ফ্যামিলি এরা সবাই পরবে বিপদে ওদের কিছুই হবে না কারন ওরা সেই ব্যবস্তা অনেক আগেই করে ফেলছে।
অনেক সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মনে হয় লিখে ফেললাম বাংলা সব্দ এবং বানান ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরধ রইল আর সেই সঙ্গে সবার জন্য একটা সংগ্রহীত ফেসবুকের আমার ওয়ালে পাওয়া জোকস
উৎসর্গঃ সাঈদী (দ্যা মেশিনম্যান)
অফিস থেকে বের হয়েছি রাত ৮ টায়, রাস্তাঘাটে গাড়ি খুব বেশি নেই । কাকলী মোড়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে একটা বাসে উঠতে পারলাম, প্রচুর ভিড় বাসে, দাঁড়িয়েই রওনা হলাম ।
পাশে বসা এক তরুণের কোলে কম্পিউটারের মনিটর, রীতিমত চিত্কার করে ফোনে কথা বলছেন তরুণ—
"ভাই, দেখেছি ভালো মতো.... না না ভাই.... আপনার "মেশিন"-এ কোনো সমস্যা নেই.... সফটওয়্যারের একটু প্রবলেম ছিল..... "মেশিন" ঠিক আছে.... সফটওয়্যার আবার ইনস্টল করে দিছি.... "মেশিন" আপনার চালু.... আরে না ভাই, "মেশিন" নিয়া কোনো টেনশন কইরেন না.... সেইরকম "মেশিন" আপনার...."
তরুণ কথা চালিয়ে গেলেন, খেয়াল করে দেখলাম আমার আসেপাশের মানুষজনও খিঁচ মেরে টেলিফোনের কথাবার্তা শুনছেন । আমি মোটামুটি জিভে কামড় দিয়ে হাসি চেপে আছি, সামনে-পিছের বেশ কিছু মানুষের অবস্থাও দেখি আমার মতো, মিটিমিটি হাসছেন কেউ, সম্ভবত হাসি চাপতে গিয়েই একজনের মুখ দিয়ে হেঁচকি জাতীয় শব্দ বের হওয়া শুরু করলো । তরুণের "মেশিন" শব্দের সাথে তাল মিলিয়ে কিছুক্ষণ পর পর "খিক" "খিক" শব্দ হচ্ছে, আমার অবস্থা মর্মান্তিক ।
"ভাই, নামতে হবে আমার, আমি ফোন রাখি এখন.... "মেশিন" কালকে সকালে পৌঁছায়ে দিবো বাসায়.... আজকে রাতে একটু কষ্ট করে "মেশিন" ছাড়া মোবাইল ফোনে কাজ সারেন । "
কথা শেষ করে তরুণ বাস থেকে নামতে সিট থেকে উঠে গেটের দিকে আগালেন, আমার পেছন থেকে এক অতি কৌতুহলী ভদ্রলোক ডাক দিয়ে উঠলেন–
"ও ভাইজান! ফোনটা কি সাইদী সাহেব দিছিলেন?"
আর পারা গেলো না, মুহুর্তেই আমার চারপাশে হাসির বন্যা, জোয়ার, জলোচ্ছ্বাস! বিচিত্র সব আওয়াজের হাসির শব্দ!
শেষ কবে এইরকম 'জামাতে' হেসেছি, ঠিক মনে করতে পারছি না !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।