আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তথ্য প্রযুক্তির উন্নতি সাধনে এগুচ্ছে বাংলাদেশ, আসছে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল



এ বছরই বাংলাদেশ তথ্যযোগাযোগ বিশ্বের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে একটি সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগর মাধ্যমে দেশের তথ্যযোগাযোগ ব্যবস্খা অত্যìত ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিচালিত হচ্ছে । বর্তমান সংযোগে যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা তথ্যসন্ত্রাসীদের কারসাজিতে যেকোন মুহুর্তে অঘটনের আশঙ্কা আছে। আর তা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্যযোগাযোগের ক্ষেত্রে নেমে আসবে সীমাহীন বিপর্যয়। বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বিশ্বের ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্খা থেকে।

অথচ এই ঝুঁকি মাথায় নিয়েই একযুগেরও বেশী সময় পার করছে দেশের তথ্যযোগাযোগ খাত। সেই ঝুঁকি হ্রাস করতে শিগগিরই দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে বাংলাদেশকে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের শেষ নাগাদ বাসতবায়িত হবে এ প্রকল্প। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্প-সংশ্নিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, একটি সংযোগ দিয়ে দেশে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের বর্তমান ব্যবস্খাটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল। তাছাড়া দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা আশাব্যঞ্জক হারে বেড়েছে।

গত এক বছরে বৃদ্ধির হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ক্রমবর্ধমান এই ব্যান্ডউইথ চাহিদা বর্তমান অবকাঠামো দিয়ে বেশি দিন মেটানো যাবেনা। সরকার তথ্যযোগাযোগকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। এখন প্রকল্পটি প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে। শিগগিরই তা প্রস্তাব আকারে উপস্খাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, ব্যান্ডউইথ সংযোগ উন্নয়নের প্রকল্প-প্রস্তাবনা তিনটি সংযোগপথ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর একটি সাবমেরিন কেবলের সরাসরি সংযোগ, বাকি দুটি অপটিক্যাল ফাইবারের টেরিস্ট্রিয়াল সংযোগ। প্রথম পথটি খুলনা থেকে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে সরাসরি চেন্নাই সুপার হাইওয়েতে সংযোগ স্খাপন। দ্বিতীয়টি মেহেরপুর থেকে যশোর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা এবং তৃতীয়টি কক্সবাজার থেকে উখিয়া হয়ে মায়ানমারের পিয়ানপন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবারের সংযোগ। চিহ্নিত এ তিনটি সংযোগপথের প্রথম দু’টিরই মূল সংযোগস্খল চেন্নাই।

চেন্নাই রিপিটারটি বিশ্ব তথ্যযোগাযোগ কনসোর্টিয়ামের সি-মি-উই-চার লাইনে সংযুক্ত। বাংলাদেশের বিদ্যমান একমাত্র সংযোগটিও চেন্নাইভিত্তিক হওয়ায় সেটিও সি-মি-উই-চার লাইনে যুক্ত। কিন্তু প্রস্তাবিত তৃতীয় পথটির সংযোগস্খল পিয়ানপন। পিয়ানপনের সংযোগ স্খাপন করা হয়েছে কনসোর্টিয়ামের সি-মি-উই-তিন লাইনে। সেক্ষেত্রে যথাযথ বিকল্প বিবেচনায় তৃতীয় পথটিই দেশের জন্য অনুকুল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি এবং আর্থিক দিকটিকেও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে একইসঙ্গে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবমেরিন কেবল বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্খাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন জানান, প্রকল্পটি প্রাথমিক স্তরে আছে। প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞ কমিটিতে যাচাই বাছাইয়ের পর তা সরকারের কাছে জমা দেয়া হবে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে এটি কোন পথে কী প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করা হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.