মন বসে না পড়ার টেবিলে
ছায়াছবির নাম : খোঁজ The - MINUS
প্রযোজক : আসিফ মুভি পাগলা
শ্রেষ্ঠাংশে : মডু সাহেব(চৌধুরী সাহেবের আপন শ্যালক), ইপ ইউ ডিষ্টয় মাই কান্টি খ্যাত এম এ জলিল অনন্ত , বুয়েট থেকে টেক্সটাইলে পাস করা একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার শাকিব খান ,নবাগতা মাইনাচ এবং অতিথি চরিত্রে ডিপজলসহ আরও অনেকে ।
।
বড় করে দেখার জন্য
সিনেমার শুরুতে দেখা যায় নায়ক(শাবিক খান) গরিব ঘরের সন্তান । অভাবের সংসারে মা আর ছেলে । নায়কের কোন বোন নাই( ভাগ্যিস নাই , থাকলেই মিশা সওদাগরের নজর পড়ত )।
পিতা ছোটবেলায়ই মারা গিয়েছেন তবে কিভাবে ও কখন এইটা নায়ক জানে না ।
খেতে না পেয়ে আমাদের নায়কের চেহারার অবস্থা হয়েছে রুক্ষ ও মলিণ ।
নায়ক দুইবেলা ভাত না পেলেও দারুণ মেধাবী । গরিব মানুষ মোবাইল না থাকায় রেজাল্ট দেখার জন্য শরণাপন্ন হল পত্রিকার । বলাই বাহূল্য নায়ক প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছেন ( জিপিএর সিস্টেমে এডি কেমতে আইল লেখক অবগত নয়) ।
ছুটতে ছুটতে মায়ের কাছে এসে জানাতে মা বুকে জড়িয়ে ধরে বলল ""জীবনে অনেক বড় হ দোয়া করি । তবে এইবার ঘরে একটা চাঁদমুখ বউ আন '' । লাইসেন্স পাওয়ার সাথে সাথে বনে বাদারে শুরু হয়ে গেল নায়ক নায়িকার ছুটাছুটি ।
ব্যাকগ্রাউন্ডে গান চলছে
আমি ধরেছি ধরেছি মহা চোর
আহা করোনা করোনা এত জোর
আজকে তুমি বন্দী,
কর প্রেমের সন্ধি ।
সবার মনে প্রশ্ন নায়িকা কে !! কি তার পরিচয় ?? নায়িকার নাম মাইনাচ ।
কিন্তু ঘটনা মডু সাহেবের কানে চলে যায় । চৌধুরী সাহেব তখন জোর করে মাইনাচকে পাঠিয়ে দেন বিদেশে । আমাদের হবু ইঞ্জিনিয়ার সাহেব মাইনাচের শোকে কাতর হয়ে এফডিসির রাস্তায় (গ্রাম থেকে কিভাবে দৃশ্য এফডিসিতে গেল সে সম্পর্কে লেখক অবগত নয়)বোতল হাতে গান শুরু করল
মাইনাচ আমার হৃদয়ের মাইনাচ
তুমি যেন মার্সিডিজ গাড়ীর কাঁচ
তোমারে না দেখিয়া জীবন আমার
যেন মগবাজারের ছাগুর খামাড় ।
ওদিকে মাইনাচ আফায় তো আমাদের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে হিটম্যান অনন্তের সাথে
.....তবে নায়কের বাকপটুতা(!!) নায়িকারে মুগ্ধ করতে পারল না । ইএসপিএনের স্পেলিং বি কনটেস্ট দেখা নায়িকা অনন্তর আই লাবু মার্কা কথায় বিরক্ত হয়ে ওই উজবুককে ছেড়ে শাকিব খানের কাছে ফেরত আসতে চাইল ।
ওদিকে শাকিব খান তো বুয়েটে টেক্সটাইল(!!) পড়ে এখন অনেক টাকার মালিক । কত সুন্দর মেয়েদের সাথে আনাগোনা ।
কিন্তু দর্শকের জোর দাবী নায়কের কাছেই মাইনাচকে ফিরিয়ে দিতে হবে । নাহলে দেশে বন্যা (ফেলাডিং) হবে । অতঃপর মডু সাহেব নরম হলেন ।
যোগ্য পাত্রের হাতে মাইনাচকে তুলে দিবেন । কিন্তু এমন সময় উদ্ধার হল নায়কের বাবার খুনী আসলে এই মডু !!! জাতি এখন টেনশনে!!! কি হবে কি হবে!!!
এমন সময় পুরান সাইড নায়ক অনন্ত এসে হাজির । তিনি আবার অন্যায় সহ্য করতে পারেন না । যখন শুনেছেনমডু সাহেব সামু জাতি ওরফে শাকিব খানের কাছ থেকে মাইনাচকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তখন নায়ক এক্সপেন্ডেবলস এর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ( রিসেন্ট একটা মুভি যেখানে এক সিনেমায়ই এত মানুষ মারসে যে ভবিষ্যতে অ্যাক্টিং করা লোকের শর্টেজ হতে পারে হলিউডে ) মডু সাহেবকে দিল দুই ঘা । মডু সাহেব কুপোকাত ।
এমন সময় পুলিশ এসে হাজির আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না বলে । পুলিশ আর কেউ না আমাদের পুতপবিত্র ডিপজল সাহেব । (বাংলা ছবিতে ডিপজল না থাকলে তো অপূর্ণই থেকে যায় )
শেষ পর্যন্ত মাইনাচের সাথে হল মধুর মিলন । পুরা পরিবারের মুখে হাসি ফোটালো মাইনাচ । সবাই আবার প্রাণোচ্ছল হয়ে ফিরল ।
তাই আবার গান বাজল
আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য
তোমারি প্রেমেরি জন্য
তোমার পরশে জানি ওগো সোনাবউ
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : ব্লগার নষ্টছেলে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।