চট্টগ্রামে ইউনিপে টু ইউ’র প্রথম সারির ২৪ জনের হাতে রয়েছে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা । এদের প্রত্যেকে বর্তমানে দামি গাড়ি ও কোটি টাকার হাইফাই ফ্ল্যাটের মালিক। এই ২৪ জন ইউনিপে’র কার্যক্রম শুরুর দিকে মালয়েশিয়া ঘুরে এসেছেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। তারা জানান, এদের প্রতিজনের হাতে রয়েছে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে গতকাল ঢাকায় এই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। কমিশনের সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে ইউনিপে টু ইউ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান ( শাহীন ) ও এমডি মোহাম্মদ মুনতাসির হোসেনকে।
এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে, মুদ্রা পাচারের। র্দীঘ ১৫ মাস নির্বিঘ্নে কার্যক্রম চালানোর পর এই প্রথম ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করলো দুদক।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা জানান, দুদক এতদিন কোথায় ছিল। এই কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আইয়ুব আজাদীকে জানান, হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে যাওয়ার পর আমরা তদন্ত করছি আর মামলা করছি। সাধারণ বিনিয়োগকারী শহীদুল হক জানান, আমরা আমাদের টাকা ফিরে পেতে চাই। সরকার চাইলে এই কোম্পানি কিভাবে লেনদেন করেছে, কোথায় এই টাকা গেছে তার হিসেব বের করা কোন ব্যাপারই না । বিনিয়োগকারীরা জানান, যে ব্যবসায় মাত্র কয়েকমাসের ব্যবধানে কোটিপতি হওয়া যায় সেই ব্যবসা যে কতটুকু ঝুঁকিপূর্ণ তা বুঝতে আর বাকি নেই।
প্রসঙ্গত: মাল্টি লেভেল কোম্পানির নামে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন করছে বলে সরকারি প্রেসনোট ইস্যু করা হয় গত ১৬ জানুয়ারি। এর আগে ৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয় । এতে বলা হয়েছিল, এমএলএম ব্যবসায় কিছু প্রতিষ্ঠান উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ সংগ্রহ করছে।
এদিকে গতকাল শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই কোম্পানির প্রচার ও অপকৌশলে বিভ্রান্ত হয়ে আর্থিক লাভবান হওয়ার আশায় লোকজন ২০০৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকা সিটি ব্যাংক নিউমার্কেট শাখা, এনসিসি ব্যাংক নারায়নগঞ্জ শাখা ও ব্র্যাক ব্যাংক এলিফ্যান্ট রোড শাখায় মোট ২৪৬ কোটি ৩০ লাখ ৪৫৪ টাকা জমা করে। অভিযুক্ত দুইজন খরচ দেখিয়ে ২৬ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার ২০৭ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে ব্যক্তিগত একাউন্টে স্থানান্তর করেন।
যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।