ইউনিপে-টু-ইউ’র টাকা আদায়ের অবৈধ কার্যক্রম কেন বন্ধ করা হবে না মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার ও ইউনি পে-টু-ইউ’র এমডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত রোববার জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের জবাবে বিচারপতি এ এইচ এম সামশুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেনের দ্বৈতবেঞ্চ এই নিয়ে শুনানি শেষে ওই আদেশ দেন। ইউনি পে-টু-ইউ, ভিসারেভ ও স্পিক এশিয়ার মতো মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানিগুলো ২০ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে গত ১৫ মাসে। ২০/২১ লাখ গ্রাহক থেকে এই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিসত্মারিত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ আইয়ুব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলমগীর ও গৌরী শংকর চৌধুরী।
আবেদনকারীরা বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছি। ৩০ লাখ বাঙ্গালীর রক্তের অক্ষরে লেখা এই দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রানেত্ম নিয়ে যাচ্ছে উল্লেখিত কোম্পানিগুলো।
তারা আরো বলেন, এসব কোম্পানিকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আমরা দু’কয়েকদিনের মধ্যে আরেকটি রিট করবো।
এদিকে গত রোববার দায়েরকরা রিটের নম্বর হচ্ছে ৭৮৩/১১। রিটে বলা হয়, স্বর্ণের খনিতে বিনিয়োগ করে দশ মাসে দ্বিগুণ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় এমএলএম কোম্পানিগুলো।
চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের প্রায় ৯০টি স্থান থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ওই এমএলএম কোম্পানিগুলো। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি।
এদিকে বিনিয়োগ করে ফেঁসে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, লাভের আশায় আমরা বিনিয়োগ করেছি। কোম্পানি ব্যবসা করছে বলে জানি। এবার আমাদের মাসে মাসে লাভ দেওয়া হোক।
তারা বলেন গত ১৫ মাস সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক কোথায় ছিল, আগে আমাদেরকে সতর্ক করা হলো না কেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।