আর কেন সম্মেহন-এ পাপ, থাক- ‘বেদনা আমারি থাক’
‘দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড
বিশ্বজুড়ে নথি ফাঁসের জোয়ার সৃষ্টিকরা উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা তথ্যসম্রাট জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে এবার ছবি তৈরি হচ্ছে হলিউডে। ‘দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামে আসাঞ্জের অনুসন্ধানীমূলক জীবনী লিখছেন অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক অ্যান্ড্রু ফাউলার। আর ওই বইটি প্রকাশ হওয়ার আগেই তা নিয়ে ছবি বানানোর কথা ঘোষনা করেছেন হলিউডের প্রযোজক ব্যারি জোসেফসন, মিশেল ক্র্যাম জোসেফসন এবং ক্র্যাম। তবে আলোচিত এ ছবিটির পরিচালক কে হচ্ছেন তা প্রকাশ করা হয়নি।
আমেরিকার গোপন কূটনৈতিক ও সামরিক নথি ফাঁস করে ব্যাপক আলোচিত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
একদিকে চলছে আইনি লড়াইয়ে তাঁকে কাবু করার প্রক্রিয়া। অন্যদিকে, নানা উপায়ে তাঁর আয়ের উৎস বন্ধের প্রচেষ্টা। তবে একইসাথে আসাঞ্জকে নিয়ে হলিউডে ছবি তৈরির পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। বিভিন্ন গোপন দলিল ফাঁস করে খুব সম্প্রতি বিশ্ব মিডিয়ায় তারকায় পরিণত হন অ্যাসাঞ্জ। তবে তারও আগে গত মে মাসে অ্যাসাঞ্জের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক অ্যান্ড্রু ফাউলার।
আর ওই সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতেই আসাঞ্জকে নিয়ে অনুসন্ধানী জীবনী লিখছেন ফাউলার। জীবনীমূলক ওই বইয়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস ম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’।
৩৯ বছর বয়সি আসাঞ্জের শৈশব থেকে শুরু করে ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করাসহ সবকিছুই থাকছে এই বইয়ে। আরো থাকছে বিপুল পরিমাণ আমেরিকান কূটনৈতিক ও সামরিক দলিল ফাঁস এবং এর পরবর্তী ঘটনাসমূহহের বিবরনও। এছাড়া হয়তো উঠে আসবে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে কথিত যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর মামলার বিস্তারিত রূপ।
চলতি বছরের শেষ দিকে বাজারে আসার কথা রয়েছে এই বই। অথচ বই বাজারে না আসতেই এটির উপর ভিত্তি করে হলিউডে ছবি তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ শেষ। যৌথভাবে এই ছবির স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন প্রযোজক ব্যারি জোসেফসন এবং মিশেল ক্র্যাম জোসেফসনসহ ক্র্যাম। আলোচিত ওই তিন প্রযোজক এই ছবির প্রযোজনায় এগিয়ে আসায় হলিউড থেকেই মুক্তি পাবে অ্যাসাঞ্জের জীবনী নির্ভর এ ছবি। তবে পরিচালক কে হচ্ছেন প্রযোজকদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্র : সিবিএস নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান, সিডনি মর্নিং হেরাল্ড, নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।