স্টক মার্কেটের ভয়াবহ দরপতনে মাত্র ৬ মিনিটে প্রবাসী জাকির এইচ চৌধুরীর বেহাত হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। তার আল আরাফা ব্যাংকের পোর্টফলিও একাউন্ট কোড-১৩৬। স্টক মার্কেটের ১৫ কার্যদিবসে তার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক ছেড়ে দেশে চলে গিয়েছিলেন স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য। কিন্তু এখন তার চোখে সর্ষেফুল।
কি করবেন জানেন না। জাকির এইচ চৌধুরী বলেছেন, বিষয়টি এভাবে ছেড়ে দেয়া হবে না। এর প্রতিকার চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোর্টে মামলা করবেন তিনি। তিনি আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে স্টক মার্কেট নিয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আমেরিকা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক নাইম টুটুল এই তথ্য জানিয়েছেন। একই ভাবে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ১০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা খুইয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রবাসী অধ্যাপক এহতেশামুল হক টিটু। সাউথইস্ট মাল্টি পারপাসের স্বত্বাধিকারী এহতেশামুল হক টিটু বলেন, চোখের নিমেষেই হারিয়ে গেছে লাখ লাখ টাকা। প্রবাসে হাড়খাটুনি পরিশ্রমের বিনিময়ে সঞ্চিত অর্থ এভাবে বেহাত হয়ে যাবে কল্পনাও করতে পারিনি এটা। কিন্তু তাই হয়েছে।
এজন্য সরকারের ভুল নীতিকে দায়ী করেন তিনি। এহতেশামুল হক বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতা ও ভুলের কথা স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী স্বয়ং। সরকারি ভুলের খেসারত দিতে পারে না লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। যেখানে সরকার সাধারণ মানুষের বিনিয়োগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সেখানে সরকারের ভুলেই কোটি মানুষ সর্বস্ব হারাবে- এটা হতে পারে না। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হবে।
তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে। এই মামলার আসামি হচ্ছেন- অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার জিয়াউল হক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শাকিল রিজভী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এহতেশামুল হক বলেন, আমরা কোন অন্যায় করিনি। বরং বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতেই সেখানে বিনিয়োগ করতে গিয়েছিলাম। দেশে বিনিয়োগ করেছিলাম প্রায় দুই লাখ ৭২ হাজার ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকেই মামলাটি করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।