হ্যা, আমি যথেষ্ট বুঝে শুনে উপরের আহবান জানাচ্ছি। আজ প্রথম আলোর জনমত জরিপে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য উঠে এসেছে। গনজাগরণ মঞ্চের পক্ষে রায় দিয়েছে মাত্র ২৩.৪% এবং বিপক্ষে ৫৭.৫%। ব্যাপারটা কেবল আশ্চর্যজনক নয়, দুঃখজনকও বটে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল আপামর জনগণের অংশগ্রহনে, সেই আন্দোলনের আজ এই অবস্থা দেখে যারা প্রধান উদ্যোক্তা তাদের নিশ্চয়ই আরো খারাপ লেগেছে।
যে আন্দোলনের ছোঁয়ায় আমাদের গায়ের পশম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল এক সময়, সেই আন্দোলন আজ এভাবে আমাদের মন খারাপ করার কারন হবে তা কল্পনাও করা যায়নি।
সময় এসেছে প্রশ্ন করার- ‘কেন এমন হল?’
আমরা চোখ কান বন্ধ রেখে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমরা পূর্বাপর না ভেবেই প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলকে উদাত্ত আহবান করেছিলাম- আসুন, আমাদের সাথে যোগ দিন। কিন্তু দেখলাম সরকারপক্ষীয় রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া আর কেউ যোগ দেয়নি আমাদের সাথে। ফলে দিনকে দিন সরকারি প্রটেকশান ক্রমবর্ধমানভাবে বাড়তে থাকলেও, কমতে থাকল জনগণের সমর্থন।
আমরা ভুলে গেলাম একটা আন্দোলনে সরকারি প্রটেকশানের চাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জনসমর্থন। ভুলে গেলে চলবে না জনসমর্থন যেদিকে আল্টিমেটলি সরকারও সেদিকেই যায়।
আমরা ভাবলাম দেশের সব জনগণ আমাদের পক্ষে। অথচ একসময় সৃষ্টি হল হেফাজতে ইসলাম নামক এক তান্ডবের। আমাদের দেশের অবস্থা হয়ে গেল চরম খারাপ।
দ্বিধান্বিত মনে প্রশ্ন জাগে এখন, গণজাগরণ মঞ্চ না থাকলে কি আসলেই আজ আমাদের দেশের অবস্থা এতোটা খারাপ হতো?
আজ প্রথম আলোর জনমত জরিপে গণজাগরণ মঞ্চের জন্য চরম হতাশার একটি বিষয় ফুটে উঠল। আমাদের সমর্থিত একটি পত্রিকার জরিপ নিয়ে অবিশ্বাস আসতেই পারে। তবু বলছি, আমাদের সমর্থন ২৩ থেকে ১০০ তে তুলতে হলে দরকার তাৎণিক সচেতনতা এবং বর্তমান সুচিন্তিত দিক নির্দেশনা। যদি চোখ কান বন্ধ করে আগের মতোই ভাবতে থাকি- এ জরিপ সমগ্র জনতার মতামত হতে পারে না, তবে কিন্তু অচিরেই অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে।
Sense of security is men's biggest enemy. ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।