সিঙ্গাপুরের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রাখতে তরুণ অভিবাসী প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার পরামর্শক লি কুয়ান ইয়ো। তাঁর মতে, দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে চাইলে তরুণ অভিবাসীদের স্বাগত জানাতে হবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে লেখা মন্তব্য প্রতিবেদনে তিনি এসব কথা বলেন।
জন্মহার কমে যাওয়ায় সিঙ্গাপুরে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ছে। কমছে জনশক্তি।
এর প্রভাব পড়ছে উৎপাদন তথা অর্থনীতিতে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সিঙ্গাপুরে জন্মহার রেকর্ড পরিমাণে কমেছে। ২০১০ সালে এ হার ছিল ১ দশমিক ১৬ শতাংশ।
লির মতে, 'জন্মহার কমে যাওয়ায় বয়স্ক লোকের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে এবং অর্থনীতি সংকুচিত হবে। কাজেই আমাদের তরুণ অভিবাসী প্রয়োজন।
না হলে জাপানের মতো আমাদের অর্থনীতিতেও মন্দা দেখা দেবে। যা আমাদের কাম্য নয়। '
সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা ৫০ লাখ। এর মধ্যে শতকরা ২০ ভাগই অভিবাসী। এ অবস্থায় বিদেশিদের নিয়ে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অনেকেই দেশে আরো অভিবাসী আগমনের বিপক্ষে। তবে লি চান দেশে আরো অভিবাসী আসুক। বিশেষ করে তরুণরা। তাঁর মতে, 'অভিবাসীদের প্রথম প্রজন্মকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে তাদের পরের প্রজন্ম পুরোপুরি সিঙ্গাপুরি হবে।
' লি ১৯৫৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।