আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আটক রিজভী বিএনপি নেতার ছেলে

বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কাছে আটক হওয়া রিজভী আহমেদ সিজারের পরিচয় জানা গেছে। তার পিতার নাম আহমেদ উল্লাহ ওরফে মামুন। ১৯৬৮ সালে দেশ ছেড়ে বিদেশ পাড়ি জমালেও মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বিতর্কিত ভূমিকা ছিল। এ ছাড়া এরশাদ আমলে তিনি আদম ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। বর্তমানে আহমেদ উল্লাহ এলায়েছ যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। তার ছেলে আটককৃত রিজভী আহমেদ সিজার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জানা যায়, আহমেদ উল্লাহ ওরফে মামুন নিউইয়র্কের পাশর্্ববর্তী কানেকটিকাট এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব লাভ করেন। বাংলাদেশে তাদের গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সেতুভাঙ্গা গ্রামে। দেশে এলে তারা নোয়াখালীর কয়েকজন বিএনপি নেতার বাড়িতে অবস্থান করতেন। সূত্র জানায়, রিজভী আহমেদ সিজার বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর ব্যক্তি সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি এফবিআইকে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এর পরেই এফবিআই তাকে আটক করে। স্পর্শকাতর এ ঘটনা সম্পর্কে বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশের কোন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছিল তা বলা হয়নি। অপরদিকে বার্তা সংস্থা বাংলানিউজ জানিয়েছে, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রিজভী আহমেদ একটি ই-মেইল বার্তায় জোহানেস থালেরের নামে এক মার্কিন নাগরিকের কাছে বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে কিছু তথ্য দেন। ২২ সেপ্টেম্বর থালের তার কাছে রিজভীর দেওয়া তথ্যগুলো তার বন্ধু এফবিআই কর্মকর্তা রবার্ট লাস্টিকের কাছে পাঠান। ২০১১ এর ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৩ অক্টোবর ও ৩ নভেম্বর লাস্টিকের নির্দেশনায় নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইনসের এফবিআই এজেন্টদের কয়েকজন এফবিআইর ডাটাবেজে ঢুকে ওই রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে কিছু তথ্য ঘাঁটাঘাঁটি করেন। ২০১১-এর ৯ ডিসেম্বর রিজভী আহমেদ ও থালের কানেটিকাটের ড্যানবুরিতে একটি মলের ফুডকোর্টে দেখা করেন। ১০ ডিসেম্বর লাস্টিক ও থালেরের মধ্যে ৯ ডিসেম্বরের বৈঠকের বিষয়ে টেঙ্ট মেসেজ আদান-প্রদান হয়। ১৬ ডিসেম্বর রিজভী আহমেদ ও থালেরের মধ্যে গোপন তথ্য পাওয়ার বিনিময়ে নগদ অর্থ দেওয়া বিষয়ে টেঙ্ট মেসেজ আদান-প্রদান হয়। ১৭ ডিসেম্বর লাস্টিক ও থালের অর্থের বিনিময়ে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে একমত হতে টেঙ্ট মেসেজ আদান-প্রদান করে। ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি লাস্টিক, থালের রিজভী আহমেদ ও আরেকজন কানেটিকাটের একটি মলের আশপাশে একটি স্থানে মিলিত হন। ৩০ জানুয়ারি রিজভী আহমেদের কাছ থেকে নগদ অর্থ পাওয়ার বিষয়ে টেঙ্ট মেসেজ বিনিময় করেন থালের ও লাস্টিক। ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই রাজনৈতিক নেতার বিষয়ে তথ্য হাতে আসার কথা ই-মেইলে থালেরকে জানান লাস্টিক। ২০১২ সালের ১২ মার্চ থালেরকে একটি ই-মেইল পাঠান রিজভী, তাতে ক্যাশ নোটের বেশ কিছু ছবি ছিল। আদালতের নথিতে পুরো ঘটনার সময় একাধিক বৈঠক কানেটিকাটে হয়েছে বলেই নিশ্চিত করা হয়েছে। এই কানেকটিকাটেই আহমেদ উল্লাহ মামুনের বর্তমান নিবাস। তার ছেলে রিজভী আহমেদ ওরফে সিজারও সেখানেই বসবাস করছেন। জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত হলে আইনে রিজভী আহমেদকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.