জাবেদ ইকবাল। ছোটকা থেকেই লেখালেখি তার এক ধরণের বদ অভ্যাসে পরিণত হয়।
২০১১ সালে পিপলস চয়েজ অ্যাওয়ার্ডসে সেরা পপশিল্পীর তকমাটা লেগেছে রিয়ান্নার গায়ে, সংগীতাঙ্গনে যাঁর অভিষেক মাত্র ছয় বছর আগে। প্রথম অ্যালবাম মিউজিক অব দ্য সান বেরিয়েছিল ২০০৫ সালে। অ্যালবামটি সারা বিশ্বে এক মিলিয়ন কপি বিক্রি হওয়ায় রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি।
শিরোনাম-গানটি বিলবোর্ডের হিট ১০০ গানের মধ্যে স্থান করে নেয়। এরপর ২০০৬ সালে এ গার্ল লাইক মি, ২০০৭ সালে গুড গার্ল গন ব্যাড এবং ২০০৯ সালে রেটেড আর। প্রতিটি অ্যালবামই রিয়ান্নার তারকাখ্যাতি আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দেয়।
অথচ একটা সময় গেছে, অনেক কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করতে হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গ এই পপগায়িকাকে।
ছোটবেলায় রিয়ান্না হতে চেয়েছিলেন ব্ল্যাক ম্যাডোনা।
কিন্তু তাঁর বাবা ছিলেন মদ্যপ ও জুয়াড়ি। ফলে একটা সময় ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় মা-বাবার। সংসারে নেমে আসে দারিদ্র্য। তবু স্কুলের দুই বান্ধবীকে নিয়ে অনেক কষ্টে তৈরি করেন একটি গানের দল। আর ঠিক ওই সময়ই বিখ্যাত সংগীতপরিচালক ও প্রযোজক ইভান রজার্স তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের বারবাডোজে।
একদিন ইভান রজার্সের সামনে হাজির হয় রিয়ান্না ও তাঁর গানের দল। একটি গান গেয়ে শোনান তাঁরা। গান শুনে অভিভূত রজার্স সঙ্গে সঙ্গে রিয়ান্নাকে নিউইয়র্কে গান গাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। পরের ইতিহাসটা সবারই জানা।
তবে বিখ্যাত শ্বেতাঙ্গ হিপহপ সংগীতশিল্পী এমিনেম ফিচারিং রিয়ান্নার ‘লাভ দ্য ওয়ে ইউ লাই’ গানটি তাঁর জন্য অন্য রকম সাফল্য বয়ে আনে।
২০১০ সালে গানটি ইউকে সিঙ্গেল চার্টের আগের ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেয়। এমনকি অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, রাশিয়া, রোমানিয়া, স্পেন, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড—প্রতিটি দেশের টপ চার্টের শীর্ষে টানা প্রায় ২০ সপ্তাহ অবস্থান করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে রিয়ান্নার ঝুলিতে জমে টিন চয়েস অ্যাওয়ার্ড ও সোল ট্রেন মিউজিক অ্যাওয়ার্ড। এ বছর আরও অপেক্ষায় আছে গ্ল্যামি অ্যাওয়ার্ড ও এনআরজে মিউজিক অ্যাওয়ার্ড।
অন্যদিকে এই গানের জনপ্রিয়তাকে কেন্দ্র করে রিয়ান্না তৈরি করেছেন গানের সিক্যুয়াল।
‘লাভ দ্য ওয়ে ইউ লাই’ (পার্ট-টু) গানটি রিয়ান্না তাঁর পঞ্চম অ্যালবাম লাউড-এ অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এখন লাউড অ্যালবামটি হিপহপ টপ চার্টের শীর্ষে এবং বিলবোর্ড ম্যাগাজিনের টপ চার্টের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গানের পাশাপাশি সম্প্রতি হলিউডের খাতায়ও নাম লিখিয়েছেন তিনি। ২০১২ সালে ব্যাটল নামের একটি চলচ্চিত্রে রিয়ান্নাকে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তার ভূমিকায় দেখা যাবে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রিয়ান্নার সাফল্য শেষ পর্যন্ত তাঁকে কোথায় নিয়ে যায়, তা বলা এখনই কঠিন।
জাবেদ ইকবাল
তথ্যসূত্র: ওয়েবসাইট
[১৩.০১.২০১১ প্রথম আলো আনন্দ পাতার জন্য লিখিত। ]
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।