আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাব্বাস শ্রীলংকাঃ সমুদ্রসীমায় ভারতীয় মৎস্যজীবী নিহত

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ

অন্য দেশের সীমান্ত অতিক্রম করলেও ভারত যে নিজ দেশের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলিবর্ষণ কিংবা তাদের নিহত হওয়ার ঘটনা কোনোমতেই বরদাশত করবে না, সে সম্পর্কে নয়াদিল্লি শ্রীলঙ্কা সরকারকে খুবই স্পষ্ট ও কঠোর বার্তা প্রদান করেছে। তামিলনাড়ুর একজন মৎস্যজীবীর ভারত-শ্রীলঙ্কা সমুদ্রসীমায় শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর গুলিবর্ষণে নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র দফতর শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে তলব করে। কঠোর ভাষায় শ্রীলঙ্কার শীর্ষ কূটনীতিবিদকে জানিয়ে দেয়া হয়, এ ধরনের গুলিবর্ষণের কোনো যৌক্তিকতা নেই। শ্রীলঙ্কাকে সতর্ক করে বলা হয়, এই ধরনের শক্তি প্রয়োগ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকতে হবে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে একটি টেলিগ্রাম পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার সীমান্ত প্রহরী নৌবাহিনীর ‘নৃশংসতায়’ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিষ্ণুপ্রকাশ বলেন, গুলি চালিয়ে হত্যার বিষয়টিকে শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে ভারত সরকার উত্থাপন করেছে এবং ঘটনাটি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিষ্ণুপ্রকাশ বলেন, আমরা শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর গুলিবর্ষণে ভারতীয় একজন মৎস্যজীবীর নিহত হওয়ার সংবাদ পেয়েছি। কলম্বোতে অবস্থানকারী ভারতের হাইকমিশনার শ্রীলঙ্কা সরকারের কাছে বিষয়টি ইতোমধ্যে উত্থাপন করেছে। আমরা বলেছি, এই ধরনের পরিস্থিতিতে গুলি চালনা করার মতো শক্তি প্রয়োগের কোনো যৌক্তিকতা নেই। শ্রীলঙ্কা কর্তৃপক্ষকে বলে দেয়া হয়েছে, এই ধরনের শক্তি প্রয়োগ থেকে তাদের বিরত থাকতে হবে।

নয়াদিল্লিতে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার পি কারিওয়াসাম অবশ্য এই গুলি চালনার ঘটনায় শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি এও বলেছেন, শ্রীলঙ্কা সরকার গুলি চালনার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার আরো বলেন, তাদের দেশের নৌবাহিনীকে কড়া নির্দেশ দেয়া রয়েছে, ভারতীয় মৎস্যজীবীরা আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে শ্রীলঙ্কার জলসীমায় প্রবেশ করলেও তাদের ওপর যেন কোনোমতে গুলি চালনা করা না হয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নিজ নাগরিক এবং মৎস্যজীবীর মৃতুøতে ভারত যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ ও বিবৃতি প্রদান করেছে তা খুবই বিরল। তামিলনাড়ু থেকে প্রেরিত সংবাদে বলা হয়েছে, ভারতের তিনজন মৎস্যজীবী পাল্ক স্ট্রেইটে শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমার কাছে উপস্থিত হওয়া মাত্র শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনী গুলি চালায়।

এতে একজন মৎস্যজীবী নিহত হলেও বাকি দু’জন কোনোমতে রক্ষা পেয়ে ফিরে আসতে সক্ষম হন। তামিলনাড়ুর রাজনীতিবিদরা শ্রীলঙ্কার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এলটিটিই পরাজিত হওয়ার পর ভারতীয় জেলেদের এলটিটিই’র সাথে সংশ্লিষ্ট মনে করারও কোনো কারণ শ্রীলঙ্কা নৌবাহিনীর ছিল না। পর্যবেক্ষকরা আরো বলছেন, ২০০৮ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে বলা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার সমুদ্রসীমায় ভারতীয় জেলেরা প্রবেশ করলেও তাদের ওপর গুলি চালনা করা হবে না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় কলম্বোকে স্পষ্ট করে বলেছেন, তারা যেন এই চুক্তি কঠোরভাবে মেনে চলে। আহমদ হাসান ইমরান ভারত Click This Link *********************************** ভারত যতই কঠোর প্রতিবাদ করুক, শ্রীলংকার উচিত হবে তার দেশে অনুপ্রবেশকারী অসভ্য বর্বর ভারতীয়দের কুকুরের মত গুলি করে হত্যা করা।

এই ভারতই তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র, প্রশিক্ষণ দিয়ে শ্রীলংকার অখন্ডতাকে হুমকির মধ্যে ফেলেছিল। শ্রীলংকার সাহসী আচরণ প্রমাণ করে যে আমাদের হাসিনার বাল মহাজোট সরকার ভারতের সেবাদাস তাবেদার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.