এই লেখাটা শুধুমাত্র দুর্বল ছাত্রদের জন্য যাদের ইংরেজী শেখার প্রচন্ড ইচ্ছা আছে অথচ কোনভাবেই এটাকে আয়ত্ত করতে পারছেন না, বিশেষ করে সারা বাংলাদেশের নিম্নমধ্যবিত্ত বড়জোর মধ্যবিত্ত ঘরের বাংলামাধ্যমে পড়াশোনা করা স্কুল কলেজের ছাত্রদের জন্য। যারা ভাল ইংরেজী জানেন তাদের জন্য এটা একটা হাস্যকর পোস্ট হতে পারে । আর ঢাকার এফুয়েন্ট সোসাইটির জন্য যা কৌতুকরও বটে। আসলে আমি ইংরেজীতে খুবই দূর্বল ছিলাম, এখন যে খুব সবল মোটেই তা নয় কিছুটা ইংরেজী শুদ্ধভাবে লিখতে পারবো হয়তো, আমার এই লেখা প্রকৃতপে সেই দুর্বল অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাণন্তকর প্রচেষ্টার অভিজ্ঞাতর বর্ণণামাত্র।
আসলে ইংরেজী শেখার জন্য চারটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অবশ্যই যেতে হবে।
বিভিন্ন বইতে যেমন থাকে এই চারটা বিষয়ের কথা। যে কোনটা বাদ দিয়ে ইংরেজী শিখতে গেলে তা ভয়াবহ একটা দুর্বলতার মধ্যে ফেলে দেয়। এই চারটা ধাপ হলো :
ক. পড়া খ. লেখা গ. বলা ঘ. শোনা
পড়া
কেউ যখন জিজ্ঞেস করে যে কোন ইংরেজী বইটা ইংরেজী শেখার জন্য ভাল হবে আমার কাছে তখন একটাই উত্তর থাকে যে যে-কোন ইংরেজী বই দিয়েই পড়া শুরু করা যায়। এমনকি থ্রি-ফোরের ইংরেজী বই দিয়েও শুরু করা যেতে পারে। পড়ার ধারা তৈরি হলে নিজে নিজেই বের করার মতা হবে যে কোনটা ভাল তার জন্য।
তারপরও কিছু বই আছে যেগুলো সবোর্চ্চ সংখ্যক মানুষের মনোজগতকে আকৃষ্ট করতে সম হয়। এস. এম জাকির হোসেনের লেখা অসংখ্য বই আছে বাজারে এই বইগুলো কাজে আসতে পারে। বাঙ্গালীর মানসিকতায় ইংরেজী কীভাবে ঢুকিয়ে দিতে হবে তার বইয়ে এর অনেক চতুর কৌশল রয়েছে। আসলে ভাষা শেখাটা অনেক বড় মনোজগতের খেলাও বটে।
ইংরেজী ব্যাকরণের জন্য বহুল ব্যবহ্্রত রেমন্ড মারফি, থমসন এন্ড মার্টিনেট, টোফেল বা আইইএলটি-এর বইগুলো পড়তে পারেন।
প্রত্যেকটি বইয়ের লেখকের তার নিজস্ব কিছু উপলব্ধি, বৈশিষ্ট্য রয়েছ কোন কোন পাঠকের কাছে যা আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। আবার সবগুলো লেখকের মজার মজার বা উল্লেখ্যযোগ্য অংশেগুলোও আপনি পড়ে নিতে পারেন।
গ্রামার পড়ি আমরা কোথায় ইংরেজীটা ভুল লিখলাম তা বের করার জন্য। কিন্তু ইংরেজী শেখার একটা বড় অংশ হলো ইংরেজী পড়া যেটাকে আমরা বলি রিডিং। ইংরেজী শেখার জন্য বসে বসে রিডিং পড়াটা সত্যি কষ্টকর তবে কষ্ট করলে একসময় আনন্দ পাওয়া যাবেই।
রিডিং পড়াটা কষ্টকর না তদের জন্য যারা গল্পের বই পড়তে ভালবাসে নিদেন পে বই পড়তে ভালবাসে তা সে যে বই হোক! যারা গল্পের বই পড়তে পছন্দ করে তারা ইংরেজী লেখা গল্পের বইগুলো পড়তে পারেন। তাই বলে প্রথমেই তো আর সামার সেট মম বা রুড ইয়ার্ড কিপলিং কিংবা আনের্স্ট হেমিংওয়ে দিয়ে শুরু করা যাবে না তাহলে দেখা যাকে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে সেই যে ছেড়েছেন আর ইংরেজীর ধারে কাছে যাওয়া হয় নি। প্রথমে কিছু সহজ বই দিয়ে যেমন স্কুলের ছোট কাসের ইংরেজী দ্রুত পঠন বইগুলো দিয়ে শুরু করা যেতে পারে। যারা ব্রিটিশ কাউনসিলে যায় তাদের এেেত্র সুবিধা বেশি ওখানে খুব সহজ থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে কঠিন ইংরেজী শেখার গল্পের-উপন্যাসের বই আছে অনেক। পাতায় হয়তো কোন কঠিন শব্দ পড়েছে তার অর্থ দেয়া আছে শেষে বা ফুটনোটে।
পুরো বই পড়ে শেষ করলে দেখা যাবে খুব অল্পই কঠিন শব্দ পেয়েছেন। এতো সহজ ইংরেজীতে লেখা। যার ফলে পড়াটা অতো বিরক্তির মনে হয় না। বার বার বই রেখে ডিকশনারি দেখার বিরক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেখানে ব্রিটিশ কাউনসিল নেই তারা ছোটদের দ্রুতপঠন বা ছটদের জন্য লেখা ইংরেজী বইগুলো দিয়ে শুরু করতে পারেন।
ঢাকার নিলেেত অসংখ্য সহজ ইংরেজী লেখা ছোটদের জন্য বই রয়েছে সেগুলো দেখতে পারেন।
সবার গল্পের বই পড়তে ভাল লাগে না অনেকেই আছে নিউজ হাঙ্গার বা পত্রিকার খবর খুব মনোযোগ দিয়ে পড়েন । তারা ইংরেজী পত্রিকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। প্রথম প্রথম একটা নিউজ পড়তে গিয়েই প্রাণ ওষ্ঠাগত হবে, বার বার ডিকশনারি দেখা কম ঝক্কি! কিন্তু এই কষ্টটা করার ধৈর্য যদি রাখা যায় তবেই কেল্লাফতে। তবে সত্যি কথা বলতে কি খবরের কাগজের নির্দিষ্ট একটা পরিসব আছে ।
তারা ঘুরে ফিরেই কিছু বিভিন্ন ক্যাটাগরির খবর প্রকাশ করে যেমন কোন চোর-ডাকাত ধরার খবর, রাজনৈতিক মারামারির খবর, শোক সংবাদ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের; তো এই জন্য তারা কিছু কিছু শব্দ বা ফ্রেজ বা এক্সপ্রেশন ঘুরেফিরে ব্যবহার করে আর যদি বাছাই করে এগুলো একবার মুখস্থ বা আত্মস্থ করে ফেলা যায় তবে তো হয়েই গেলো । বাজারে ইংরেজী পত্রিকা পড়ার জন্য বাছাই করা কিছু শব্দ বা ফ্রেজে অর্থ এবং এক্সপ্রেশন নিয়ে কিছু বই পাওয়া যায় এই বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন খুবই কাজের। পাবলিক লাইব্রেরীতে যারা যান তার জানেন প্রিয় বাংলা দৈনিকটা অনেকের হাত ঘুরে আসতে আসতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায় সেেেত্র ইংরেজী দৈনিক হাতে পেতে পারেন সহজেই। কারন ওটা প্রায় অলসভাবে পড়ে থাকে।
প্রথম দিকে একটা ইংরেজী দৈনিক সপ্তাহে একবার করে রেখে শুরু করতে পারেন।
যেটা আমি করতাম। শুক্রবারের ডেইলি স্টার কিনলে নতুনরা সারা মাসের কম্মকাবার করে দিতে পারেন ওই একটা দিয়েই। ডেইলি স্টার বাংলাদেশের সেরা ইংরেজী দৈনিক এটা দিয়েই শুরু করুন। আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো বাংলা-ইংরেজী মিলিয়ে এটাই বাংলাদেশেল সেরা দৈনিক।
অনেকেই আছেন যারা রাজনৈতিক খবর বা চুরি-ডাকাতি, মারামারি, দুর্ঘটনার খবর পড়তে পছন্দ করেন না তারা প্রত্রিকা খুলেই খেলার পাতায় চলে যান।
তারা খেলার পাতাটাই ইংরেজী দৈনিক থেকে পড়ে নিতে পারেন।
এই লেখা পড়ে যারা পরীায় ভাল মাকর্স পাওয়ার চিন্তা মাথায় রাখবেন তারা উপকৃত নাও হতে পারেন। কারন পরীায় ভাল মাকর্স পাওয়ার জন্য অনেক কৌশলীও হতে হয়। শুধু জানলেই হয় না। আমি কখনোই পরীায় ভাল করতে পারিনি তাই সেই কৌশলগুলি জানি না বলে দুঃখ প্রকাশ করিছ।
বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করতে হবে যদি দৈনিক তিন ঘন্টা করে পড়তে পারেন তখন মনে হবে আপনার চিন্তাভাবনাগুলো খুব সহজেই যেন ইংরেজীতে ট্রান্সলেট হয়ে যাচ্ছে!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।