রাজধানীর পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় গতকাল দুপুরে সন্ত্রাসীরা দিপ্ত দাস শুভ (৯) নামে এক স্কুলছাত্রের হাত-পা বেঁধে বাথরুমে ড্রামের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে। পরে সন্ত্রাসীরা তার বাবা বিভূতি রঞ্জন দাসকেও জবাইয়ের চেষ্টা করে। বিভূতি রঞ্জন দাসকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে স্কুলছাত্র শুভর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। শুভ গেন্ডারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র।
বিভূতি দাসের ভায়রা শ্যামল বিভূতি বলেন, গেন্ডারিয়া থানার কেবি রোডের ৩৪ নম্বর বাড়ির ৫ তলায় ভাড়া থাকেন বিভূতি দাসের পরিবার। তার স্ত্রী শিউলি দাস। তিনি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদী খান উপজেলার কুচিয়ামারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিকিা। গতকাল সকালে শিউলি দাস তার স্বামী ও ছেলেকে বাসায় রেখে স্কুলে যান। দুপুরের দিকে অজ্ঞাত ৪ সন্ত্রাসী বাসায় ঢুকে বিভূতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে।
এ ঘটনা দেখে শুভ চিৎকার করলে সন্ত্রাসীরা শুভকে হাত-পা বেঁধে বাথরুমের পানিভর্তি ড্রামে ডুবিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় বিভূতি রঞ্জন দাস সন্ত্রাসীদের একজনকে ঝাঁপটে ধরলে অন্য সন্ত্রাসীরা বাসার সামনের রুমে তাকে জবাই করে পালিয়ে যায়। দুপুর আড়াইটার দিকে বিভূতি দাসের গোঙ্গানীর শব্দ শুনে পাশের বাসার লোকজন ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুভকে মৃত ঘোষাণা করেন।
শ্যামল বিভূতি আরো বলেন, বিভূত দাসের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী।
তিনি মধুখালীতেই ব্যবসা করেন। মাঝে মধ্যে ঢাকায় আসেন। তার ঢাকায় কোনো শত্র“ থাকার কথা নয়। কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে তারা কিছু বুঝতে পারছেন না বলে জানান।
গেন্ডারিয়া থানার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, প্রাথমিক তদন্তে পরকীয়া প্রেমের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।