আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুঁজিবাজারে দরপতন, বিক্ষোভ-লাঠিপেটা

যাহা জানি তাহাই লিখি।

শুরুর দরপতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ আর পুলিশি লাঠিপেটার পর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েই দিন শেষ করেছে ঢাকার পুঁজিবাজার। বুধবার লেনদেনের শুরুতে সাধারণ সূচক প্রায় ১০০ পয়েন্ট কমে গেলে বিনিয়োগকারীরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের কারণে প্রায় ৩ ঘণ্টা মতিঝিল থেকে আর কে মিশনমুখী অফিসপাড়ার ব্যস্ত ওই সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থকে। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিলে দুপুর সোয়া ২টার পর গাড়ি চলাচল শুরু হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাধারণ সূচক ৭৯৪৮ দশমিক ৪৩ এ দাঁড়িয়েছে, যা দিনের শুরুর চেয়ে ৩২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কম। দিনে মোট ১ হাজার ২৯ কোটি টাকায় ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম কমেছে ১৫৮টির, বেড়েছে ৮০টির। ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় সাধারণ সূচক দিনের শুরুর চেয়ে প্রায় ১০০ পয়েন্ট কমে গেলে শতাধিক বিনিয়োগকারী রাস্তায় নেমে পড়ে।

পরে এই সংখ্যা বেড়ে হাজার ছাড়িয়ে যায়। তারা মতিঝিলে ডিএসই সংলগ্ন সড়ক আটকে মিছিল করতে থাকে। কাগজ স্তূপ করে তাতে আগুনও ধরিয়ে দেয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মারমুখী হয়ে ডিএসই ভবনে ঢুকতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে মিছিল নিয়ে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে।

ওই সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট ছুড়লে পুলিশও পাল্টা রবার বুলেট ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের লাঠিপেটায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ ও বিনিয়োগকারীদের সংঘর্ষে অফিসপাড়া মতিঝিল এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আশপাশের সড়কে দেখা দেয় ব্যাপক যানজট। ২টার দিকে বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে কয়েকজন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে ডিএসই ভভনে ঢোকেন। পাঁচজনের ওই দলের সদস্য ফয়সাল আহমেদ বেরিয়ে আসার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুঁজিবাজারে অস্থিরতার অবসানে তারা কিছু দাবি তুলে ধরার চেষ্টা চালালেও ডিএসই কর্মকর্তারা তা শুনতে চাননি।

বিক্ষোভের সময় কেন্দ্রীয় গভর্নরের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। কেন তা দেওয়া হয়েছিলো- জানতে চাইলে ওই দলের সদস্য শাহনেওয়াজ জুয়েল বলেন, "তিনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের ফটকা ব্যবসায়ী বলেছেন। তার এ বক্তব্য দেওয়া উচিত হয়নি। " দরপতনের কারণে ঢাকার মিরপুর এলাকায়ও একদল বিনিয়োগকারী বিক্ষোভ করেছেন। তারল্য প্রবাহের ঘাটতি ও শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্যে ডিএসইতে মঙ্গলবারও বড় ধরনের দরপতন হয়।

সেদিন সাধারণ সূচক আগের দিনের চেয়ে ২০৩ পয়েন্ট বা ২.৪৮ শতাংশ পড়ে দিন শেষে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৯৮০ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। সোমবারও সাধারণ সূচক ১১৯ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে যায়। সেইসঙ্গে কমে বাজার মূলধন ও লেনদেনসহ সবগুলো সূচক সূত্র: ঢাকা, জানুয়ারি ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.