আমি অচিন পাখি,অচিনই থাকতে চাই
সূত্র:
Click This Link
শ্রমজীবী মো. আলী (৬০) পাঁচ মাস আগে হাঁটার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। উপশমের আশায় নোয়াখালীর চাটখিল থেকে চিকিত্সা নিতে এসেছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। বহির্বিভাগে টিকেট কাটার পর তাকে পাঠানো হয় দু’নম্বর ব্লকের মেডিসিন বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. রফিউদ্দিন আহমেদের (বাবুল) কাছে, যিনি হাসপাতালে দালাল বাবুল নামে পরিচিত। রোগের উপসর্গ শোনার পর কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে ডা. বাবুল রোগীকে এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষাগুলো মোহাম্মদপুরের ঢাকা ল্যাব থেকে করিয়ে আনতে বলেন।
রোগী হাসপাতালের পরীক্ষা করানোর কথা বললে ডা. বাবুল বলেন, এখানে টেস্ট ভালো হয় না। ঢাকা ল্যাবে যান। গত রোববার এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন টেস্ট করিয়ে নিয়ে আসা রোগী মো. আলী। পরিচয় গোপন রেখে ডা. বাবুলের কাছে চিকিত্সা নিতে আসা এই প্রতিবেদককেও পড়তে হয় একই অবস্থায়। এ সময় তার টেবিলে ঢাকা ল্যাবের পোস্টার ছড়ানো ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক ডাক্তার ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডাক্তার বাবুল নিজেকে স্বাচিপের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার এই অনিয়মের কথা অনেকেই জানেন। কিন্তু ভয়ে কেউ কথা বলেন না। তিনি তার কাছে আসা প্রায় সব রোগীকেই ঢাকা ল্যাবে পাঠান। ঢাকা ল্যাব ডা. বাবুলকে রোগীদের পরীক্ষা থেকে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকেন।
আর এজন্য তিনি সুকৌশলে টিকেট কাউন্টারের সঙ্গে আঁতাত করে প্রতিদিনই অন্যান্য ডাক্তারের তুলনায় বেশি রোগী দেখেন। এ কারণে হাসপাতালে তিনি দালাল বাবুল নামে পরিচিত।
মোহাম্মদপুরের হুমায়ুন রোডের ১/২০ নম্বর বাড়িতে ঢাকা ল্যাবে গিয়ে দেখা যায়, এখানে আসা অধিকাংশ রোগীর হাতেই ছিল সরকারি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বহির্বিভাগের স্লিপ। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের এবং অপরিচ্ছন্ন একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম মুজিবুর রহমান বলেন, এই হাসপাতালেই সব রোগেরই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি আছে।
যদি কোনো ডাক্তার তার ব্যক্তিগত লাভের আশায় বাইরে পাঠায় এটা অনৈতিক। যদি তিনি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকেন তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে ডা. বাবুলের কাছে জানতে চাইলে সব মিথ্যা বলে ফোন রেখে দেন।
- See more at: Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।