www.facebook.com/omith.hasan.9
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ ভোটের মালিক। জনগণ যাকে ভোট দেবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে। জনগণ যদি দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসীদের ভোট দেয়, তাহলে তাঁর বলার কিছু নেই। তিনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আমলের উন্নয়নের চিত্র তুলনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ মানুষকে।
আজ রোববার কুড়িল উড়ালসেতু উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদেরই ঠিক করে নিতে হবে, আমরা অন্ধকার যুগে ফেরত যাব, না আলোকিত পথে হাঁটব।
ভোটাধিকার মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। এটি জনগণের আমানত। কোনো অপাঙক্তেয় ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে আমানতের খেয়ানত করবেন না। এমন কাউকে নির্বাচিত করুন, যিনি দেশপ্রেমিক, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন। ’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে সরকারের অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়নাধীন আছে।
সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতায় শিক্ষা বিস্তারে উপবৃত্তি দেওয়া, সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া, হাতে হাতে মুঠোফোন পৌঁছে দেওয়া, বিভিন্ন সড়ক ও সেতু নির্মাণ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বিদ্যুত্ উত্পাদন এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন বিদ্যুত্ উত্পাদন কমে হয়েছিল তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
এখন বিদ্যুত্ উত্পাদন হচ্ছে ছয় হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট। বর্তমানে বাংলাদেশ আট হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদনে সক্ষম। বিএনপির সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিই যাদের নীতি, তাদের পক্ষে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। ’ তিনি বলেন, তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকজন দুর্নীতি করে কালোটাকার মালিক হয়েছেন, জরিমানা দিয়ে সেই টাকা সাদা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষকে ‘বিবেচনা’ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল। কারণ, তাঁর ভাষায় সরকার সুখী, সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়ার জন্য কাজ করছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট দেশকে দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের দেশে রূপান্তর করে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না, বাংলাদেশের মানুষ কি আবার অন্ধকার যুগে ফেরত যেতে চায়। বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, তিনি নতুন ধারার সরকার গঠন করবেন।
তার মানে নতুন নিয়মে দুর্নীতি করবেন। আমরা পাঁচ হাজার ৬৪৪টি নির্বাচন করেছি। নির্বাচনে হেরে গেছি। কিন্তু ভোট চুরি করিনি। জনগণ ভোটের মালিক।
জনগণ যাকে ভোট দেবে, তাকেই আমরা মেনে নেব। ’
কিন্তু জয় কিভাবে বলে যে, তার কাছে তথ্য আছে আওয়ামীলীগ আবার ক্ষমতায় আসবে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।