রাত ৯.০০ টায় খাওয়া দাওয়া করে আমরা ৫ বন্ধু বের হলাম টিকিট কিনতে। আমি জানতাম ভিড় হবে কিন্তু লোকজন যে সকাল ১০.০০ থেকে লাইনে দাঁড়াবে তা ভাবিনি।
ইতিমধ্যে খবর পেলাম ধানমন্ডিতে প্রচুর ভিড়। আমরা ভাবলাম গুলিস্তানে বোধহয় এত ভিড় হবে না। রাত ১০.০০ টায় গিয়ে দেখি প্রায় ৪০০ লোক পেপার বিছিয়ে বসে আছে , কেউবা তাশ পেটাচ্ছে।
ওইখান থেকে হতাশ হয়ে রওনা হলাম অন্য কোনো ব্রাঞ্চ এর উদ্দেশ্যে।
এরপর গেলাম মতিঝিল আগ্রণী ব্যাংক এ। ঐ ব্রাঞ্চ এ গিয়ে দেখি টোকেন দিতেছে। টোকেন এর জন্য দাড়ালাম। একটু পর দেখি ৫০০ টোকেন দেয়া শেষ।
কি আর করা ভগ্ন হৃদয়ে মৌচাক এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
মৌচাকে গিয়ে দেখি মৌ মাছির মতই ভিড়। তখন বাজে রাত ১১.৩০। টিকিটের আশা প্রায় ছেরে দিছি। ইতিমধ্যে ইসলামপুর থেকে খবর নিলাম ওইখানেও প্রচন্ড ভিড়।
কি আর করা পান্থপথ এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
পান্থপথ গিয়ে দেখি ওখানে প্রায় হাজার খানেক মানুষ। কোনো লাইন নাই। সবাই সিড়িতে বসে আছে। সকালে ওইখানে যে পুলিশের লাঠি পেটা হবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপ এর আয়োযক হলো তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল মাঠে গিয়ে খেলা দেখবো। কিন্তু আমাদের কর্তারা আমাদের কথা চিন্তা করে না। তারা পরযাপ্ত সময় পেয়েও স্টেডিয়ামের আসন বাড়াতে পারে না। এই কম আসনের মধ্যে আবার অর্ধেক সৌজন্য টিকিট। বিশ্বকাপ আমাদের মত সাধারন মানুষের জন্য না।
কি কষ্ট যে লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভম না। কাল সকালে বিভিন্ন জায়গায় মারামারি হবে, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হবে টিকিট না পেয়ে। আর তা দেখে কর্তারা হাসবেন আর বলবেন অসভ্য বাঙ্গালী, সব জায়গায় মারামারি করে।
আমাদের নিয়ে চিন্তা করার সময় হয়ত তাদের হবে না। তবুও আশা করি তারা সফল বিশ্বকাপ উপহার দিবে।
আর ভালবাসা আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য। আশা করি তারা তাদের সাফল্য দিয়ে আমাদের দুঃখ ঘুচাবে। মাঠে যেতে পারবোনা তো কি হয়েছে, ঘরে বসেই আমরা টাইগার দের উৎসাহ দিয়ে যাব।
Bravo Tigers...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।