অদ্ভুত উটের পিঠে (১)
প্রাক্টিসের সময় এক বোলার তার কোচকে গিয়ে বলল, আমি এই মাত্র স্পিট মিটারে দেখলাম, একটু আগে করা আমার করা বলটা ঘণ্টায় ১৫০ মাইল ছিল। এটা আমি কাকে জানাবো?
কোচ বললেন, স্পিট মিটারটার মেকানিককে।
(২)
: রবীন্দ্রনাথ কি কখনো ক্রিকেট খেলে ছিলেন?
: বোধয় খেলে ছিলেন, কারণ তার একটা গানে আছে_' বল দাও মোরে বল দাও। '
(৩)
এক ক্রিকেটার নিজের উন্নতিতে বেশ অভিভূত। তাই এক খেলায় তিনি তাঁর শাশুড়িকে খেলা দেখার দাওয়াত দেন।
ব্যাট হাতে ক্রিজে গিয়ে তিনি বেশ নার্ভাস বোধ করেন। তখন পেছনের উইকেট কিপারকে বলেন, 'আমার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে, এই বলটি আমি ঠিকমতো হিট করতে পারব কি না? গ্যালারির ওইখানে আমার শাশুড়ি বসে আছেন। '
উত্তরে উইকেট কিপার বললেন, 'আমি বাজি ধরে বলতে পারি, তুমি কোনোদিনও অতদূরে তোমার শাশুড়িকে হিট করতে পারবে না। '
(৪)
এক দুর্দান্ত ফাস্ট বোলারের সামনে কোনো ব্যাটসম্যানই টিকতে পারছিল না। সাত নম্বর ব্যাটসম্যান মাঠের দিকে যাবার সময় প্যাভিলিয়নের গেট দিয়ে বেরিয়ে আবার গেটটাকে আটকাতে যাচ্ছিল, তখন ভিড়ের ভেতর থেকে একজনের জোর গলার মন্তব্য, খামোখা কষ্ট করছেন কেন দাদা? একটু পরেই তো ফিরবেন, তখন না হয় আটকে দেবেন!
(৫)
খুব বাজে শট খেলে এক ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন।
দুর্ভাগ্যবশত তিনিই আবার দলের অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে একেবাওে জেরবার অবস্থা ওই অধিনায়কের। না পেরে শেষ পর্যন্ত অধিনায়কটি বললেন, 'আমার জীবনে এর চেয়ে খারাপ শট আমি কখনো খেলিনি। ' এক সাংবাদিক দাঁড়িয়ে বললেন, 'আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, এর আগেও আপনি কখনো ক্রিকেট খেলেছেন!'
(৬)
মাঠে চলছিল ক্রিকেটের উত্তেজনাকর মুহূর্ত। ব্যাটসম্যানদের অবস্থা খুবই শোচনীয়, খুব বাজে ব্যাট করছিলেন তাঁরা।
এ সময় গ্যালারি থেকে চিৎকার ভেসে এলো, 'মফিজ মফিজ তোমার বাড়িতে আগুন লাগছে। ' ব্যাটসম্যান ব্যাট রেখে দিয়ে ভোঁ দৌড় দিলেন মাঠের বইরে। কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ তাঁর খেয়াল হলো-'আরে আমি দৌড়াচ্ছি কেন? আমার নাম তো মফিজ নয়?'
(৭)
: হ্যালো, আশরাফুল?
: স্যরি, আশরাফুল তো এখন নেই।
: আপনি কে বলছেন?
: আমি বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার বলছি।
: সালাম ভাইয়া...।
ভালো আছেন।
: হাঁ, ভালো আছি।
: ভাইয়া, আমি ওর বন্ধু বলছি! আশরাফুল কি আছে? একটু কথা বলতাম ।
: আশরাফুল তো এইমাত্র ব্যাট করতে মাঠে নামল। আপনি একটু কষ্ট করে পরে আবার ফোন করুন!
: না, না, আমি ধরছি! আশরাফুল এখনই ফিরে আসবে!
(৮)
সৌরভ গাঙ্গুলী ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব আর জায়গা হারিয়ে তখন খুব বিব্রত অবস্থার মধ্যে আছেন।
সেই সময় তাঁর মনের কথা বের করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন এক ক্রীড়া সাংবাদিক। অনেক দিন চেষ্টা করার পর সৌরভকে পেলেন সাক্ষাতকারে। সাক্ষাতকারটা ছিল এ রকম:
ক্রীড়া সাংবাদিক: ভারতের খেলা দেখছেন?
সৌরভ: দেখছি তো!
ক্রীড়া সাংবাদিক: বলা হচ্ছে দ্রাবিড়কে আর অধিনায়ক রাখা হবে না। আপনার কী মনে হয়?
সৌরভ: এটা তো আমার ব্যাপার না। এটা বোর্ডের ব্যাপার।
ক্রীড়া সাংবাদিক: বোর্ড যদি এখন দ্রাবিড়কে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়?
সৌরভ: তাতে আমার কী বলার আছে। এটা বোর্ড আর দ্রাবিড়ের ব্যাপার।
ক্রীড়া সাংবাদিক: আপনাকে যদি আবার অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়?
সৌরভ: দেখুন, আমি এখন দলেই নেই। অধিনায়কত্ব নিয়ে ভাবছি না।
ক্রীড়া সাংবাদিক: না, ধরুন আপনাকে আবার ভারতের অধিনায়ক করা হলো।
সৌরভ: আগে করা হোক, তারপর ভাবব।
ক্রীড়া সাংবাদিক: আপনাকে অধিনায়ক করা হলে, সেটা মেনে নেবেন না?
সৌরভ: কেন মেনে নেব না! ভারতের মতো দলের অধিনায়ক হতে কে না চায়!
পরদিন সংশ্লিষ্ট পত্রিকার ক্রীড়া পাতার শিরোনাম'অধিনায়কত্ব ফেরত চান সৌরভ!'
(৯)
আগামী ম্যাচটি হচ্ছে টিমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই দলের অন্যতম ফাস্ট বোলার পুরো সপ্তাহ ধরে কঠিন পরিশ্রম করলেন। পুরোটা সপ্তাহ তিনি নেটে অনুশীলন করে কাটালেন। সবশেষে ম্যাচের আগের দিন মাঠে প্রাকটিসের এক ফাঁকে তিনি কোচকে জিজ্ঞেস করলেন, 'কোনো পার্থক্য কি চোখে পড়ছে?'
কোচ তাঁকে আগাগোড়া একনজর দেখলেন।
তারপর বললেন,'হ্যাঁ, তোমার চুল কাটানোটা ভালো হয়েছে। '
(১০)
স্বর্গ ও নরকের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ হবে। তাই খুব উত্তেজনা। দুই পক্ষই যার যার দল নিয়ে খুব আশাবাদী। ঈশ্বর অবাক হয়ে শয়তানকে প্রশ্ন করলেন, 'তুমি জয়ের আশা করছ কীভাবে? সব ভালো খেলোয়াড় তো স্বর্গে আছেন।
' শয়তান মুচকি হেসে জবাব দিল, 'তাতে সমস্যা নেই। সব আম্পায়ার তো আমার ওপাশে। '
(১১)
কাউন্টি ক্রিকেটের ঘটনা। এক ফিল্ডার গোটা চারেক ক্যাচ মিস করার পরই বুঝেছেন, আজ তাঁর রক্ষা নেই। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের জটলা দেখে আগে থেকেই বললেন, 'ভাই, আমি কথা বলতে পারব না।
আমাকে ট্রেন ধরতে হবে। 'সবাই ছেড়ে দিলেও একটা মন্তব্য উড়ে এলো, 'কোলের কাছের বল ধরতে পারলেন না, স্টেশনের ট্রেন কি ধরতে পারবেন?'
(১২)
বাংলাদেশে এতটা হয়তো হয় না। তবে ম্যাচ হারলে টুকটাক আক্রমণের শিকার তো হতেই হয়। সেবার ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ম্যাচ হারার পর এমন আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন বাংলাদেশের এক ব্যাটসম্যান। নামটা না হয় না-ই বলি।
প্রথম বলেই এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ব্যাটসম্যানটি। নানা রকম প্রশ্ন ছুটে আসছে আর মাথা নিচু কওে কোনোমতে আত্মরক্ষা করছেন ব্যাটসম্যানটি। হঠাৎ এক সাংবাদিক হাত উঁচু করে জিজ্ঞেস করলেন, 'আপনি পা দিয়ে বলটা খেলতে গেলেন কেন! খেলাটা যে ফুটবল নয় ক্রিকেট, সেটা কি ভুলে গিয়েছিলেন?'
(১৩)
নতুন ব্যাটসম্যান ক্রিজে এলেন। নিজের গার্ডগুলো পরীক্ষা কওে দেখলেন। একটু নড়েচড়ে শরীরটাকে চাঙা করে নিলেন।
চারদিকে ফিল্ডারদের অবস্থানটাও একনজর ঘুরে দেখলেন। এরপর শূন্যে কয়েকবার ব্যাট হাঁকিয়ে আম্পায়ারকে জানালেন, সে তৈরি। আম্পায়ার বোলারকে বল করতে অনুমতি দিলেন। বোলার বলও করলেন এবং সোজা মিডল স্ট্যাম্প উড়ে গেল। তখন পেছন থেকে উইকেট কিপার বললেন, 'কী লজ্জা! এত ভাব দেখানোর পর মাত্র এক বলেই স্ট্যাম্প উড়ে গেল।
' ব্যাটসম্যান তখন বললেন, 'লজ্জা তোমাদেরই পাওয়া উচিত। একজন নতুন অতিথির সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয় সেটা তোমাদের বোলার এখনো শেখেনি। ' ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।