আমেরিকায় ১/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর আফগানিস্তান হয়ে ওঠে মৃত্যুপুরী। তবে ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের ওয়াজিরিস্তানের নিহত হলে হিসাব পাল্টে যায়। বোমা হামলায় সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু আর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অভিশাপ যেন কুরেকুরে খাচ্ছে দেশটিকে। রাজনৈতিক অস্থিরতা যেন আফগানিস্তানের নিত্যসঙ্গী। অবশ্য ওবামা প্রশাসন যখন ঘোষণা করেছে যে আরও ১৭,০০০ সেনাবাহিনী যাবে আফগানিস্তানে উঠতি বিদ্রোহ দমন করার জন্য।
তখন অনেকেই আশার আলো দেখেছিলেন। হয়তো আমেরিকান সৈন্যরা দেশে ফিরে গেলে গণতন্ত্রের চর্চা হবে, দেশটিতে আসবে সুদিন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আর নতুন নির্বাচিত আমেরিকার নেতৃত্বের সঙ্গে তার সরকারের সম্পর্কের টানাপড়েন দেশটিকে অস্থিরতা থেকে মুক্ত করতে পারেনি। উল্লেখ্য যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগানিস্তানের দুর্নীতি নিয়ে আর ওবামা আফগান সরকারের সমালোচনা করেছেন নেতৃত্বের আর দেখভালের অভাবের জন্য। উপয়ান্তর না দেখে কারজাই স্বীকার করেছেন ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে হালকা সম্পর্কের।
আফগানিস্তানে থাকা একজন ব্লগার বর্তমানের কথা লিখেছিলেন, কাবুলে যা হচ্ছে সেটা শুধু একটা নতুন খেলা। এর মাঝে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে স্থানীয় মাদক চক্রের জালে আফগানিস্তানের নাম বিশ্বমহলে যোগ হওয়ায়। তবে সম্প্রতি শুধু মুসলিমরা নয় বরং অনেক ইউরোপিয়ানও আল-কায়েদার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তার জোরালো প্রমাণ পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা স্যাটেলাইট ছবিগুলোতে। সব মিলিয়ে নাইন-ইলেভেনের পর সারা বিশ্বে আফগানিস্তানসহ মুসলিমরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।