সুদীর্ঘ ইতিহাস বিজড়িত ফিলিস্তিন মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্ব মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অঞ্চল। বার বার ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা বলেছে ইরান ও আলজেরিয়া। প্রথম দফার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নোবেলজয়ী বারাক ওবামা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে কেন কোনো সিদ্ধান্ত দেননি তা নিয়ে বিশ্ববাসীর বিস্ময়ের অন্ত ছিল না। ওবামা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন এই প্রত্যাশাও ছিল বিশ্ববাসীর। কায়রোতে প্রদত্ত ওবামার ভাষণ শেষে এই প্রত্যাশা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
কিন্তু এক্ষেত্রে ওবামা কিছুই করেননি। ২০১২ সালের নির্বাচনের পর অনেকেই অনুমান করেছিলেন, দীর্ঘদিনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংকট নিরসনে তিনি পূর্ণ মনোযোগ দেবেন এবং তার তৎপরতা সাফল্যের মুখ দেখবেই। কিন্তু তা ঘটেনি। উল্টো মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের ব্যাপারে নীরবতা ইসরায়েলকে আরও বেশি ঔদ্ধত্য আচরণ করেছে। ২০১০ এর মে মাসে ওবামার সঙ্গে প্রথম প্রেস কনফারেন্সে ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট ওবামার উপস্থিতিতেই অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপনের প্রশ্নে কোনো প্রকার ছাড় দিতে অস্বীকৃতি জানান।
অথচ ওবামা স্বয়ং এ বিষয়ে নমনীয়তা প্রদর্শন করে এই বসতি স্থাপন তৎপরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কোনোভাবেই ইসরায়েলের নমনীয়তা দেখা যায়নি। এখন অস্তিত্ব রক্ষায় ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের এক তরফা একগুঁয়েমির কারণে যেন কোনোভাবেই শান্তি আলোচনা, অস্ত্রবিরতি হচ্ছে না। থামছে না যুদ্ধ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।