বাসার একজন অনেকদিন ধরে প্যান প্যান করছিলো, তাদের তথাকথিত গুরুজীর পদতলে ৮০০০ টাকা ঢালার জন্য। আমি মনে করলাম, সে একটু ক্র্যাক। তাই সামুতে সার্চ লাগালাম, দেখলাম ঐ রকম আরো বেশ কিছু ক্র্যাক আছে, যাদের নিজের স্বকীয়তা বলে কিছু নাই।
তাদের তথাকথিত গুরুজী যা বলেছেন, বই্য়ে লিখেছেন,তাই কপি পেস্ট করছেন। সেই ক্র্যাকগুলো তাদের গুরুজীর বাণীদ্বারা পরিচালিত হয়।
আমার মনে হচ্ছে, এই সব ক্র্যাক গুলোর (আমার পরিবারে মানুষটা সহ) তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা, ধ্যান ধারণা হারিয়ে ফেলছে দিন দিন। তাদের মাথায় খালি গুরুজী ঘুরে।
তারা এখন নিজে কিছু চিন্তা করতে চায় না। তাদের হয়ে তাদের গুরুজী সব চিন্তা করে ফেলেছেন।
এইসব মানুষেরা দূর্বলচিত্তের বলে মনে হয়।
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস খুবই কম, তাই নিজেরা কিছু চিন্তা করতে পারে না।
এই ক্র্যাক গুলোর সাথে যদি ১ ঘন্টা কথা বলেন, তার মথ্যে ১০ বার আসবে গুরুজীর নাম, ১৫টা আসবে, গুরুজীর দেওয়া উদাহরণ, তাদের গুরুজী এই বলেছেন, সেই বলেছেন, আর প্রতি ১৫ মিনিট পর পর আপনাকে ফুসলাবে, কোর্সটা করে ফেলার জন্য। আরো বলবে অমুক বিখ্যাত লোক কোর্স করেছে, আপনি করবেন না কেন?
তাদের ভাব খানা এমন, যদি কোর্স করেন, আপনার ইহজীবনে আপনি বেহেশতের ফ্লেবার পাবেন, কনফার্ম, আর না করলে আপনি বোকাদের স্বর্গেই রয়ে গেলেন। তাদেরকে বললাম, আপনি তো কোর্স করলেন, এখন আপনিই শিখিয়ে দেন, কেমনে কি করতে হবে? জবাব আসে, না, এটা আমি শিখালে হবে না, ডাইরেক্ট গুরুজী থেকে শিখতে হবে।
কোর্স করার ব্যাপারে তারা তাদের গুরুজীর একটা বাণী সবসময় বলেন, 'আপনি যদি মধু নাই খান, তাহলে মধু কি জিনিস, সেটা তো বুঝবেন না'
আর আছে, সকাল বিকাল রাতে বার বার ঝিমানো।
মন না চাইলেও বলতে হবে, বেশশশশ ভালো আছি।
ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা উচিত।
আজকে আবার একটা নতুন শব্দ শিখলাম, কোয়ান্টাম প্রোপাগেশন।
সবকিছুর মধ্যে কোয়ান্টাম নিয়ে টানাটানি।
বাংলাদেশের উন্নতি নাকি লিনিয়ারলি ছিলো, এখন নাকি জিওম্যাট্রক্যালি হচ্ছে, এর পরে নাকি ২০২৫ সালের মধ্যে (তাদের গুরুজীর স্বপ্নমতে) বাংলাদেশের উন্নতি হবে কোয়ান্টাম প্রোপাগেশনে।
গুরুজী যাই বলে দিছে, তারা সেই ভাবেই উদগীরণ করছে।
এই কোয়ান্টাম প্রোপাগেশনটা একটু জানার ইচ্ছে ছিলো, এই ধারাটা জানলে কেউ জানাবেন।
পরিশেষে সেই পুরোনো এবং বিখ্যাত বাণী,
তোমরা সকলে গুরুজীকে নিয়ে চিন্তা কর।
আরো কিছু পোস্টগরুজীকে নিয়ে।
কোয়ান্টাম মেথড: মেডিটেশনের আড়ালে পীর ব্যবসা
ব্লগে দ্রুত সেফ হওয়ার অব্যর্থ উপায়, বিফলে মূল্য ফেরত।
কোয়ান্টামের গুরুজী এখন বোতল বোতল চৌম্বকীয় পানি পড়া বিলাচ্ছেন
শেফা পানির আশ্চর্য গুণ!!! গুরুজী মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।