আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাস্ট প্যারাগ্রাফস...... “চুপ”

যেন এ এক পুরান খেলা । ধুলো ওড়ে, মাটির পথে। জেনো তুমি,আমি হাটি এই পথে

একেকটা বছর শুরু হয় আর কিভাবে শেষ হয়ে যায়,টেরই পাওয়া যায় না। দ্রুতই ফুরায়ে যায়!যাই হোক,নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের প্রহর আরো কিছু বকি আছে। পত্র-পত্রিকা জুড়ে অনেক ফিচার,জাবর কাটা চলছে কি পাইলাম,কি হারাইলাম আর কি কি করা যেত,হাত থেকে কি কি ফস্কে গেল এটসেট্রা এটসেট্রা।

আসেন আমরা আমজনতারাও জাবর কাটি নিজেদের মতো করে। চুপ থাকতে চাইছিলাম সারা বছর,পারলাম না। প্রথমত যে বিষয়টা নিয়ে চুপ মারতে চাইছিলাম,সেইট হইলো মৃত্যু। কিন্তু পারলাম না,২০১০-এ হত্যা,অপমৃত্যুর ক্ষেত্রে যে নতুনত্ব আসছে,আমরা হয়তো কখনো ভাবি নাই(মনে আছে নিশ্চয়ই দেয়াল ভরে পিশাচ পিতার বিরুদ্ধে সন্তানের গুটি গুটি লেখায় প্রতিবাদ আর এ দেয়াল ভরে লেখার পরে মায়ের সাথে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া) আচ্ছা,ঐ নর পিশাচটার কি ফাঁসি হইছে?নাকি পুলিশ ভাইদের টাকা পয়সা দিয়ে মুক্ত হাওয়া খাচ্ছে? ইভ টিজিং নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা জেগেছে সারা দেশে,এইটা খুবই ভালো দিক। তবে “ইভ টিজিং” এই বিশেষণ/বিশেষ্যে আপত্তি আছে।

এইটাকে “যৌন সন্ত্রাস”বললে অসুবিধাটা কি?নাকি রাজনৈতিক দলগুলার সোনার ছেলদের ইজ্জতে লাগে?এই “যৌন সন্ত্রাস”র শিকার হয়ে অনেক অনেক মেয়েই বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ(একটা দেশে যৌন সন্ত্রাসীরা মেয়েদের মুখে এসিড ঢেলে দিত,সেই ব্যভিচারিরাই এখন এই পথ বেছে নিয়েছে)তবে এই “যৌন সন্ত্রাস”র প্রতিবাদ করে মৃত্যু বরণ করেছেন মায়েরা,কখনো কখনো শিক্ষকেরা আর আমরাও প্রতিবাদ করেছি,এই পর্যন্তই! আচ্ছা, “যৌন যন্ত্রাসী”দের কারো কি ফাঁসি হয়েছে?হয়নি?আমরা তবে ভয় পাই?আচ্ছা কাউকে গণ ধোলাই দিয়ে কিংবা পিটিয়ে মারা হয়েছে?হয়নি,আমরা তবে কা-পুরুষ?সম্ভবত(কে যেন আমায় আবারো চুপ থাকতে বলছে,আজব!) মানি লিকুইডিটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হলো সারা বছর মানে শেয়ার বাজার নিয়ে,সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার উপর দাঁড়িয়ে আছে এই শেয়ার বাজার। ক্যান ইউ বিলিভ ইট?এত্ত টাকা আমাদের শেয়ার বাজারে!প্রচুর বিনিয়োগকারী আছেন এই শেয়ার বাজারে(যাক টাকা কামানোর ভালো একটা সোর্স তো হলো)আর প্রচুর নিত্য নতুন কোম্পানি বিশেষ করে বেশ কিছু লিজিং কোম্পানি(ফাইন্যান্স কোম্পানি,তারা আসলে কাদের এবং কিসের ফাইন্যান্স করে,এইটাই প্রশ্নবিদ্ধ)শেয়ার বাজারে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়ার ব্যাপারে যতটা অ্যাক্টিভ,বাস্তবে তাদের কর্মকান্ড খুঁজে পাওয়া দুষ্কর(যেইটা মনে হয়,এগুলা কালো টাকা সাদা করার একটা পলিসি আমাদের মাফিয়াদের,নমস্কার জানাই এই জুয়াড়িদের)যাহোক,বছর শেষে আমাদের চাঙ্গা শেয়ার বাজার কিছুটা হলেও মাটিতে নেমেছিল আর বুঝিয়ে দিল আবারো আমাদের হুজুগেপনাকে(তাই বলে আমি শেয়ার বাজারে পুঁজি খাটানোর বিপক্ষে নই)একটা আফসোস রয়েই গেল,যেইরকম বিনিয়োগকারী পাওয়া গেল শেয়ার বাজারে,শিল্পায়নে যদি পেতাম!আরো কিছু বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু চুপসে গেলাম আবারো,কে যেন চুপ করতে বললো আমায়! আশার কথা নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার। দুরাশার কথা গ্যাস উত্তোলনে। আবারো সেই পুরান ক্যারিকেচার জাতীয় সম্পদ নিয়ে। বরাবরের মতোই সরকারী দল আর সরকারী আমলারা চাইছেন না দেশি দক্ষ আর অভিজ্ঞ(গ্যাস উত্তোলনে বাপেক্সের সুনাম থাকলেও আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের চালকেরা নিজেদের পকেটে নির্লজ্জভাবে দেশের টাকা ঢুকানোর প্রয়াস চালাচ্ছে বিদেশি কোম্পানি দিয়ে গ্যাস উত্তোলনে,আশ্চর্য স্পর্ধা!উল্লেখ্য-এখানে সরকারী দল মানে BAL/BNP দুইটাই)জনেরা গ্যাস উত্তোলনে নিয়োজিত হোক।

যাহোক এইটা নিয়েও কথা বলা ঠিক হবে না,গলা টিপে ধরতে পারে সরকারি ককুরেরা,তাই চুপ মেরে গেলাম। ও হ্যা আগুনের কথা আর গিনিপিগের কথা না বললে চুপ থাকাটা অপূর্ণ থাকবে। গিনিপিগ?হ্যা গিনিপিগ,এ বছরটা জুড়ে আমরা মানুষরূপী গিনিপিগ দেখলাম,বিডিআর জওয়ানদের কথা বলছি। কি কারণে বিডিআর বিদ্রোহ হলো,কেনইবা দেশের জন্যে নিবেদিত ছিলেন যেইসব আর্মি অফিসার,তাদের গুনে গুনে মেরে ফেলা হলো,পুরোটা রহস্যই রয়ে গেলো। আগুনের কথা বলছিলাম,নানান রকম আগুন ধরলো,কোন আগুন মানুষ পুড়লো,কোনটায় সম্পদ পুড়লো,আগুন নেভেনা।

আগুন জ্বলছে। এই আগুন চুপ থাকলে কি নেভে যাবে?

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।