শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা প্রশাসনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নোটিস বোর্ডে নিহতের এই সংখ্যা জানিয়ে দেয়া হয়।
বোর্ডে দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮০৮টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ধ্বংসস্তূপ থেকে লাশ উদ্ধারের পর সেগুলো বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হচ্ছে। এখানে বর্তমানে রয়েছে ৩৬টি মরদেহ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে আরো ৮৪টি লাশ।
পরিচয় সনাক্ত করতে না পারায় মোট ২৩৪ জনকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে জুরাইন কবরস্থানে।
ধসের সপ্তদশ দিন শুক্রবার বিকালে রেশমা আক্তার নামে এক নারীকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া শুক্রবার বিকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে আরো ৪০টি লাশ।
গত ২৪ এপ্রিল সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ওই ভবনে পাঁচটি তৈরি পোশাক কারখানায় তখন কাজ চলছিল।
উদ্ধারকর্মীরা নয়তলা ভবনের সামনের দিকের ধ্বংসস্তূপ আগেই সরাতে পেরেছেন। ৭ মে রাত থেকে তারা ভবনের পেছন দিকের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেন।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন যেসব মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে তার বেশিরভাগই বিকৃত হয়ে গেছে। লাশের সঙ্গে পরিচয়পত্র বা মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার মাধ্যমেই পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী গত ১ মে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তখন পর্যন্ত ১৪৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
তারপর থেকে গত ১০ দিনে উদ্ধার হয়েছে আরো ৬৮৮টি লাশ।
শ্রমিকদের দাবি অনুযায়ী, রানা প্লাজার পাঁচটি কারখানায় সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করতেন।
জুরাইনে আরো ৭৮ লাশ দাফন
সাভারে ভবন ধসে নিহত আরো ৭৮ জনের লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সাহায্যে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ নিয়ে জুরাইনে মোট ২৩৪টি লাশ দাফন করা হয়।
শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত দুই ধাপে লাশগুলো দাফন করা হয়।
ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. ইউসুফ হারুন জানিয়েছেন, স্বজনের খোঁজ না পাওয়ায় অজ্ঞাত পরিচয় লাশগুলোর ডিএনএ নমুনা রেখে শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে ৪৪টি ও মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গ থেকে ৩৪টি লাশ আঞ্জুমানের কাছে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, আগে ১৫৬টি লাশ আঞ্জুমান মফিদুলকে জুরাইন কবরস্থানে দাফন করার জন্য দেয়া হয়েছিল। শনিবারের ৭৮টি লাশ নিয়ে মোট ২৩৪টি অসনাক্ত লাশ জুরাইনে দাফন করা হলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।