আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচারের বাণী নীরবে কাদেঁ: প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণকারী দিদারের ফাসি চাই



আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর মানুষ রয়েছে যারা নরপশু হিসেবে বিবেচিত। নেই কোন মানবতা। তাঁরা জঘণ্য কাজ করে থাকে। বিশেষ করে যখন শোনা যায় প্রতিবন্ধী শিশু বা প্রতিবন্ধী নারীদের ধর্ষণ করে তখন শুন মনে হয় কলির যুগে বসবাস করছি। মনে হয় পৃথিবীটা ধব্বংশ হয়ে যাবে ওই সমস্ত নরপশুদের পাপে।

নরপশুরা দেহের ক্ষুধা মিটানোর জন্য যেতে পারে পতিতালয়ে। কিন্তু তাদেঁর লোলুপ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু বা প্রতিবন্ধী নারীদের ধর্ষণ করতে ছাড়ে না। এ ধরনের ঘটনা সমাজে ঘটছে অহরহ। কিন্তু বিচার হয় না। কয়েকদিন কিছু নামধারী এনজিও প্রতিবাদ করে।

পরবর্তীতে আর খোঁজ খবর রাখে না। এ ধরনের একটি সংবাদ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। খবরের শিরোনাম হচ্ছে, প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষক দিদার কারাগারে। ঘটনাটি ঘটছে চট্টগ্রামে। নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ার বগারবিল এলাকায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের সাথে জড়িত দিদারকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গত ২০ ডিসেম্বর রাত এগারোটায় বগারবিল এলাকার দশবছর বয়সী বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুটি (১৫) তাদের বাসা থেকে অল্প দূরে নানার বাসায় যাচ্ছিল। দীর্ঘক্ষণ পরও তার কোন খোঁজখবর না পেয়ে বাসার লোকজন খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করে। এক পর্যায়ে রাত দেড়টায় তাকে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ধর্ষণের ঘটনাটি ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী শিশু তাঁর পরিবারের সদস্যের জানায়।

ফলে গত ২৩ ডিসেম্বর ধর্ষিতার অভিভাবকরা বাকলিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। ফলে ঘটনার সাথে জড়িত মোহাম্মদ দিদার (২৫) নামে এক নরপশু যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দিদার ডিসি রোড আলী নেওয়াজ লেইনের মোহাম্মদ আবুলের পুত্র। ঘটনাটি কালো টাকার জোরে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বিবাদী পক্ষ। সংশ্লিষ্ট এলাকার কিছু এনজিও থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্রবণ-বাক প্রতিবন্ধী শিশুটি কি বিচার পাবে? কারণ, এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধর্ষিতাকেই হয়রানী করা হয়। আর নরপশুরা বিশেষ করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং শ্রবণ-বাক প্রতিবন্ধী নারীদের বেশি ধর্ষণ করে। কারণ, শ্রবণ-বাক প্রতিবন্ধী নারীরা কথা বলতে পারে না। অন্যদিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বুদ্ধি কম থাকায় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।

দেশে মানবাধিকার সংগঠন, নারী সংগঠন এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে কর্মরত সংগঠন সমূহের নেতা কর্মীরা দু' একদিন গলার স্বর উঁচু করে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ মানুষকে দেখাতে চায় তারা নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু তা সঠিক নয়। তাঁরা আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কাজ করে। পরবর্তীতে কোন খোঁজ রাখে না। বেশ কিছুদিন আগে বিভিন্ন ব্লগ এবং সংবাদ পত্রে মানিকগঞ্জের শান্তির ব্যাপারে লিখেছিলাম।

পুলিশ প্রশাসন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু টাকার জোরে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। বাদিপক্ষের নিপা নামের আইন বিষয়ে পড়ুয়া এক তরুণী আমাকে জানালো, মানবাধিকার সংগঠনগুলো উকিলের ফি চায়। এ দেশে সৎ লোক খুজেঁ পাওয়া কঠিন। সবাই শুধু ধান্দায় ঘুরে।

আমরা ধর্ষক দিদারের ফাসি দাবি করছি। আমরা দেখতে চাই না দেশে কোন প্রতিবন্ধী শিশু এবং প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হোক। ওরা সবচেয়ে অবহেলিত। শারীরিক দিক থেকেও দুর্বল। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.