আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"একটি বিচারের কথা"....................।



আজ সকালে সত্যেনকে ধরে নিয়ে গেছে একটি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। সকালের সূর্যটার তখন ও দেখা নেই। গলিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন নামাযফেরত মুসুল্লি। এমনি এক আবরিত সময়ে ওরা সত্যেনকে তুলে নিয়ে গেল। এক-দুজন মুসুল্লি ভুরু কুঁচকে দেখার চেষ্টা করেছিলেন কি হছে।

অল্প সময়ের ভিতর ঘটে গেল ঘটনাটা। তার পর? তার পর শুনশান রাস্তা ধীরে ধীরে জেগে উঠল আড়মোড়া ভেঙ্গে। তার আচঁ গলিতে থেকেও পাওয়া যাছে। আচ্ছা সত্যেন কে তাতো আপনাদের বলাই হয়নি। একটু অপেক্ষা করুন, দেখি সত্যেন ফিরে আসে কিনা? আপনাদের কি মনে হয় আসবে? আচ্ছা না হয় তা পরেই দেখি।

আগে ওর পরিচয়টা দেই। মন খারাপ করে দেয়া এই গলির ৪২ নম্বর বাসায় সত্যেন এর আবাস। মিতা আর প্রকাশ কে নিয়ে সংসার। প্রকাশের মুখে এখনও সে বাবা ডাক শুনতে পায়নি। অপেক্ষা শুধু মিষ্টি মধুর ডাক টা শোনার।

আর মিতা ? তার কলহের সঙ্গী। গৃহ আনন্দের উৎস। আমাদের সঙ্গী সত্যেন কিন্তু দশটা পাচঁটা অফিস করা অসুখী মানুষ না। ও ব্যাবসায়ী। বাংলাবাজারে তাঁর বই এর দোকান।

ও বলে পুস্তকবিপণী। আর অ কি কি যেন করে,এলাকার লোকের সঠিক ধারনা নেই। অল্প বয়সেই ওকে সুগারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হয়েছে। না, এভাবে তো হবে না। শুধু ভুলে যাই।

ওর বয়স কত তাই তো বলা হয়নি। ওর বয়স ৩২। এই বয়সেই ওকে বুড়োদের দলে নাম লেখাতে হয়েছে। নিখাদ দুর্ভাগ্য না সৌভাগ্য প্রাত্যহিক ঊষা দর্শন? এই সকালে ওঠা মিতার খুব পছন্দ। কি কারনে জানি না ব্যাপারটা ও উপভোগ করে।

সকালে উঠে ব্যায়াম সেরে ফেরার পথে কোন দিন খালি হাতে ফেরে নি সত্যেন। পাড়ার মোড় থেকে নিয়ে গেছে কুমড়ো কিংবা বেগুন। মিতার হাতে তা তুলে দিয়েই গোসল করতে ঢুকে পরে। আজ এখনো সত্যেনের দেখা নেই । মিতা ব্যস্ত তার সন্তানকে নিয়ে।

আদরের প্রকাশ । সত্য বলতে কি এখনও মিতা বিশবাস করে উঠতে পারে না তার একটা সন্তান আছে। একারনেই সে প্রকাশকে ছেড়ে এক মুহুর্তও অন্য কোথাও যায় না। সন্তানকে আগলে ধরে কাটে তার সারা দিন। প্রকাশের জন্মের পুর্বে ব্যাপারটা নিয়ে সত্যনের সঙে তার বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়েছে।

সত্যনের এ ব্যাপারে মত ছিল না । দুর্ঘটনা ক্রমে মিতার গর্ভে প্রকাশের আগমন। সত্যন জানতে পেরে মিতাকে এ ব্যাপারে মানা করেছিল। বলেছিল এখনি ঘাড়ের উপর বোঝা নিও না। জীবনটা একটু উপভোগ কর।

মিতা হেসেছিল এ কথা শুনে , বলেছিল আমার হয়ে তুমি উপভোগ করো। তবে তাতে মিতার আনন্দ কমেনি বরং বেরেছে । বাড়ির মিষ্টি খেলনার টানে সত্যনও তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরে। মাসে এক আধবার সত্যন মিতাকে নিয়ে বাইরে খেতে গেছে। এভাবেই চলছিলো বেশ।

নিস্তরঙ্গ জ়ীবনে হঠাৎ পরিবর্তন আসে মাস ছয়েক আগে । চলবে.....................।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.