তথাকথিত উজ্জ্বল আলোক, প্রবাহমান সুশীতল বাতাসের ছোঁয়ায়
সুদূরে ছড়িয়েছে সদ্য ভুমিষ্ঠ শিশুর সুতীব্র চীৎকার।
সূর্যালোকের ঝলকানি, চাঁদের ঠোঁট রাঙ্গানো হাসি
পাখির মধুর কিচির-মিচির, ভোরের শিশিরসিক্ত ঘাস
রিমঝিম বারিধারা, সবুজাচ্ছন্ন বনের বিস্তৃতি
ছোট্ট মানসলোকে জন্ম দিয়েছে আকূলতায় ভরা শত শত বিস্ময়ের!!
জনকোলাহলশূন্য অন্ধকারচ্ছন্ন অমবস্যার রাতে সংশয়-ভীতির
রচিত উপ্যাখ্যান অনায়াসে ঢুকে পড়তে থাকে অন্তরের গহ্বরে!
চারপাশের নষ্ট পরিবেশের সৃষ্ট শিকলে
আবদ্ধ হতে থাকে হাত-পা-মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি!
পামি’র প্রাচীর নির্মানের ভিত গেড়ে ‘মানুষ’
পরিচয় অবজ্ঞায় ভুলে বেড়ে উঠতে থাকে
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-জৈন-ইহুদি
আলাদা আলাদা ধর্মীয় নামফলকে।
নিশ্বাসে মরণ ঘাতক কার্বন মনোক্সাইড রুপে কিংবা
ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে অপবিশ্বাস অনবরত
বিশ্বাস আকারে প্রবেশরত শিরার মধ্য দিয়ে রক্ত কণিকায়।
ফলশ্রুতিতে, পূর্বপুরুষের প্রদর্শিত শৃঙ্খলায়িত পরাধীন
পথে পশ্চাদ্গামী শিক্ষায় অবাধে বিচরন ‘প্রশ্ন জিজ্ঞাসু’ না হয়ে!
তীক্ষ্ন শূল বিদ্ধ মুক্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানে বিকাশরত স্নায়ুকোষে।
‘বিশ্বাস’ –“আলো আঁধারের মাঝখানে অদৃশ্য অস্পৃশ্য কোন কিছুর বাঁধাহীন বিস্তরণ”,
চোখের সামনে ঘূর্ণিপাকরত গোলক-ধাঁধার মতোন।
কালের তরীতে ভেসে প্রবাহিত বিশ্বাসের জলধারায় পথ পরিবর্তিত
সত্য কালব্যাপী’ই প্রমাণসাপেক্ষ্য, চোখের সামনে দৃশ্যমান
যেখানে বিশ্বাসে বিশ্বাস ভিত্তিশুন্য-যুক্তিহীন; মিথ্যায় রুপায়িত।
তাই, নড়বড়ে ভীতে বিশ্বাসে আশ্রিত জীবনের
স্পন্দন বিকাশহীন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সামনে শংকিত!
জ্ঞান-বিজ্ঞানের উধ্বমুখী সত্যানুসন্ধানী বিজয় যাত্রাও
কি জন্ম দেয়নি অন্ধ বিশ্বাসীর প্রাণে কোন বিস্ময়?
কেনই বা অলীক শক্তির গুণকীর্তনের মুখরতায়
নিত্য নতুন ‘বিশ্বাস’ প্রতিনিয়ত প্রসব করে
পৃথিবী ভরে তুলছে গুচ্ছ গুচ্ছ অপবিশ্বাময়??
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।