আমার সোনার দেশ, বাংলাদেশ
অপরাধ সম্রাজ্ঞী মাফিয়া চুন্নির ‘গুরু মা’ হিসেবে চিহ্নিত অর্ধ শতাধিক মামলার আসামি শামসুন্নাহার ওরফে চম্পা অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন। তার কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, ৫০ গ্রাম হেরোইন, ১৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট, দেড় কেজি গাঁজা ও ২০টি ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে মেজর বেগ সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে র্যাব-৩ এর একটি অপারেশন দল সবুজবাগের মুগদাপাড়া বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব, ডিবি ও পুলিশ সূত্র জানায়, আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে টপ সন্ত্রাসীদের তালিকায় চম্পার নাম রয়েছে শীর্ষ দশের মধ্যে। তার স্বামীর নাম মো. বাবুল মিয়া, সবুজবাগের ৪৬ নম্বর ওহাব কলোনিতে তারা বাস করেন।
রাজধানীর শীর্ষ নারী অপরাধীর মধ্যে চম্পা অন্যতম। অপরাধ জগতে চম্পার পরিচিতি ‘গুরু মা’ হিসেবে। সবাই তাকে চম্পারানী বলে সম্বোধন।
সবুজবাগ, খিলগাঁও, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, রামপুরাসহ বিভিন্ন থানায় মারাত্মক সব অপরাধ আইনে চম্পার বিরুদ্ধে ৫৬টি মামলা ও সাধারণ ডায়েরি আছে বলে জানা গেছে।
এর আগে পুলিশ ও ডিবির বিভিন্ন টিম চম্পাকে অন্তত আট দফা গ্রেপ্তার করলেও তাকে জেলহাজতে বেশিদিন আটকে রাখা যায়নি।
বরং ২/৪ দিনের মধ্যেই যে কোনোভাবে তিনি জামিনে বেরিয়ে আবার অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন। এর আগে র্যাব-৩ এর সদস্যরা গত ১৯ অক্টোবর চম্পাকে ফেন্সিডিল ও হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে। কিন্তু শিগগিরই তিনি বেরিয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকেন।
বাসাবো ও মুগদাপাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, চম্পা ডাকাতি, লুট, ছিনতাইয়ের বড় কোনো অপরাধ ঘটিয়েই লাপাত্তা হয়ে যেতেন। বর্তমানে চম্পা মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
রাস্তা-ঘাটে চম্পার চলাফেরা ও আস্তানায় সময় কাটানোর ক্ষেত্রে চম্পার নিজস্ব নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছিল একেবারেই আলাদা ধরনের। কোথাও যাওয়ার আগে তার নিরাপত্তা কর্মীরা মোটরসাইকেল নিয়ে আগে রাস্তার পরিস্থিতি রেকি করে তাকে গ্রিন সিগন্যাল দিতো। এরপর আগে পিছে তিন চারটি মোটরসাইকেলে ৬/৭ জন দেহরক্ষী নিয়ে তবেই চম্পা ‘গুরু মা’ কোনো গন্তব্যে পা বাড়াতেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, র্যাব-৩ এর খিলগাঁও ইউনিটের মেজর বেগ সাব্বির আহমেদ ও এএসপি মো. ইকবাল শফীসহ একদল র্যাব সদস্য নিয়ে সন্ধ্যা থেকেই সবুজবাগের মুগদাপাড়া বিশ্বরোড এলাকায় অবস্থান নেন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে চম্পা তার সাঙ্গপাঙ্গদের প্রহরায় নিজ আস্তানা ওহাব কলোনিতে ফেরার পথেই র্যাব সদস্যরা আচমকা তাকে ঘিরে ধরে।
এ সময় চম্পাকে পিস্তলসহ আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে মাদকসহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে র্যাব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।