জন্মের প্রয়োজনে ছোট ছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি
শীত ভালই জাকিয়া বসিয়াছে। সকালের কর্মচাঞ্চল্যও যেন দিনে দিনে কমিয়া যাইতেছে। সকাল বেলা আপিস আসিয়া তাহাই বার বার মনে হইতেছে। কেদারায় হেলান দিয়া পত্রিকা হাতে লইয়া পঞ্জিকার দিকে তাকাইয়া ভাবিতেছি নতুন বৎসরের শুরু হইতে আর কতদিন বাকি ! জীবনটা তো দিনে দিনে তেতো হইতে পানসে তে পর্যবসুতি হইয়া যাইতেছে। পুরানো ঘর, পুরানো বউ, পুরানো চাকুরী কিছুই আর নতুন হইবে বলিয়া প্রতিয়মান হইতেছে না।
কেবল বছরখানাই নতুন হইতে পারে। তাহা ভাবিতে ভাবিতে মনে একটু পুলক অনুভব করিতাছিলাম।
ঠিক তক্ষনি একখানা আর্তনাদ কর্নকুঠরে আসিয়া আমার সুখ চিন্তার ছেঁদ ঘটাইল। কি হইল কি হইল।
শামসুর রহমান সাহেব সর্বস্য হারানোর শোকে অনেক টা মাতম করিতেছেন।
ছুটিয়া গেলাম তাহার দিকে।
বিস্তারিত শুনিয়া যাহা বোধগম্য হইল তাহা হইল গতকল্য আপিস ছুটি হইবার পর আই টি হইতে লোকজন আসিয়া ঢাউস মার্কা মনিটর খানা বদলাইয়া এক খানা পাতলা এলসিডি মনিটর লাগাইয়া দিয়া আসিয়াছে। তাহার সিপিউ যথাস্থলেই রহিয়াছে। এখন শামসুর রহমান সাহেব কে যতই বোঝানো হইতেছে আপনার পূর্বের মনিটর যাহা ছিল এখনো তাহাই আছে ততই উনি তাহার স্বরে চিৎকার করিয়া বলিতে থাকেন "আমার আগের মনিটরে কত কত ফাইল ছিল তাহার কি হইবে? আমার আগের মনিটর ফিরাইয়া দেন"।
অতঃপর মনিটর করিয়া তাহাকে দেখানো হইল... কিন্তু বিপত্তি বাধিল সেইখানেও।
পূর্বকার মনিটর এর চাইতে এই মনিটর বড় হইবার কারনে ডেস্কটপের ফন্টগুলান এদিক সেদিক সরিয়া গিয়াছে। শামসুর রহমান সাহেব বিজয়ের ভঙ্গিতে আবারো চিৎকার দিয়া উঠিলেন... দেখিয়াছেন... সব বদলাইয়া গিয়াছে... আমার সব ফাইল বদলাইয়া গিয়াছে... আমার আগের মনিটর খানা নিয়া আসেন।
খোঁজ নিয়া জানা গেল পূর্বকার মনিটর গুলান নিলামে উঠিয়াছে। তাহা আর পাওয়া সম্ভব:পর নহে।
পাঠকবৃন্দ... আপনারাই বলেন... এইরুপ কম্পিউটার বিশেষ- অজ্ঞ কে কি করিয়া বুঝাইব যে তাহার সব কিছুই যথাস্থানে রহিয়াছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।