আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাঙলার বুদ্ধিজীবীদের বিন্যাস, সুখ-দুঃখ

সভাপতি- বিক্রমপুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, সম্পাদক ঢেউ, সভাপতি- জাতীয় সাহিত্য পরিষদ মুন্সীগঞ্জ শাখা

বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই দুটি ভাগে ভাগ করেন। একদল আওয়ামীলীগ পন্থী (দাবীদার নিরপেক্ষ), অন্যরা সংখ্যায় কম, বিএনপি পন্থী। এর বাইরে যারা আছেন, তারা দৃশ্যমান নন। বিএনপি পন্থীরা ভারত বিরোধীতা করতে পারঙ্গম। তারা মনে করেন, দেশ একদিন সিকিম হবে।

সিকিম যেমন স্বেচ্ছায় ভারতে লীন হয়েছে, তেমনি ভারত এমন কাজ করবে যাতে বাংলাদেশ ভারতে স্বেচ্ছায় একীভূত হয়ে যায়। তাদের আশঙ্কা, দেশ সেদিকেই যাচ্ছে। প্রধান দল অবশ্য, সাংস্কৃতিকমনা বলে দাবীদার। তারা কারো মাথায় টুপি দেখলে বা মসজিদে যেতে দেখলেই বুঝে ফেলেন এটা রাজাকার। আমার কাউকে মন্দিরে যেতে দেখলে বুঝে ফেলেন এটা প্রগতিশীল।

তারা সম্প্রতি দুটি দুঃখ পেয়েছেন। প্রথমত ইউনুস নোবেল পেলে। তারা ভেবেছিল চীনা এবং রাশান ভিন্নমতাবলম্বীরা নোবেল পায় অহরহ। বাংলাদেশ থেকে পেলে এদের কেউই পাবেন। সে দেশে থেকে বা প্রবাসী কেউ।

তারা মুসলীম চিন্তার ভিন্নমতাবলম্বী। কিন্তু ইউনুস পাওয়াতে যাদের যন্ত্রণা এতটাই বেড়েছে, এখন গ্রামীণ ব্যাংকেও ধ্বংস করতে উদগ্রীব হয়ে পড়েছে। অনেকে গ্রামীণ ব্যাংকে শেষের শুরু দেখে ফেলছেন। এই দলের বুদ্ধিজীবীরা দ্বিতীয় দুঃখটা পেলেন তাদেরই কাছের মানুষ রাহুল গান্ধীর কাছ থেকে। অবশ্য উইকিলিকস না প্রকাশ করলে, কাকপক্ষীও টের পেত না।

তারা এতো কাল বলে আসছেন, মুসলীম মৌলবাদীর কথা, তারা হিংস্র, উন্মাদ। পৃথিবীর যত নাশকতা তা মুসলীম মৌলবাদীরাই করে। হিন্দু মৌলবাদী বলে কিছু নেই। তারা প্রগতিশীল। একজনতো বিএনপির পাঁচ বছর ভারতেই থেকে আসলেন, বিজেপির অতিথী হিসাবে।

মুসলমানরা কতটা হিন্দুদের উপর নির্যাতন করেছেন তা প্রচার করেছেন। আসল কথা সে এক মেয়েকে প্রেগন্যান্ট করে, হাসপাতালে এ্যাবসরনের ভুয়া বিল দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। তার একটি দেশে হাইকমিশনারও হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ঠুকাঠুকিতে .. যাক এটা অন্য কাহিনী। রাহুল গান্ধী বলে বসলেন, মুসলীম মৌলবাদীদের চেয়ে হিন্দু মৌলবাদীরা......। এর চেয়ে কষ্ট এ দলের বুদ্ধিজীবীরা কস্মিনকালেও পায়নি।

অন্য দলের বুদ্ধিজীবীরাও কষ্টে আছে, আইজদ্দিনের চেয়েও বেশি। একজনের বাড়ি গেল, সাকা জেলে, যুদ্ধাপরাধীদের ধরা হচ্ছে। (রাজনীতিবীদগণ)। অবশ্য যারা রাজনীতিতে সক্রিয় নয় তাদের ধরা হচ্ছে না। আবার যারা একাত্তরে যু্দ্ধাপরাধী ছিল এখন এই বুদ্ধিজীবীদের দলে তারাও বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।

এই সব বুদ্ধিজীবীদের একটি গুণ রয়েছে। তারা পরজীবী। হয় আওয়ামীলীগের না হয় বিএনপির উপর নির্ভরশীল। তারা সুবিধাও পায় অনেক অনেক। কখনো রাষ্ট্রদূত হন, কখনো একুশে-স্বাধীনতা পুরস্কার পান, কখনো দায়িত্ব পেয়ে যান, জাতীয় অধ্যাপক হয়ে যান, বিদেশ টিদেশ সফরে যান আরো কতকিছু।

আরো কত কিছু, আহমদ ছফার মতো একটি বই লিখা দরকার বর্তমান আঙ্গিকে। হায় আমাদের বুদ্ধিজীবীগণ, আপনার পরজীবী হয়েই থাকুন, সুখের তরে। একটি গল্প পড়ুন: সিফিলিসের জীবাণু কার কাছ থেকে আসলো

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.