আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিচার বিভাগ সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত, টিআইবির তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
প্রথমআলো মন্তব্য সহ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম হাফিজউদ্দিন খান, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও সিনিয়র ফেলো ওয়াহিদ আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আমলি আদালত। কুমিল্লার ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক সাইদুর রহমান আজ রোববার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। অন্যদিকে চট্টগ্রামের দুটি আদালতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আজ সমন জারি করা হয়েছে। কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য তৌহিদুর রহমান আজ সকালে একটি মানহানির মামলা করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত টিআইবির জরিপ প্রতিবেদনে বিচার বিভাগকে হেয় করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়। অন্যদিকে এই তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা করেন আইনজীবী মো. মজিবুল হক। বাদীর অভিযোগ, টিআইবির প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিচার বিভাগকে বিতর্কিত করা হয়েছে। আইনজীবীরা বিচার বিভাগের অংশ। একজন আইনজীবী হিসেবে এ প্রতিবেদনের কারণে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কেশব রায় চৌধুরী এই তিনজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আগামী ৩০ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে একই অভিযোগে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন নামে অপর একজন আইনজীবী আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিচারক মোহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান এই তিন কর্মকর্তাকে আগামী ১৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করেন। গত বৃহস্পতিবার সেবা খাতে দুর্নীতিসংক্রান্ত টিআইবির প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়, দেশের ১৩টি সেবা খাতের মধ্যে বিচার বিভাগে গিয়ে সবচেয়ে বেশি হয়রানি, অনিয়ম, ঘুষ দেওয়া তথা দুর্নীতির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। ২০০৯-১০ সালে বিচারপ্রার্থীদের ৮৮ শতাংশ শুনানির সময় নির্ধারণ থেকে শুরু করে নথিপত্র গায়েব এবং উেকাচ দেওয়াসহ নানা অনিয়মের শিকার হয়েছে।

নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে উচ্চ আদালত—বিচার বিভাগের প্রতিটি স্তরে ঘুষের দৃষ্টান্ত থাকলেও জরিপে শীর্ষে রয়েছেন উচ্চ আদালত। ২০০৯ সালের ৯ জুন থেকে এ বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত দেশের সব বিভাগীয় শহর ও গ্রামাঞ্চলের ছয় হাজার খানার (পরিবার) ওপর পরিচালিত জরিপের ভিত্তিতে ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০১০’ প্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ২০০৭ সালের খানা জরিপে ৪৭ দশমিক ৭ শতাংশ পরিবার বিচার বিভাগের দুর্নীতির শিকার হয়েছিল। কিন্তু এ দফায় তা আরও বেড়েছে। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বিচার বিভাগ থেকে সেবা নিয়েছে।

তাদের ৮৮ শতাংশ দুর্নীতির শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে খানা জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান জানান, টিআইবি দুর্নীতির যে চিত্র প্রকাশ করেছে, দেশে তার চেয়েও বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ স্বাধীন ছিল না। কিন্তু সাধারণ মানুষের মতে, এখন স্বাধীন বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি-অনিয়ম বেড়েছে। পাঠকের মন্তব্য Mohammad Anisul Islam ২০১০.১২.২৬ ১৪:২২ গরম ভাত খেতে দিলে বিড়াল অভিমান করে এ কথা আমাদের সকলের জানা।

Arif ২০১০.১২.২৬ ১৪:২৬ খারাপ কি ............ Shuvro Rahman ২০১০.১২.২৬ ১৪:২৭ সমস্যাটি যেহেতু তৈরী হয়েছে বিচার বিভাগকে ঘিরে, তাই এর নিস্পত্তি আদালতেই হওয়া উচিত | ট্রান্সপারেন্সি প্রমান করুক তাদের তথ্য সঠিক | বাংলাদেশ ২০১০.১২.২৬ ১৪:৩৩ ও ভাই বিচারক ও আইনজীবি আপনারা কি বিচার বিভাগের কোন মান সম্মান রেখেছেন যে মানহানির মামলা করেছেন। বিচার বিভাগ না বলে অভিচার বিভাগ বললে মানানসই হয়। যান সরকারি দলের .......। । ... Khan ২০১০.১২.২৬ ১৪:৪০ টি আই বি- কে আন্তরিক মোবারকবাদ রইল সত্য প্রকাশের জন্য।

shakil ২০১০.১২.২৬ ১৪:৪৫ দেশের সবাই জানে বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি-অনিয়ম বেড়েছে। ২০১০.১২.২৬ ১৪:৪৯ This is undoubtedly true that our Judicial body is becoming corrupted day by day after they have joint to the political groups. MIR SHAHIDUL HOQUE ২০১০.১২.২৬ ১৪:৫০ কোন রিপোর্ট সরকারের বিরুদ্ধে গেলে, সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এটাইতো স্বাভাবিক। asad rahman ২০১০.১২.২৬ ১৪:৫৩ সরকারের কারনেই বিচার ব্যবস্থা প্রশ্ন বিদ্ধ, সরকার আদালতের গাড়ে বন্দুক রেখে দেশ শাসন করছে বলেই বিচার ব্যবস্থানিয়েপ্রশ্ন উঠেছে । Abdul Mannan Sikder ২০১০.১২.২৬ ১৪:৫৮ By any mean if this report is not acceptable to the authorities and they feel the polling wasn't done it properly then they can ask to the TIB to produce all documentation how they conducted this poll. They just can’t issue arrest warrant. Maruf Hossain ২০১০.১২.২৬ ১৫:০৮ Bangladesh Awami League - dedicating for a zero-tolerance nation. ২০১০.১২.২৬ ১৫:১২ Congratulation to TIB. Now jugedgement Deparment is Corrupted. TIB information is 100% right. ২০১০.১২.২৬ ১৫:১৩ Why ২০১০.১২.২৬ ১৫:১৭ ট্রান্সপারেন্টি ইন্টারন্যাশনাল ১০০% সঠিক রিপোর্ট দিয়েছে। আমাদের বিচার বিভাগ দূর্নীতিগ্রস্থ না হলে দাগী, খুনী, সাজা প্রাপ্ত আসামী,চিহ্নিত অপরাধীরা কিভাবে জামিনে জেল থেকে বের হয়? এরা টাকার লোভে দিনকে রাত রাতকে দিন বানিয়ে ছাড়ে এবং এদেরকে সহযোগীতা করে কিছু আইনজীবী নামের মানুষ।

Mohammad Shawkut Hossain ২০১০.১২.২৬ ১৫:১৯ চোরকে চোর বলা যাবে না, এটাই বাংলাদেশের নিয়ম। Md Musleh Uddin Hasan ২০১০.১২.২৬ ১৫:২৭ কি আর লিখবো--- সাবাস বাংলাদেশ! সাবাস মগের মুল্লুক !! ২০১০.১২.২৬ ১৫:৩১ TIB is not out of law. if their work is dangerous for country and people, they should be punished. And if they are on right way or their report is right they will have to proof to the court. amin ২০১০.১২.২৬ ১৫:৩১ This incident proves how dangerous the AL's party is. SongSoptok ২০১০.১২.২৬ ১৫:৩২ কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য তৌহিদুর রহমান আজ সকালে একটি মানহানির মামলা করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। so, not AL, actually BNP is behind the scene. ২০১০.১২.২৬ ১৫:৩২ So Sad..........it should not be....... Khondker S Hasan ২০১০.১২.২৬ ১৫:৪৪ It's really unfortunate to read this news. Golzar Ahmed Masum ২০১০.১২.২৬ ১৫:৪৫ উচিত কথা বললেই হামলা এবং মামলা । Shahadat Hossain ২০১০.১২.২৬ ১৫:৪৭ সত্য বললে যদি এত বড় অপরাধ হয় তাহলে আমরা ধরেই নিলাম এই দেশের সবকিছুই মিথ্যা দিয়ে চলতেছে । অনেকে প্রমানের কথা বললেন, আরে ভাই আপনারা কোন জগতে বাস করেন, বিশেষ করে ঘুষ, আদম ব্যবসায়ী, আর এম.এল.এম এই কয়েকটা জায়গায় টাকা পয়সা লেনদেনের কোন প্রমান থাকেনা।

গত কায়েক দশক ধরে বিশেষ করে গত দুই বছরে বিচার ব্যবস্থায় যা হয়েছে তারপর একে দুর্নীতিমুক্ত বলায় কোন অবকাশ আছে, আর যাদের পরিচিত কেউ মামলা মোকদ্দমায় জড়িত আছে তাদেরকে অনুরোধ করব একটু খোজ নিয়ে দেখেন টাকার অংক হাজার এবং লাখ না হলে বিচার,আদালতে কাহারো মুখ দিয়ে কথা বের হয় না । ২০১০.১২.২৬ ১৫:৫০ নিজের বেলায় আটিকুটি, পরের বেলায় চিমটি কাটি - আমাদের বিচার বিভাগের অবস্থা এখন এরকম। ২০১০.১২.২৬ ১৫:৫০ তার মানে সরকারের বিরুধ্ধে কিছু বললেই গ্রেফতার, ভাল । Mahbub Rubon ২০১০.১২.২৬ ১৫:৫০ আদালত কি অন্ধ ? টি আই বি জরিপে জনগনের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে....... ২০১০.১২.২৬ ১৫:৫১ Do not involve Mr Hafizuddin Khan.He is an innocent man.Rather it`s founder & Dr Iftekhar are responsible for all irregularities of TIB.These two should be prosecuted.TIB was created to defame the people who were opposite in ideology of it`s founder.This so called economist & Dr Iftekhar are serving the vested interested quarter for long to defame nationalist forces. Md. Nesar Hasan Khan ২০১০.১২.২৬ ১৫:৫২ অতিত ইতিহাস থেকে িশক্ষা নেয়া উচিত দমন নীতি দিয়ে বেশীদিন টিকে থাকা যায় না এখনো সময় অাছে সংশোধন হন । ২০১০.১২.২৬ ১৫:৫৫ Absolutely right. I congratulate the TIB and we all are with TIB. I believe the "TIB is true" not government or related department. ২০১০.১২.২৬ ১৫:৫৬ Very funny. ২০১০.১২.২৬ ১৫:৫৯ আমাদের দেশের সব কিছুই ভাল চলছে, সুতরাং সরকারের বিরুধ্ধে কিছু বললেই গ্রেফতার।

Watchdog ২০১০.১২.২৬ ১৬:০১ Government should behalf with responsible manner, they should ask TIB about the source of their report. asking for arrest is Just a harassment and arrogance from Justice dept. and government which is totally unexpected. After all there are lots of corruption people face there. patriot ২০১০.১২.২৬ ১৬:০১ shame on us...judiciary has become government's puppet...how long it will continue.??? judiciary is the most important pillar of a society...they should play their important role to change our society... Abul ২০১০.১২.২৬ ১৬:০২ TIB has Published the openion of 6000 people who perticipated in the servey. I am afraid is the court going to issue warrant against them ? ২০১০.১২.২৬ ১৬:০৪ আমরা অনেকেই যে কোন কিছুকে রাজনৈতিক রং মেখে ফেলতে পছন্দ করি। অনেকেই একে সরকার বিরুদ্ধে টিআইবির অথচা আউমিলীগ এর বিরুদ্ধে টিআইটির মামলা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু একটু ভাল করে দেখুন এটি বলা হয়েছে, সরকারের অনেক গুলি বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ, ও পুলিশ বেশী দর্নিতি গ্রস্থ। সুতরাং সরকারের বিরুদ্ধে টিআইটির মামলা নয়। আর সবচেয়ে যেটি গুরুত্ব পূর্ণ, তা হল বিচার বিভাগ সমন চারী করেছে, এটি খুবই সহজ হবে যে পুলিশ বিভাগ, ও বিচার বিভাগের কাজ কর্ম প্রমান করা।

সুতরাং ভয়ের কিছু নাই। শুধু আশা করছি এথেকে যদি পুলিশ বিভাগ, বিচার বিভাগের কাজকর্মে ডিজিটালােইজেশন চালু হয়। তাহলেই না নাটের শুরু। amin ২০১০.১২.২৬ ১৬:১০ Lawyers should reflect their own nature rather taking revenge on individuals who are in favour of truth.TIB just constitutes the fact, nothing else. Md. Abdur Rahman ২০১০.১২.২৬ ১৬:১১ টিআইবিকে প্রমাণ করতে হবে তারা যা প্রকাশ করেছে তা সঠিক। saiful ২০১০.১২.২৬ ১৬:১১ হাসিনা সরকার তাহলে বুজতে পেরেসে,সব দুনিতির বিচার হভে,তভে সুরনজিত দাদা কামরুল সাহেভ দের জনো চিন্তা হয়।

তাদের পালতু কথার জনো কি না হয়.
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.