মাতৃগর্ভে শিশুর প্রথম পদাঘাত মাতৃত্বের প্রথম স্বাদ
সুখের সন্ধানে
(একটি কবিতা )
চন্দ্রিকা লাগি নিশি, শির নিচু করে ,
নিশাকরে বলে প্রভু আলো দাও মোরে।
লাজ পেয়ে চাঁদ বলে বিভাবরী ডাকি,
তুই বড় বোকা নিশি মুই পুষা নাকি ?
দিবাকরে আলো আছে, নাই মোর ঘরে,
আলো দাতা তিনি একা প্রভু বলি তারে ।
শান্তি নাই মানুষেতে, সে কি দিতে পারে,
সওতো সুখ মাগে প্রভু দেয় তারে।
মিথ্যার পথ ধরে , শান্তি কি আসে,
আল্লার পথ ধর এস তার দাসে।
মিসকীনে দেবে কিরে ভিক্ষার কড়ি,
মোর যাহা পারলে সে নেবে সব কাড়ি।
সব দাতা একজন সব ধন তার ,
যার কাছে যাহা পাই সবই আল্লার ।
ধুলি থেকে পৃথিবী সূর্য কি ছায়াপথ,
সবকিছু তার গড়া তার মতে চলে পথ।
জীবানু কি বৃক্ষ অ্যামিবা কি তিমি,
জীব কি বা জড়তা প্রাণ দাতা তিনি।
হাসি-জল রোগ-শোক তার দেয়া যৌবন,
মৌবনে অলি নাচে প্রেম প্রীতি ভরে মন।
ইশারাতে সব নড়ে সব স্থির আদেশে ,
বাদশার সায় বিনা কোষ নাহি বাঁচে সে।
নেত্র কি দ্যাখে কভু সায় বিনা তার ,
খোলা চোখে সব কালো প্রাণ নাই যার।
হুকুমেতে আছে প্রাণ শরীরেতে নাই,
কাছ থেকে যায় উড়ে খুঁজে কি তা পাই।
কোন জ্ঞানী বিজ্ঞানী প্রাণ দেবে খাকীতে,
ধৃষ্টতা আছে কার মন দেবে কায়াতে।
নাই নাই সাধ্য জানো সবে দ্বিধাহীন,
তার পরও সুখ মাগো মানুষেতে রাতদিন।
চাইলে কি পাবে কিছু মানুষের কাছে,
ঋণী সবে তার কাছে যার নিয়ে বাঁচে।
মানুষের কাছে জেনো নাই কোন ধন,
দেখি যাহা সবই তার প্রভু একজন।
মেঘ থেকে পাই জল সাগর কি আর দেখি,
সাগরের জল আসে, মেঘ নাম ধরি।
সাগরের জল আসে ফের যায় সাগরে ,
দুনিয়ার জীবকুলে প্রান পায় আ হারে।
সবই আসে তার থেকে ফিরে যাবে সেখানে
সেই দানে মোরা বাঁচি মুসাফীর জীবনে।
চাই শুধু তারই কাছে পাই কিবা নাহি পাই,
মুক্তির এক নীতি সেই পথ একটাই।
নাই যার সেই জন দিতে চায় কভু,
স্বীয় লাভে মিছা কয় নরাধম তবু।
যেই জনে সুখ মাগে নরাধম পরে,
অধমের বড় বলি দ্বীন হারা তাহারে।
জ্যেৎস্নাকে পেয়ে নিশি শির খানা লুটায়ে
সূর্যকে পুজা দেয় চাঁদ বুকে জড়ায়ে।
পাই যাহা বুকে ধরি স্মরি মোরা প্রভুরে ,
লৌকিক ত্যাগে সুখ এই পাড়ে ওপাড়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।