ইতপউস .....
ঢাকার বাইরে আমার এত কম যাওয়া হয়েছে যে কখনও কোন সুযোগ পেলে আমি কখনই সেখানে যাবার সুযোগ হারাই না।
এমনই একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় "দেলদুয়ার জমিদার বাড়ি" দেখার সুযোগ। এর আগে জমিদার বাড়ি কখনও দেখার ভাগ্য হয়নি তাই আমি তো খুশিতে পারলে পিচ্চি একটা লাফ দেই।
রাস্তার দু পাশে তাকালে চমকে যেতে হয়।
যেন আগুন জ্বলছে! দুপাশে যত দূর চোখ যায় শর্ষে ক্ষেত! ছোট্ট ছোট্ট শর্ষে গাছে হলুদ ফুল ফুটে আছে।
গাড়িতে ছিলাম বলে আগুন ধরে রাখতে পারিনি ক্যামেরায়।
১/ জমিদার বাড়িতে যাবার পথে প্রথমেই দেখতে পেলাম
২/ বাহির থেকে পুরনো দেয়াল। দেখেই কেমন পুরনো দিনে চলে গেলাম এক লাফে
৩/ এই সেই জমিদার বাড়ি। কিন্তু ভিতরে যাবার অনুমতি নেই।
এখন কেউ থাকে না। জমিদার ছিলেন "ফাতেদাদ খান গজনবী"।
৪/ জমিদার বাড়ির সামনেই তাদের কবরস্থান। সেখানে যাবার ছোট্ট দরজা।
৫/ পুরনো দিনের স্মৃতি বহন করে বেচে আছে এখনও।
হয়ত এক সময় এখানে পানি দেখা যেত।
৬/ জমিদার বাড়ির পেছনেই বাগান আর তার মাঝে বসার জন্যে। কি যেন বলে এটা কে! ঠিক মনে করতে পারছি না তো! বাগান বলতে কিছুই নেই। কিছু ফলের গাছ।
৭/ সব কিছুই সময়ের সাথে সাথে ধুয়ে যেয়ে প্রায়।
কিছু কাজ মাঝে মাঝে উকি দিয়ে আছে।
৮/ মেঝেতে কাজ করা।
৯/ আরেকটা তথ্য পাওয়া গেল এই বাড়ি থেকে। এই জমিদার বাড়ি বিখ্যাত কারন এর বাউন্ডারির ভিতরেই রয়েছে বিশাল এক বট গাছ। আমি এত বড় গাছ এত কাছ থেকে আর কখনও দেখিনি।
এই গাছের নীচে বসে মীর মশাররফ হোসেন, "বিষাদ সিন্ধু" লিখেছিলেন! আমি জানিনা তথ্য টা ঠিক কিনা। কিন্তু ওখানে থাকেন এমন একজন এর কাছ থেকেই জানতে পারলাম।
১০/ সব শেষে বেরিয়ে আসার দরজা -
বের হবার পরই এই জমিদারদের সম্পর্কে একটা ভয়ঙ্কর কথা শুনলাম। আটকে উঠার মতই। ঘুরে ঘুরে ভালো মন টা ভীষন খারাপ করে দিল।
তথ্য টা ব্লগে সবাইকে জানানোর মত ভাষা আমার কাছে নেই।
১১/ বের হয়েই শুনলাম, কাছেই বাজার বসবে। দেলদুয়ারের বিখ্যাত কিছু খাবার নাকি এখানেই পাওয়া যায়। বাজারে যেয়ে দেখি সবে মাত্র দোকানিরা পসরা সাজাতে ব্যস্ত। দুই পিচ্চি আমাকে ছবি তুলতে দেখেই হেসে দিল।
১২/ তাদের কাজ করতে আর বিরক্ত না করে সামনে এগিয়ে গেলাম আর চমকে গেলাম! এ কি! এ তো সাপ! না বলে দিলে আমি জ্যান্ত ভেবেই বসে থাকতাম!
থাক আর সাপ না দেখি অন্য দিকে যাই।
১৩/ আরেকটু পর পেলাম এক লোক বড় বড় ঝাঁকা ভরে কত্ত মজার সব খাবার নিয়ে বসে আছে। এক সময় কি পাগলই না ছিলাম এসবের! কিন্তু এখন নাম ভুলে গেছি! আমি নাম জিজ্ঞেস করলাম সব গুলোর। কয়েকটা নাম নতুন। খাবার গুলোও অচেনা লাগল।
১৪/ আরেকটা পসরা ।
১৫/ যা একে বারেই নতুন মনে হলো আমার কাছে। এখানেই আমি প্রথম দেখেছি। "টানা" নামের একটা মিষ্টি খাবার। ঢাকায় পাওয়া যায় তবে ছোট্ট।
আমি জানতাম "কটকটি" তার প্রায় ৩ গুণ বড় এগুলো। ১টা ১০ টাকা করে পাওয়া যায়।
১৬/ ফেরার পথে পেলাম দেলদুয়ার "শহীদ মিনার"
অনেক বক বক করলাম। নিশ্চয় সবার কান ঝালাপালা হয়ে গেছে তাই সবার জন্যে নিয়ে আসছি টাঙ্গাইল এর "দই। দই টা ভীষন মজার।
আপনারা টাঙ্গাইল গেলে এই দোকান থেকেই দই কিনবেন। ২ কেজি ২৫০ টাকা।
দই সাজিয়ে রাখছে
দোকানের নাম "গৌড় ঘোষ" দধি ভান্ডার
ছবি তুলতে গিয়ে মজার ঘটনা হলো। মালিক আমাকে জিজ্ঞেস করে, আপনি কি এই ছবি পেপারে দিবেন? আপনি কি সাংবাদিক!
আমি লজ্জাই পেয়ে গেলাম! বললাম যে, না না, পেপারে না তবে ব্লগ-এ দিব। উনি বলেন, পেপারে দিলে তো ভালো, আমাদের কথা সবাই জানতে পারবে।
আমি বললাম আমি যেখানে দিব সেখানেও অনেকে জানতে পারবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।