নিজকে নিয়ে উদাস আমি, পরকে নিয়ে কখন ভাবি... লুঙ্গি আর জুব্বা পড়া এমন ছেলেরা মফস্বল থেকে ঢাকায় এসেছিলো কুরআন পোড়াতে! গাড়ি ভাঙতে। বড় বড় বিল্ডিংয়ে আগুন জ্বালাতে। জুয়েলারী ও ব্যাংক লুট করতে। তারা মনে হয় জানতো না যে, পল্টন মোড়ের চেয়ে মতিঝিলে ব্যাংক বেশি।
মতিঝিল শাপলা চত্বরের চেয়ে পল্টন মোড়ে হেফাজত কর্মীদের সংখ্যা অনেক কমই ছিলো।
আমার মনে হয় লুটের কাজটা তারা পল্টনে না করে মতিঝিলেই করতে পারতো, সেটা অনেক সহজ হতো। কাজেও লাগতো বেশি। তাছাড়া যতো ব্যাংক সব তো মতিঝিলেই। ঢাকার বানিজ্যিক এলাকা। তাদের লুটের সুবিধার জন্য রাতের একাংশে মতিঝিলকে অন্ধকারও রাখা হয়েছিলো।
কিন্তু বোকার দল, অযথা জিকির করে সময় পার করেছে! মতিঝিলে লাখ লাখ মানুষ একসাথে থাকা সত্তেও লুট করতে এসেছে পল্টন মোড়ে! অথবা মতিঝিলে বসেই তাদের জাদুর লম্বা হাত দিয়ে পল্টনের জুয়েলারী লুট করেছে! অথচ হাজার হাজার হেফাজত কর্মীদের কাছে মতিঝিলের ব্যাংকগুলো ছিলো অসহায়..! তারা চাইলেই মতিঝিলের ব্যাংকগুলো খালি করে দিতে পারতো !
আবার দেখলাম রাতে হামলার পরে অনেক হেফাজত কর্মীকে সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ভেতর থেকে বের করে আনছে পুলিশ। যারা ব্যাংকে লুকিয়ে ছিলো তাদের জন্য আরো সহজ হতো ব্যাংক লুট করাটা।
এদিকে মাত্র ১০.০০০ (দশ হাজার) অস্ত্রধারী র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির ভয়েই তারা পালিয়ে গেলো। পুলিশরা কেউ সরাসরি গুলি করেনি। তবে তাড়াহুড়া করে পালিয়ে যাবার সময় একজনের পিঠে আরেকজনের আঙ্গুলে গুতা লেগে অনেক হেফাজত কর্মী প্রাণ হারিয়েছে।
লাশগুলো ৩০ মিনিটেই পঁচন ধরে গেছে, তাই পুলিশরা নগরীকে দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে পঁচনধরা লাশগুলোকে অল্প সময়ের মধ্যেই সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। পঁচা লাশের দুর্গন্ধের কারণে কোনো মিডিয়া কর্মীই ভিডিও বা ছবি তোলার জন্য লাশের পাশে যেতে পারেনি। তাই টিভিতে কোথাও লাশের ভিডিও নেই। তবে “বাংলার চোখ” নিউজের মনে হয় রোবট স্টাইলের কিছু ফটোগ্রাফার আছে। যারা গুলাগুলির ভেতরে উড়ে উড়ে বেশ কিছু লাশের ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে!
অবশেষে হাজার হাজার অস্ত্রহীন হেফাজত কর্মী মাত্র দশ হাজার পুলিশের ভয়ে পালিয়েছে।
এদিকে নিরস্ত্র হেফাজতকর্মীদের উপর লাগাতার গুলি করে মাত্র ১০ মিনিটে সম্পুর্ণ শাপলা চত্বর হেফজত মুক্ত করে দশ হাজার পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি বীরের বেশে সরাকরে ঘরে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।