দলটির নেতারা দাবি করেছেন, বুধবার রাতে পুলিশের গুলিতে আবু বকর পারভেজ (৩৫) নামে ওই ব্যক্তি মারা যান।
সংগঠনের এক কর্মী কয়েক যুবকের পিটুনিতে নিহত হলে বুধবার রাতে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা সীতাকুণ্ডের কয়েকটি স্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা, তাদের সঙ্গে জামায়াতকর্মীরাও ছিল।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি নামানোর পর রাত সোয়া ১২টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। তার আগ পর্যন্ত মহাসড়কে আটকে ছিলেন ঈদে ঘরমুখো হাজার হাজার বাসযাত্রী।
রাত ১২টার দিকে গুলিবিদ্ধ পারভেজের লাশ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় বলে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মো. জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
পারভেজ সীতাকুণ্ড উপজেলার পশ্চিম আমিরাবাদ গ্রামের মোল্লাবাড়ির হাজী জামাল উল্লাহর ছেলে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের এক কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করলে রাতের বেলা পুলিশ গুলি চালায়। এতে আবু বকর পারভেজ মারা যায়। ”
তবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সীতাকুণ্ড সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইকবাল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিবিরকর্মীরাই পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে দুজন এএসআই, একজন এসআইসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়।
”
পারভেজের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়ার সময় কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা জানা নেই। ”
শিবিরকর্মীদের মহাসড়ক থেকে হটিয়ে দেয়ার পর পুলিশের সঙ্গে বিজিবি ও র্যাবও সীতাকুণ্ডে টহলে রয়েছে।
এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় সন্ধ্যার দিকে আব্দুল্লাহ আল রাসেল বাবু (২৮) নামে এক যুবককে আরো কয়েকজন যুবকের মারধরের পর।
রাসেল সীতাকুণ্ড উপজেলার উত্তর ফেদাইনগর গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি এক সময় শিবিরের সাথী ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি সামিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বড় দারোগার হাটে সন্ধ্যায় রাসেলকে মারধরের পর তাকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
রাসেলকে রাত পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কী কারণে রাসেল হামলার শিকার হয়েছেন- সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে পারেনি। চমেক হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় লেখা হয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারধরে রাসেল গুরুতর আহত হন।
উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের হত্যাকাণ্ডের জন্য স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের দায়ী করেছেন।
তিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আওয়ামী লীগকর্মীরা রাসেলকে বড় দারোগাহাট স্কুলের ভেতর নিয়ে গিয়ে কোপায় এবং মহাসড়কের ওপরে ফেলে রেখে যায়। ”
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, রাসেলের মৃত্যুর খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে শিবিরকর্মীরা উপজেলা সদরে প্রথমে মিছিল বের করে। আগুন দেয় দুটি মোটর সাইকেল ও তিনটি অটো রিকশায়।
শিবিরকর্মীরা কয়েকটি দোকান ভাংচুর করলে পৌর সদরের ব্যবসায়ীরা ঈদে শেষ মুহূর্তের বিক্রি বাদ দিয়ে তাদের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
এরপর শিবিরকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিক্ষিপ্তভাবে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।