ইসলামের পথে থাকতে চেষ্টা করি...।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের উপকূলীয় এলাকায় আবারো রাতের আঁধারে বনবিভাগের গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে।
শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য এ অঞ্চলে কিছুদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের হাতে সরকারি বন উজাড়ের ঘটনা ঘটছে।
সর্বশেষ রোববার রাতে দুই-তিনশ' লোক মধ্যম সোনাইছড়ির ঘোড়ামাড়ায় উপকূলীয় বন বিভাগের সৃজিত বাগানের গাছ কেটে নেয় বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
গাছ কাটা শুরু হওয়ার পর পুলিশকে জানানো হলেও দ্রুত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বন বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।
প্রায় পাঁচমাসের ব্যবধানে আবারও ওই এলাকায় উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনির গাছ কাটার ঘটনা ঘটল। তবে এবার কে বা কারা গাছ কেটেছে এ ব্যাপারে বন বিভাগ বা স্থানীয় প্রশাসন সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারে নি।
স্থানীয় লোকজন ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে আটটা থেকে ১১ টার মধ্যে দুই থেকে তিনশ' লোক ঘোড়ামাড়া থেকে বন বিভাগের দেড় হাজারের বেশি কেওড়া গাছ কেটে নিয়ে যায়।
উপকূলীয় বন বিভাগের বাঁশবাড়িয়া বিট কর্মকর্তা মো. হাসান মিয়া বলেন, রাতের আধাঁরে দুর্বৃত্তরা মধ্যম সোনাইছড়ির দশ একর জায়গায় বনবিভাগের লাগানো ১৫৬০টি কেওড়া গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
'জনবল কম থাকায়' ঘটনাস্থলের অদূরেই অবস্থান করে এ ঘটনা চেয়ে দেখা ছাড়া তাদের কিছু করার ছিল না উল্লেখ করে হাসান মিয়া বলেন, এ ঘটনার পরপর সীতাকুণ্ড থানাকে জানানো হলেও তারা অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
এ বিট কর্মকর্তা আরো বলেন, মূলত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য 'একটি সিন্ডিকেট' গাছগুলো কেটেছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে তিনি কাউকে দায়ী করেননি।
শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড তৈরির জন্যই গত ৮ জুলাই সোনাইছড়ি উপকূল থেকে স্থানীয় সাংসদ আবুল কাশেম মাস্টারের ছেলে এস এম আল মামুন ও তার সহযোগীরা প্রায় ১০ হাজার গাছ কেটে ফেললে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এখন ঘোড়ামারায় মাত্র ২০০টির মতো কেওড়া গাছ অক্ষত রয়েছে বলে বিট কর্মকর্তা হাসান জানান।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। অক্ষত থাকা বাকি গাছ পাহারায় অতিরিক্ত পুুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।
ওসি সন্ধ্যায় জানান, গাছ কাটার ঘটনায় বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জুলাইয়ের বন উজাড়ের ঘটনার সময় পাশের সবুজ বেষ্টনির গাছগুলো রক্ষা পেলেও পাঁচমাসের ব্যবধানে এবার সেসব গাছও প্রায় সব কেটে ফেলা হল।
উপকূলীয় বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বনবিভাগ ২০ বছর আগে সীতাকুণ্ড উপকুলের ১২৫ একর জমিতে ২ লাখ ২২ হাজার গাছ লাগালেও শিপ ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যেই ৮০ একরেরও বেশি বন ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও ভাঙ্গন রোধ করা উপকূলীয় বন সৃজনের প্রধান লক্ষ্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।