১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর লাখো লাখো শহীদের আত্মত্যাগে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন এক দেশের সৃষ্টি হয়। লাল-সবুজের দেশ বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার ৪০ বছর পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এমন রাজনৈতিক দল, যে দল স্বাধীনতা যুদ্ধের অসামান্য ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীন অবস্থায় স্বাধীন দেশে মাইকে বেজে ওঠে পাকিস্তানী জাতীয় সংগীত!!!!!!
"পাক সার জমিন সাদ বাদ..................................................."
কক্সবাজারে সাফ মহিলা ফুটবল টুনামেন্টে ১৬ ডিসেম্বর ছিল পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচ। বাঙালির এই গর্বিত দিনে স্বাধীন বাংলার মাটি বেজেছে পাকিস্তানি জাতীয় সংগীত।
ম্যাচ শুরুর আগে মাইকে বেজে ওঠে 'পাক সার জমিন সাদ বাদ...। '
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তাদের মনে রেখাপাত না করলেও অনেকের মনে বিঁধেছে কাঁটার মতো, স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে স্থানীয় সংগঠকদেরও। বিজয় দিবসেও পাকিস্তান জাতীয় সংগীতের সুরে কোনো আপত্তি দেখছেন না। বাফুফে পক্ষ থেকে টুনামেন্ট কমিটির সম্পাদক শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর বলেছেন-'এটা নিয়ে আগে আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু অনেকে বলেছেন কোনো সমস্যা হবে না'।
১৬ ডিসেম্বরের কথা ভেবে পাকিস্তানের ম্যাচটা এক দিন পিছিয়ে দিলেও বা কী সমস্যা হতো? টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি মনজুর হোসেন মালুর জবাব, 'আজ (১৬ ডিসেম্বর) খেলা না হলে এখানে প্যারেড হতো।
তা ছাড়া আমাদের আর্থিক ক্ষতি হতো। '
এ ক্ষতি পোষানোর জন্যই বিজয়ের দিনে পাকিস্তানি জাতীয় সংগীত!
যা বলতে চাই-
বাংলাদেশের মানুষ খেলায় রাজনীতি টানা পছন্দ করে না যেমন সত্যি তেমনি ক্রিকেটে পাকিস্তানে অসংখ্য সমর্থক ও পাকিস্তানি খেলেয়ারদের ভক্তও কম নয়, কিন্তু পাকিস্তানি জাতীয় পতাকা কথনো বাংলার আকাশে কেউ উড়ানি। কেন উড়ানি তা বলার প্রয়োজন নেই। কারণ বাঙালি যতই পাকিস্তানের সমর্থক হোক না কেন বাংলার মাটিতে সে দেশের পতাকা উড়ানোর চিন্তাও আমাদের মাথায় আসেনি। আর ঐতিহাসিক ১৬ ডিসেম্বরে কিনা বাংলার মাটি বাজেঁ পাকিস্তানি জাতীয় সংগীত!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
মক্তিযুদ্ধের সপক্ষের প্রকৃত শক্তি কে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।