আর কেন সম্মেহন-এ পাপ, থাক- ‘বেদনা আমারি থাক’
বুধবার সিলেটের পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নভুক্ত এলাকা পাদুয়া বিএসএফের দখল করা এবং সৈন্য জমায়েতের ঘটনায় তীব্র ােভ ও নিন্দার ঝড় বইছে বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে। এ ধরনের ঘটনার জন্য সরকারের কুটনৈতিক দুর্বলতাকে দায়ী করেছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে বিডিআরের সাবেক ডিজি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান রেডিও তেহরানকে বলেছেন, ভারতীয় সীমান্ত রীবাহিনীর পাদুয়া দখল করা এবং সীমান্তে সৈন্য বৃদ্ধি করা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ ধরনের ঘটনা ভারতীয় আগ্রাসনের সবচেয়ে বড় প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন বিডিআরের সাবেক এই ডিজি। তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত বাংলাদেশের যৌথ জরিপ কাজকে প্রভাবিত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ভারতীয় সীমান্ত রী বাহিনী এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে ।
তবে সরকারের উচিত বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে তা মোকাবেলা করা। নইলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পুরোপুরিই ভারতের কাছে বিকিয়ে দিতে আর বেশি কিছু বাকী থাকবে না। তিনি বলেন, পাদুয়া, রৌমারী, ডিবির হাওর বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোন ভাবেই এসব এলাকা হাতছাড়া করা যাবে না। আর এজন্য বিডিআর ও স্থানীয় জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও প্রতিরোধের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে।
নইলে এ ভুলের জন্য বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে এ জাতিকে, এমন আশংকা নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও বিডিআরের সাবেক ডিজি আ ল ম ফজলুর রহমানের। তিনি ভারতকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, আর যা কিছু সম্ভব হলেও বাংলাদেশকে কোন ভাবেই সিকিম বানানো যাবে না। এ প্রসঙ্গে সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক কাদের তফাদার রেডিও তেহরানকে বলেছেন, ১৯৭১ সালের পরে থেকে বিভিন্ন সময়ে নানা অযুহাতে ভারত বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত এলাকায় হামলা, সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও দখলের অপচেষ্টা করেছে। কিন্তু স্থানীয় জনগণ ও বিডিআরের প্রতিরোধের মুখে তাদের বারবার ফিরে যেতে হয়েছে। কিন্তু এই মহাজোট সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত আবারো সেই দখলের অপচেষ্টা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন এ সাংবাদিক।
তিনি বলেন, সিলেট সীমান্তের খনিজ সম্পদ আর ভুসম্পদ ভারতকে আগ্রাসী করে তুলেছে। এর হাত থেকে দেশকে রা করার জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে ভারতের আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশ তার অনেক ভূমিই হারাতে পারে। গতকাল বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এডভোকেট খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, এটা ভারতের নির্লজ্জ আগ্রাসন ছাড়া আর কিছুই নয়। সীমান্তে একের পর এক মানুষ হত্যা, লুটপাট, অপহরণ এবং সবশেষে পাদুয়া দখল- এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের ভারত তোষণ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ।
বুধবার বিকেলে কয়েক'শ বিএসএফ সদস্য ভারতীয় লোকজন নিয়ে আকস্মিকভাবে সীমান্তের ১২৭০ ও ১২৭১ নম্বর পিলার অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের প্রায় ৫০০ মিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে। বিএনপি মহাসচিব ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ জানানোর এবং পাদুয়া উদ্ধারে সর্বাত্মক পদপে নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।